এমন কিছু করবেন না যাতে গণতন্ত্র ব্যাহত হয়: মির্জা ফখরুল
Published: 30th, July 2025 GMT
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “আজকে অনেক কথা হচ্ছে, রাজনৈতিক মতানুবাদ হচ্ছে। এটা হবেই, গণতন্ত্রে সেটা স্বাভাবিক। এমন কোনো কিছু করবেন না যাতে আবার গণতন্ত্র ব্যাহত হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আমাদের এই আহ্বান থাকবে।”
তিনি বলেন, “ছোট খাটো বিষয়গুলো নিয়ে এমন অবস্থা তৈরি করবেন না, যাতে আবার ফ্যাসিস্ট হাসিনা সুযোগ পায় দেশে ফিরে আসার। সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আমরা অনুরোধ করব, আসুন যে সমস্যাগুলো আছে সেগুলো মিটিয়ে ফেলে আমরা একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাই। নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করি।”
বুধবার (৩০ জুলাই) সাভারের আশুলিয়ার দারুল ইহসান মাদরাসা মাঠে ‘নারকীয় আশুলিয়া’ শীর্ষক এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এই সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আরো পড়ুন:
কিছু দল পিআর ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বলে শপথ করেছে: ফখরুল
মানুষের প্রয়োজনে না এলে সেই সংস্কার কাজে আসবে না: ফখরুল
মির্জা ফখরুল বলেন, “একজন শহীদের পরিবার অভিযোগ করেছেন, তার স্বামীকে পুড়িয়ে মারার পরে তার কেউ খোঁজ নেয়নি। তাকে কেউ সহযোগিতা করে নাই। আমি ঢাকার ডিসিকে এখানে বসেই ফোন করেছিলাম, সরকার অঙ্গীকার করেছিলেন আহত এবং শহীদের পরিবারগুলোকে প্রাথমিকভাবে ১০ লাখ টাকা করে অনুদান দেবেন। যারা আহত হয়েছিলেন তাদের চিকিৎসার সমস্ত ব্যয়ভার বহন করবেন। আমি এখানে মাত্র দুইজনকে পেয়েছি যারা সেই টাকাটা পেয়েছেন।”
তিনি আরো বলেন, “এই সরকারকে আহ্বান জানাব, আপনাদের যে মেশিনারি আছে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আছেন তারা তথ্য সংগ্রহ করে যেন শহীদ ও আহতদের সহায়তা করেন।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “একটা জাতীকে নিজের দেশকে রক্ষা করার জন্য সজাগ থাকতে হবে। দীর্ঘ ১৫ বছর ফ্যাসিস্ট সরকার দেশের মানুষের ওপর স্ট্রিম রোলার চালিয়েছে। বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে। অনেকে কারাগারে গেছেন। সাভার আশুলিয়ার অনেকের সঙ্গে দেখা হয়েছে কারাগারের মধ্যে।”
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হকসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক সমাবেশে সভাপতিত্বে করেন। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন জেলার সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায়।
সমাবেশের শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাভারে শহীদদের পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য রাখেন। অনেকেই বক্তব্যে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম র জ ফখর ল ইসল ম আলমগ র ব এনপ ব এনপ র সরক র ফখর ল করব ন
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব