প্লে’অফের দৌড়ে দুর্বার রাজশাহীর সামনে দারুণ এক সুযোগ। নিজেদের শেষ ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্স মাত্র ১১৮ রানের লক্ষ্য দিতে পারে। 

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেটে ১১৭ রান করে সিলেট। শেষ তিন ওভারে ৪১ রান নিয়ে শতরান পার হতে পারে প্লে’অফ থেকে ছিটকে যাওয়া সিলেট।

১১ বলে ১টি ছয় ও ২টি চারের মারে সুমন খান ২০ রান করে অপরাজিত ছিলেন। এ ছাড়া আহসান ভাটি ২১ বলে ২৫ ও জাকির হাসান ২৫ বলে ২৪ রান করেন। জাকের আলী ১৮ বলে ১৭ রান করেন।

আরো পড়ুন:

‘টাকা থাকলে দল নেবে, না থাকলে নেবে না’—বলছেন মালান

এবার দুই বিদেশি নিয়ে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে রাজশাহী

শুরু থেকে উইকেটের মিছিলে বিপর্যস্ত ছিল সিলেট। ৭২ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে। চার ব্যাটার ছাড়া আর কেউ দুই অঙ্কের ঘরের মুখ দেখেননি।

রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেনে এসএম মেহরব। ৩ উইকেট নেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।

উল্লেখ্য, ১১ ম্যাচে পাঁচ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে রাজশাহীর অবস্থান চতুর্থ স্থানে। আজ জিতলেই পয়েন্ট হবে ১২। আজ আগের ম্যাচে খুলনা টাইগার্স হেরে যাওয়ার তাদের পথ কিছুটা সুগম। বাকি থাকা দুই ম্যাচে খুলনা জিতলে তখন নেট রান রেটের হিসেব আসবে।

এ ছাড়া ৯ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে চিটাগং কিংসের অবস্থান তৃতীয় স্থানে। তাদের হাতে আছে আরও তিন ম্যাচ। রংপুরের সঙ্গে ফরচুন বরিশাল প্লে’অফ নিশ্চিত করেছে। বাকি থাকা দুটি স্থানের জন্য লড়াই করবে রাজশাহী-খুলনা-চিটাগং। 

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল র ন কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ