সিনেটে ট্রাম্পের পছন্দের ব্যক্তিকে নাকানি-চুবানি
Published: 10th, July 2025 GMT
সিঙ্গাপুরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মনোনীত প্রার্থী অঞ্জনী সিনহা তার সিনেটের অনুমোদনের শুনানিতে রীতিমতো নাকানি-চুবানি খেয়েছেন। সিঙ্গাপুর সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে ‘অযোগ্য’ বলে আখ্যা দিয়েছেন এক সিনেটর।
বুধবার সিনেটর ট্যামি ডাকওয়ার্থ সিঙ্গাপুরের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দ্বীপরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে ডা.
ভারতে জন্মগ্রহণকারী, ডা. সিনহা একজন অর্থোপেডিক এবং স্পোর্টস মেডিসিন সার্জন। তিনি বর্তমানে ফ্লোরিডায় বসবাস করেন এবং নিউ ইয়র্কে বেশ কয়েকটি ক্লিনিক চালু করেছিলেন। ডা, সিনহার মনোনয়নের ঘোষণা প্রথম মার্চ মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প করেছিলেন। ট্রাম্প তাকে ‘অত্যন্ত সম্মানিত উদ্যোক্তা’ হিসেবে প্রশংসা করেছিলেন।
সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির নিশ্চিতকরণ শুনানির সময় রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম ডা. সিনহাকে ‘এক দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বন্ধু’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন।
শুনানিতে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সিনেটর মিসেস ডাকওয়ার্থ ডা. সিনহাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত সম্পর্কে প্রশ্ন করেন। এর উত্তরে সিনহা প্রথমে ৮০ বিলিয়ন এবং পরে ১৮ বিলিয়ন বলেছিলেন।
সিনেটর ডাকওয়ার্থ বলেন, সঠিক উত্তর হচ্ছে ২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার।
এরপর সিনহার কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি সিঙ্গাপুরবাসীকে ট্রাম্পের ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কীভাবে রাজি করাবেন। জবাবে সিনহা বিভিন্ন উত্তর দিয়েছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত বলেন, ‘সংলাপ এখনো শেষ হয়নি।’
ডাকওয়ার্থ তাকে সিঙ্গাপুরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ান নেশনস অ্যাসোসিয়েশন (আসিয়ান) আঞ্চলিক ব্লকের দেশটির আসন্ন চেয়ারম্যান পদ এবং সিঙ্গাপুরে মার্কিন নৌবাহিনীর উপস্থিতি সম্পর্কেও প্রশ্ন করেছিলেন। এর কোনোটিরই যথাযথ উত্তর দিতে পারেননি সিনহা।
শুনানি শেষে ডাকওয়ার্থ বিরক্ত হয়ে বলেন, “আমার মনে হচ্ছে আপনি এটাকে গুরুত্বের সাথে নিচ্ছেন না। আপনি মনে করেন এটি একটি গ্ল্যামার পোস্টিং, যেখানে আপনি সিঙ্গাপুরে একটি সুন্দর জীবনযাপন করতে যাচ্ছেন। অথচ আমাদের যা দরকার তা হচ্ছে এমন একজন যিনি আসলে কাজটি করতে পারেন। আপনি বর্তমানে এই পোস্টিংয়ের জন্য প্রস্তুত নন এবং আপনাকে কিছু হোমওয়ার্ক করতে হবে।”
শুনানির এই ভিডিও পোস্ট হওয়ার পরে ট্রাম্পের এই পছন্দের ব্যক্তির তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।
একজন মন্তব্যকারী লিখেছেন, “কোনটি সবচেয়ে খারাপ অপমান, শুল্ক নাকি তাকে সিঙ্গাপুরে রাষ্ট্রদূত হিসেবে রাখা?”
আরেকজন লিখেছেন, “এই লোকটি রাষ্ট্রদূত হওয়ার জন্য অনেক বেশি বিব্রতকর।”
ঢাকা/শাহেদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ছ ল ন র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
যমুনা ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন
যমুনা ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের সভায় ব্যাংকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মো. বেলাল হোসেন সর্বসম্মতিক্রমে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি দেশের একজন সফল উদ্যোক্তা। খবর বিজ্ঞপ্তি
যমুনা ব্যাংকের ওয়েবসাইটের তথ্যানুসারে, মো. বেলাল হোসেন ১৯৫৬ সালে নওগাঁ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ব্যবসা-বাণিজ্যের জগতে তাঁর পরিবারের দেশ-বিদেশে সুনাম আছে। পরিবারের মালিকানাধীন বৃহৎ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ছাড়াও আছে নানা ধরনের ক্ষুদ্র ও বৃহৎ খাদ্যশস্য শিল্প। তিনি একজন বিশিষ্ট আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক। বর্তমানে তিনি বেলকন কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড, বিএইচ হাইটেক ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড, নাদিয়া ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড ও বিএইচ স্পেশালাইজড কোল্ডস্টোরেজ প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বেলাল হোসেন নওগাঁ, দিনাজপুর ও হিলি অঞ্চলের বিভিন্ন ক্রীড়া ও ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। ২০০৪ সালে তিনি বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে অতীশ দীপঙ্কর গবেষণা পরিষদের এডিজিপি ফেলো মেম্বারশিপ সম্মাননা লাভ করেন। ২০০৫ সালে এফএনএস বিজনেস অ্যাওয়ার্ডে সেরা কৃষিভিত্তিক শিল্প উদ্যোক্তা হিসেবে স্বীকৃতি পান।
বেলাল হোসেন নওগাঁ রাইস মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, নওগাঁ এবং বাংলাদেশ অটো মেজর ও হাসকিং মিল মালিক সমিতি, ঢাকার কার্যনির্বাহী সদস্য।