ইসলামী ব্যাংক নিমতলা শাখা থেকে ১৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা উঠিয়ে অটোরিকশায় মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলার জৈনসার ইউনিয়নের ভবানীপুর ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট শাখায় যাচ্ছিলেন এজেন্ট ব্যাংক কর্মচারী আফজাল শেখ। পথে সিরাজদীখান উপজেলার কাঠালতলী এলাকায় পৌঁছালে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সড়ক থেকে তাকে ধরে মাইক্রোবাসে ওঠানো হয়। এসময় তার দুই হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে মারধরও করা হয়। পরে তার কাছে থাকা ১৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ৫ দুর্বৃত্ত। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে চলন্ত মাইক্রোবাসে এ ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী এজেন্ট ব্যাংক কর্মচারী আফজাল শেখ এ দাবি করে বলেন, পরে মাইক্রোবাসটি ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে ঢাকার দিকে যেতে থাকে। পথে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের রুহিতপুর এলাকায় নির্জন স্থানে তাকে ফেলে দেওয়া হয়। পরে ঢাকার দিকে চলে যায় মাইক্রোবাসটি। 

এদিকে এ ঘটনায় সিরাজদীখান থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ইসলামী ব্যাংক ভবানীপুর আউটলেট শাখার এজেন্ট কামাল শেখ। বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। পুলিশ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে ও আশপাশ সড়কে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। 

ভুক্তভোগী আফজাল শেখ আরও বলেন, হাতকড়া পরানো ও চোখ বাঁধার বিষয় জানতে চাইলে দুর্বৃত্তরা আমাকে মারধর করে। একই সঙ্গে তারা বলে তোর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা রয়েছে, কোর্টে চালান করে দেব। 

এ ব্যাপারে সিরাজদীখান সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আ.

ন.ম ইমরান খান বলেন, আফজাল শেখকে কাঠালতলী এলাকা থেকে মাইক্রোবাসে তুলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার রুহিতপুর এলাকায় ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার কাছ থেকে ১৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

এক ঘরে দুই পীর হইতে পারে না: বদিউল আলম মজুমদার

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, একই সংসদীয় আসনে পুরুষ ও নারী—দুজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকলে সেটা কতটুকু কার্যকর হবে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘দ্বৈত প্রতিনিধিত্ব হলে এর সমস্যা হইল, ওই যে আমাদের গ্রামবাংলায় যে কথা আছে, এক ঘরে দুই পীর হইতে পারে না।’

আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে ‘নারীর ক্ষমতায়নে সংসদে সরাসরি ভোটে নারী প্রতিনিধিত্ব নির্বাচন: প্রয়োজনীয়তা, চ্যালেঞ্জ ও সমাধান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বর্তমান যে নির্বাচনপদ্ধতি, সেখানে অনেক সংসদীয় আসনেই সংসদ সদস্যরা নারী সংসদ সদস্যদের যেতেই দেন না। তিনি বলেন, দৈত্ব প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি কার্যকর হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

সংরক্ষিত নারী আসন ১০০টি করা হলে ভয়াবহ মনোনয়ন–বাণিজ্য হবে বলেও মন্তব্য করেন বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তার মাধ্যমে সারা দেশে একঝাঁক নারী নেতৃত্ব বের হয়ে আসবে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে সংরক্ষণপদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা থাকবে না।

শামা ওবায়েদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ