আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে (এআইইউবি) চতুর্থ আন্তর্জাতিক রোবোটিক্স, ইলেকট্রিক্যাল এবং সিগনাল প্রসেসিং টেকনিক কনফারেন্স-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১১ ও ১২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের উদ্যোগে এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং এআইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ড.

কারমেন জিটা লামাগনা স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এআইইউবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম। কনফারেন্সের জেনারেল চেয়ার ও এআইইউবির ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ বি এম সিদ্দিক হোসেন গবেষণার লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।

আইইইই বাংলাদেশ সেকশনের চেয়ার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হকের পক্ষে অধ্যাপক ড. সেলিয়া শাহনাজ বক্তব্যে প্রযুক্তিগত গবেষণা ও শিক্ষায় আইইইই-এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।

কনফারেন্সে ৮টি মূল বক্তব্য, ১টি আমন্ত্রিত বক্তব্য এবং ৮টি ভিন্ন বিষয়ে মোট ১৬টি টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হয়।

কনফারেন্সে ৭টি দেশ এবং ৪টি মহাদেশ থেকে ৩৬৫ জন গবেষক অংশ নেন। তাদের মধ্যে ২৬৫টি গবেষণাপত্র জমা পড়ে, যার মধ্যে ৯৬টি গবেষণাপত্র গৃহীত হয়। গৃহীত গবেষণাপত্রগুলোর মধ্যে ৩২টি গবেষণাপত্র বিদেশি গবেষকদের ছিল। ১০৬ জন রিভিউয়ার এবং ২৭ জন সেশন চেয়ার এই কনফারেন্সকে সফল করতে সহায়তা করেছেন।

সমাপনী অনুষ্ঠানে এআইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. হাসানুল এ. হাসান অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি আয়োজকদের এই কনফারেন্স আয়োজনের জন্য প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে আরও সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন। ড. হাসানুল এ. হাসান, অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম, ড. কারমেন জিটা লামাগনা বিজয়ী গবেষকদের সেরা গবেষণাপত্র এবং সেরা উপস্থাপনার জন্য ড. আনোয়ারুল আবেদীন এবং মিসেস হাসনা আবেদীন স্কলার গ্রান্ট প্রদান করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন এআইইউবির প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান এবং ডিন অধ্যাপক ড. এ বি এম সিদ্দিক হোসেন। কনফারেন্সের আয়োজক চেয়ার এবং এআইইউবির প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান কনফারেন্সে অংশগ্রহণকারী, স্পনসর, আয়োজকক, স্বেচ্ছাসেবক এবং মিডিয়ার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে গবেষকগণ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি ও শিক্ষকবৃন্দ, এআইইউবি’র ডিন, শিক্ষক শিক্ষিকা ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কনফ র ন স

এছাড়াও পড়ুন:

সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতার সমর্থকদের

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ায় তাঁর বিক্ষুব্ধ কর্মী-সমর্থকেরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী শহীদ মিনার এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেন তাঁরা।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে স্লোগান দেন। এ ছাড়া মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অবরোধ করার খবর পাওয়া গেছে। রাত সাড়ে আটটার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অবরোধ করে মিছিল করছিলেন বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা।

এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের নাম ঘোষণা করা হয়। বাদ পড়েন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী।

এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আসলাম চৌধুরীর কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে দেন। এ সময় তাঁরা ‘দুর্দিনের আসলাম ভাই, আমরা তোমায় ভুলি নাই’ ‘আসলাম ভাইয়ের ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ এমন স্লোগান দেওয়া হয়।

বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতা-কর্মীরা বলছেন, আসলাম চৌধুরী দলের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করেছেন। তিনি দলের জন্য কাজ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের রোষানলে পড়ে কারাবন্দী হন। দীর্ঘ সময় তিনি জেল-জুলুম অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেছেন। অথচ এখন সুসময়ে দল তাঁকে বঞ্চিত করছে। তাঁরা দলের এ সিদ্ধান্ত মানেন না। তাই প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন তাঁরা।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মো. মোরসালীন প্রথম আলোকে বলেন, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থী ঘোষণার পর বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। তাঁরা যে যাঁর জায়গা থেকে মহাসড়কে উঠে প্রতিবাদ শুরু করেন। তাঁরা অন্তত সীতাকুণ্ডের ৩০টি স্থানে মহাসড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

ঘোষিত প্রার্থী কাজী মুহাম্মদ সালাউদ্দিন উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব কাজী মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের ছোট ভাই। একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম তাঁকে যোগ্য মনে করেছেন বিধায় তাঁকে মনোনয়ন দিয়েছে। তিনি দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করতে চান। এর আগে ২০১৪ সালে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছিলেন।

ফৌজদারহাট পুলিশ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, ফৌজদারহাট-বন্দর সংযোগ সড়কের মাথা, ফৌজদারহাট, জলিল গেইট, ভাটিয়ারী, মাদামবিবিরহাট, কদমরসুল এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা। এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ রয়েছে। ফলে উভয় দিকে যান চলাচল বন্ধ। পুলিশ বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের সরাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ