যুক্তরাষ্ট্রে এক দিনে গ্রেপ্তার প্রায় ১ হাজার অভিবাসী
Published: 28th, January 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ (আইসিই)-এর নেতৃত্বে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত দেশব্যাপী অভিযানে ৯৫৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় ফিরে আসার পর এটিই সবচেয়ে বড় অভিযান বলে জানিয়েছে আইসিই। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর, যেমন শিকাগো, নিউয়ার্ক (নিউজার্সি) ও মিয়ামিতে পরিচালিত এই অভিযানে সম্প্রসারিত ক্ষমতাসম্পন্ন একাধিক ফেডারেল সংস্থা অংশ নেয়। খবর বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ান।
সমঝোতায় ট্রাম্প-পেত্রো: অভিবাসী ও বাণিজ্য বিরোধ ইস্যুতে সমঝোতায় পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো। হোয়াইট হাউস বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাঠানো অবৈধ অভিবাসীবাহী সামরিক বিমান নামতে দেবে কলম্বিয়া। ট্রাম্প প্রশাসনও কলম্বিয়ার ওপর আরোপ করা শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপ থেকে সরে আসবে।
রোববার এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়, কলম্বিয়া সব অভিবাসীকে গ্রহণ করতে রাজি হয়েছে। কাজেই ওয়াশিংটন শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে না। কলম্বিয়া সরকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সব শর্ত মেনে নিয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সামরিক বিমানে কলম্বিয়ায় ফেরা সব অবৈধ অভিবাসীকে কোনো বিধিনিষেধ বা দেরি ছাড়া ফেরানোর বিষয়টিও রয়েছে।
ট্রাম্প ও পেত্রোর পাল্টাপাল্টি অবস্থান দেখা যায় রোববার। যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাঠানো অবৈধ অভিবাসী বোঝাই দুটি সামরিক বিমান কলম্বিয়ায় অবতরণে বাধা দেন পেত্রো। এতে বেজায় চটে যান ট্রাম্প। তিনি বলেন, কলম্বিয়া থেকে আসা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন তিনি। জারি করা হবে ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞাও। ট্রাম্পের এমন ঘোষণায় চুপ থাকেননি প্রেসিডেন্ট পেত্রো। এমন করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যেও পাল্টা শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দেয় দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশ। তবে দিন না পেরোতে উত্তেজনা কমে আসে হোয়াইট হাউসের ঘোষণায়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কলম ব য়
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’