৯৭তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের মনোনয়ন তালিকা প্রকাশের পর কোন ছবি হতে পারে অস্কার সেরা, কার হাতে উঠতে পারে এ পুরস্কার– তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের বেভারলি হিলসে একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের স্যামুয়েল গোল্ডউইন থিয়েটারে মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়।

এবারের আসরে একে একে ২৩টি বিভাগে মনোনীতদের নাম জানান ইতালিয়ান-আইরিশ বংশোদ্ভূত আমেরিকান অভিনেত্রী র‌্যাচেল সেনেট ও চীনা বংশোদ্ভূত আমেরিকান অভিনেতা-কমেডিয়ান বোয়েন ইয়েং।

অস্কারের দুটি ওয়েবসাইট ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এবং স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ডিজনি প্লাস ও হুলু’তে সরাসরি দেখানো হয় এ আয়োজন।

একনজরে জেনে নেওয়া যাক মনোনয়ন পাওয়া চলচ্চিত্র, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নাম।

সেরা চলচ্চিত্র
আনোরা (অ্যালেক্স কোকো, সামান্থা কোয়ান, শন বেকার), এমিলিয়া পেরেজ (নেটফ্লিক্স), দ্য ব্রুটালিস্ট (এ২৪), অ্যা কমপ্লিট আননোন (ফ্রেড বার্গার, জেমস ম্যানগোল্ড, অ্যালেক্স হাইনম্যান), আই অ্যাম স্টিল হিয়ার, নিকেল বয়েজ, দ্য সাবস্ট্যান্স, উইকেড (মার্ক প্লাট), কনক্লেভ (টেসা রস, জুলিয়েট হাওয়েল, মাইকেল অ্যা.

জ্যাকম্যান), ডুন: পার্ট টু (ম্যারি প্যারেন্ট, কেল বয়টার, তানিয়া লাপয়েন্ট, ডেনি ভিলন্যুভ)  

অভিনেতা
সেবাস্টিয়ান স্ট্যান (দি অ্যাপ্রেন্টিস), তিমোতি শালামে (অ্যা কমপ্লিট আননোন), কোলম্যান ডমিঙ্গো (সিং সিং), অ্যাড্রিয়েন ব্রডি (দ্য ব্রুটালিস্ট), র‌্যালফ ফাইনস (কনক্লেভ) 

অভিনেত্রী
কার্লা সোফিয়া গাসকোন (এমিলিয়া পেরেজ), সিনথিয়া এরিভো (উইকেড), ফার্নান্দা তোরেস (আই অ্যাম স্টিল হিয়ার), মাইকি ম্যাডিসন (আনোরা), ডেমি মুর (দ্য সাবস্ট্যান্স) 

পার্শ্ব অভিনেতা
কিয়ের‌্যান কালকিন (অ্যা রিয়েল পেইন), এডওয়ার্ড নর্টন (অ্যা কমপ্লিট আননোন), গাই পিয়ার্স (দ্য ব্রুটালিস্ট), ইউরা বরিসভ (আনোরা), জেরেমি স্ট্রং (দ্য অ্যাপ্রেন্টিস)

পার্শ্ব অভিনেত্রী
ইজাবেলা রসেলিনি (কনক্লেভ), জোয়ি সালদেনিয়া (এমিলিয়া পেরেজ), মনিকা বারবারো (অ্যা কমপ্লিট আননোন), আরিয়ানা গ্রান্ডে (উইকেড), ফেলিসিটি জোন্স (দ্য ব্রুটালিস্ট), 

পরিচালক
জেমস ম্যানগোল্ড (অ্যা কমপ্লিট আননোন), ব্র্যাডি কোর্বে (দ্য ব্রুটালিস্ট), জ্যাক অঁডিয়ার (এমিলিয়া পেরেজ), কোরালি ফারজাঁ (দ্য সাবস্ট্যান্স), শন বেকার (আনোরা)

মৌলিক চিত্রনাট্য
দ্য সাবস্ট্যান্স (কোরালি ফারজাঁ), দ্য ব্রুটালিস্ট (ব্র্যাডি কোর্বে, মোনা ফাস্টফল্ড), অ্যা রিয়েল পেইন (জেসি আইজেনবার্গ), আনোরা (শন বেকার), সেপ্টেম্বর ফাইভ (মরিৎজ বিন্ডার, টিম ফেলবাম, অ্যালেক্স ডেভিড) 

রূপান্তরিত চিত্রনাট্য
অ্যা কমপ্লিট আননোন (জেমস ম্যানগোল্ড, জে ককস), সিং সিং (ক্লিন্ট বেন্টলি, গ্রেগ কিডার, ক্লারেন্স ম্যাকলিন, জন ডিভাইন, জি হুইটফিল্ড), কনক্লেভ (পিটার স্ট্রাউহ্যান), এমিলিয়া পেরেজ (জ্যাক অঁদিয়ার, টমা বিদেগেঁ, লেয়া মিসিয়াস, নিকোলা লাভাকি), নিকেল বয়েজ (রামেল রস, জসলিন বার্নস)

আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র
আই অ্যাম স্টিল হিয়ার (ব্রাজিল), ফ্লো (লাটভিয়া), দ্য গার্ল উইথ দ্য নিডল (ডেনমার্ক), এমিলিয়া পেরেজ (ফ্রান্স), দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (ইরান)। 

এ ছাড়া আরও বিভিন্ন শাখায় সেরাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কনক ল ভ এম ল য়

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশে গিয়েও সুদিন ফেরেনি, কলা চাষে এল সাফল্য

দীর্ঘদিনের পরিত্যক্ত এক একর জমি এখন সবুজে আচ্ছাদিত। সেখানে দেড় বছর আগে রোপণ করা হয় ৩২০টি কলা গাছ। সঠিক পরিচর্যা পেয়ে গাছগুলো সুস্থ ও সবল হয়ে বেড়ে উঠেছে। সারি সারি কলাগাছে ঝুলছে কলার ছড়া। মেহের সাগর জাতের এই কলা চাষে সুদিন ফিরেছে বিদেশ ফেরত আবু সিদ্দিকের।

আবু সিদ্দিক (৫৫) চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বাসিন্দা। স্ত্রী ও পাঁচ সন্তানের পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তিনি। ২০১৭ সালে জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবে পাড়ি জমান। সেখানে শারীরিক অসুস্থতার কারণে অধিকাংশ সময় বেকার থেকেছেন। তাই প্রবাসে গিয়েও সচ্ছলতার মুখ দেখেননি। ২০২৪ সালে দেশে ফিরে আসেন সিদ্দিক। স্থানীয় বাজারগুলোতে সারা বছর চাহিদা থাকায় কলা চাষের উদ্যোগ নেন, তবে তাঁর নিজের কোনো জমি নেই।

লোহাগাড়া উপজেলা সদর থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক হয়ে আট কিলোমিটার দক্ষিণে চুনতি শাহ সাহেব গেট। সেখান থেকে চুনতি ইসহাক মিয়া সড়ক ধরে গেলে হাতের ডানে একটি মাঠের পর চুনতি সুফি নগর বাগানপাড়া এলাকায় আবু সিদ্দিকের কলাবাগানটি চোখে পড়ে।

আবু সিদ্দিক বলেন, খুঁজতে খুঁজতে বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে পরিত্যক্ত এক একর জমি চোখে পড়ে তাঁর। বছরে ছয় হাজার টাকায় ওই জমি ভাড়া নেন। কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নিয়ে গত বছরের জুনে শুরু করেন কলা চাষ। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪০ টাকা দরে ৩২০টি চারা সংগ্রহ করেন তিনি। এতে তাঁর খরচ হয় ১৩ হাজার টাকা। রোপণের ১০ মাস পর কলা বিক্রির উপযোগী হয়। সাত মাস আগে থেকেই তিনি কলা বিক্রি শুরু করেছেন। শ্রমিকের মজুরি, সার, কীটনাশক ও নিয়মিত সেচ বাবদ এ পর্যন্ত তাঁর খরচ হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। প্রতিটি ছড়া গড়ে ৫০০ টাকা দরে গত ৭ মাসে আড়াই লাখ টাকার কলা বিক্রি করেছেন তিনি। এখন খরচ বাদে কলা ও গাছের চারা বিক্রি করে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা পান সিদ্দিক।
সম্প্রতি সরেজমিন দেখা যায়, ১ একর আয়তনের জমিতে ৬ ফুট দূরত্বে রোপণ করা হয়েছে ৩২০টি মেহের সাগর জাতের কলাগাছ। একটি গাছ থেকে নতুন চারা গজিয়ে আরও চার থেকে পাঁচটি গাছ হয়েছে। প্রায় প্রতিটি আট ফুট উচ্চতার প্রাপ্তবয়স্ক গাছে ঝুলছে কলার ছড়া। একেকটি ছড়ায় রয়েছে ৮০ থেকে ১৫০টি কলা। আবু সিদ্দিক সেখানে কলাগাছের আগাছা পরিষ্কার করছিলেন।

সম্প্রতি সরেজমিন দেখা যায়, ১ একর আয়তনের জমিতে ৬ ফুট দূরত্বে রোপণ করা হয়েছে ৩২০টি মেহের সাগর জাতের কলাগাছ। একটি গাছ থেকে নতুন চারা গজিয়ে আরও চার থেকে পাঁচটি গাছ হয়েছে। প্রায় প্রতিটি আট ফুট উচ্চতার প্রাপ্তবয়স্ক গাছে ঝুলছে কলার ছড়া। একেকটি ছড়ায় রয়েছে ৮০ থেকে ১৫০টি কলা।

কলা চাষে সফলতার মুখ দেখে উৎসাহিত হয়ে এক মাস আগে আধা কিলোমিটার দূরত্বে নতুন করে ২ বিঘা জমিতে আরও ৬০০টি কলাগাছ লাগিয়েছেন সিদ্দিক। তিনি বলেন, কলা চাষে প্রথমবার চারা কিনতে যে ব্যয় হয়েছিল, পরের বার তা ব্যয় হবে না। খরচ অর্ধেকে নেমে আসবে। প্রতিবছর চারা বিক্রির টাকা দিয়ে খরচ মেটানো সম্ভব হবে। এতে এক একর এই বাগান থেকে খরচ বাদে প্রতিবছর সাড়ে তিন লাখ টাকা আয় হবে তাঁর। স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ীরা বাগানে এসে কলা নিয়ে যান। তাই বাড়তি শ্রম ও পরিবহন খরচ দিয়ে বাজারে নিয়ে যেতে হয় না। জমি পেলে কলা চাষের পরিধি বাড়াবেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে লোহাগাড়া উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সরোয়ার আলম প্রথম আলোকে বলেন, কঠোর পরিশ্রমের কারণে আবু সিদ্দিক সফল হয়েছেন। তাঁকে প্রণোদনা হিসেবে সার ও অর্থসহায়তা দেওয়া হচ্ছে। লোহাগাড়ার আবহাওয়া ও মাটি কলা চাষের জন্য উপযোগী। তা ছাড়া এ অঞ্চলে কলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ