আহত সাইফ আলী খানকে দেখতে মুম্বাইয়ে শাকিব?
Published: 19th, January 2025 GMT
কয়েক দিন আগে নিজের বাড়িতে দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হয়েছেন বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খান। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ভারতের বিভিন্ন ফির্ম ইন্ডাস্ট্রির তারকারা সোশ্যাল মিডিয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে পোস্ট দিয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেওয়ার পাশাপাশি অনেক তারকাই মুম্বাইয়ের লীলাবর্তী হাসপাতালে ছুটে যান। যদিও আহত সাইফ আলী খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার অনুমতি সকলে পাননি।
তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ছবিতে দেখা যায়, সাইফের বিছানার পাশে বসে আছেন কোনো কোনো তারকা। এ তালিকায় রয়েছেন— শাহরুখ খান, সালমান খান, অমিতাভ বচ্চন প্রমুখ। এবার সাইফ আলী খানের পাশে দেখা মিলল ঢালিউড কিং শাকিব খানকে। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা সাইফের সঙ্গে যেন কথা বলছেন শাকিব। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ছবিতে এমন দৃশ্য দেখা যায়। সত্যি কি সাইফকে দেখতে মুম্বাই ছুটে গিয়েছেন শাকিব খান? এ ছবির নেপথ্যের গল্প কী?
আরো পড়ুন:
সাইফের হামলাকারী বাংলাদেশি, পুলিশের এই অভিযোগ মিথ্যা: আইনজীবী
গ্রেপ্তার সাইফের হামলাকারী বাংলাদেশি, মুম্বাই পুলিশের ধারণা
সাইফ আলী খান হামলার শিকার হওয়ার পর শাহরুখ খান, সালমান খান, অমিতাভ বচ্চন সত্যি সত্যি মর্মাহত এবং উদ্বিগ্ন। কিন্তু এসব তারকাদের কেউই হাসপাতালে গিয়ে সাইফের সঙ্গে দেখা করেননি। ঢাকাই সিনেমার নাম্বার ওয়ান নায়ক শাকিব খানও মুম্বাই যাননি। সবগুলো ছবিই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি করা; যা তাদের ভক্তরা তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছেন।
গত ১৫ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাতে সাইফ আলী খানের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে এক দুর্বৃত্ত ঢুকে পড়ে। সে সময় বাড়ির সবাই ঘুমাচ্ছিলেন। স্টাফ নার্স লিমার চিৎকারে ঘুম ভাঙে সাইফের। এরপর ওই দুর্বৃত্তের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তার।
একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিকবার সাইফকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় অভিনেতাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেদিন সকালে অস্ত্রোপচার শেষে আইসিইউতে রাখা হয়। এরপর সাধারণ বেডে স্থানান্তর করা হয় সাইফকে। খুব শিগগির হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন চিকিৎসকরা।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
১৭ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় বাংলাদেশের
প্রায় দেড় বছর পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারিয়ে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করল টাইগাররা। ঘরের মাঠে ১৭ মাস ও টানা ছয়টি টেস্টে জয়বিহীন থাকার হতাশা ভুলিয়ে দিল এই দুর্দান্ত সাফল্য।
বাংলাদেশের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান মেহেদী হাসান মিরাজের। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে তুলে নেন সেঞ্চুরি, এরপর বল হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার করেন ৫ উইকেট। টেস্ট ক্রিকেটে এটি তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স। মিরাজ ছাড়াও ৯ উইকেট শিকার করে ম্যাচে বড় অবদান রাখেন তাইজুল ইসলাম, আর ওপেনার সাদমান ইসলামও তুলে নেন দারুণ এক সেঞ্চুরি।
প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে করে ২২৭ রান। জবাবে টাইগাররা তোলে ৪৪৪ রান, পায় ২১৭ রানের লিড। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১১১ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ফলে মাত্র তিন দিনেই টেস্ট জয়ের উৎসবে মাতে স্বাগতিকরা।
বল হাতে টাইগারদের শুরুটা এনে দেন তাইজুল ইসলাম। ইনিংসের সপ্তম ওভারে ব্রায়ান বেনেটকে ফেরান স্লিপে সাদমানের হাতে ক্যাচ করিয়ে। একই ওভারে এলবিডব্লিউ করেন নিক ওয়েলচকে, রিভিউ নিয়ে পান উইকেটটি। এরপর উইলিয়ামসকেও বিদায় করেন অফ স্পিনার নাঈম ইসলাম, দ্বিতীয় স্লিপে সাদমানের হাতেই ধরা পড়েন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
চতুর্থ উইকেটে আরভিন-কারেন জুটি কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও, মিরাজ এসে ভেঙে দেন সেই জুটি। এক ওভারেই ফেরান আরভিন ও মাদেভারেকে। এরপর তাফাদওয়া সিগা, মাসাকাদজা ও কারেনকে ফিরিয়ে ইনিংসে নিজের ফাইফার পূর্ণ করেন মিরাজ। তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এক টেস্টে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন তিনি, সাকিব আল হাসান ও সোহাগ গাজীর পাশে নাম লেখান।
শেষ দিকে আবার বল হাতে ফিরে রিচার্ড এনগারাভাকে ফেরান তাইজুল। এরপর রানআউটের মাধ্যমে শেষ হয় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। এই জয়ে শুধু সিরিজে সমতায়ই ফিরেনি বাংলাদেশ, বরং দেশের মাটিতে দীর্ঘ দিনের টেস্ট জয়ের অপেক্ষাও ঘুচিয়েছে।