চলতি বছরের দাখিল পরীক্ষায় মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে দেশসেরা হয়েছে ঝালকাঠির এনএস কামিল মাদ্রাসা। প্রতিষ্ঠানটি থেকে এ বছর ৪২৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাসের হার ৯৯.৭৭ শতাংশ। অকৃতকার্য হয়েছে একজন।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা গাজী শহিদুল ইসলাম বলেন, দেশের গড় ফলে এনএস কামিল মাদ্রাসা সেরা বিবেচিত হয়েছে। এ জন্য শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসী খুবই আনন্দিত। 

তিনি জানান, জিপিএ ৫ প্রাপ্তির হার প্রায় ৫৪ শতাংশ। ২২৭ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে। সাধারণ বিভাগে এ প্লাস পেয়েছে ১১০ জন, বিজ্ঞান বিভাগে ১১৭ জন।

অধ্যক্ষ বলেন, ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ মাদ্রাসায় আমরা ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা ও আধুনিক জ্ঞানচর্চাতেও সমান গুরুত্ব দেই। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় সাত হাজার শিক্ষার্থী এখানে অধ্যয়নরত।

প্রতিষ্ঠানের এ সাফল্যের কারণ হিসেবে অধ্যক্ষ জানান, দলীয় রাজনীতিমুক্ত শিক্ষাঙ্গন, সেমিস্টার পদ্ধতিতে শিক্ষা গ্রহণ, শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় ক্লাস টেস্ট, দুর্বল ছাত্রদের ফিডব্যাক ক্লাস, অভিভাবক সম্মেলনসহ শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়ন, আবাসিক ছাত্রদের সার্বক্ষণিক মনিটরিং, টিউটর দিয়ে আবাসিক ক্লাস গ্রহণসহ সময়োপযোগী ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগুলোয় এ প্রতিষ্ঠান গৌরবোজ্জ্বল ফল লাভ করছে। এ ছাড়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ইসলামী চিন্তাবিদ হযরত আযীযুর রহমান কায়েদের ছেলে মাওলানা খলিলুর রহমান নেছারাবাদীর পৃষ্ঠপোষকতাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে জানান তিনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঝ লক ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

টোল আদায়ে অনিয়মের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল আদায়ের কাজে চুক্তিগত অনিয়ম, দরপত্রে কারসাজি ও সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার সংস্থাটির ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১–এ দুদকের সহকারী পরিচালক তানজিল হাসান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) এ তথ্য জানান।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে ‘কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম লিমিটেড’কে (সিএনএস) উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। টাকার অঙ্কে কাজের মূল্য নির্ধারণ না করে বরং মোট আদায়কৃত টোলের ১৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করা হয়। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি মোট ৪৮৯ কোটি ৪৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা বিল তুলেছে। দুদক বলছে, এ প্রক্রিয়ায় সরকারের প্রায় ৩০৯ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ওবায়দুল কাদের ও আনিসুল হককে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া সাবেক প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, অতিরিক্ত সচিব ফারুক জলিল, উপসচিব মোহাম্মদ শফিকুল করিম, প্রধান প্রকৌশলী ফিরোজ ইকবাল ও ইবনে আলম হাসান, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আফতাব হোসেন খান ও আবদুস সালাম এবং সিএনএস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনীর উজ জামান চৌধুরী, পরিচালক সেলিনা চৌধুরী ও ইকরাম ইকবালকেও আসামি করা হয়েছে।

দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাৎ করেছেন, যা দণ্ডবিধি ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

আরও পড়ুনমেঘনা–গোমতী, শাহ আমানতসহ সওজের ২৬ সেতুতে ব্যয়ের বহুগুণ আয়, তবু টোল ০৯ নভেম্বর ২০২৪

দুদকের মামলায় বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে সিএনএসকে টোল আদায়ের দায়িত্ব দিতে আগের দরপত্র ‘ইচ্ছাকৃতভাবে বাতিল’ করা হয়। এরপর ‘একক উৎসভিত্তিক’ দরপত্র আহ্বান করে কেবল সিএনএসের সঙ্গে আলোচনা করে পাঁচ বছরের জন্য চুক্তি করা হয়। টাকার অঙ্ক নির্ধারণের পরিবর্তে মোট টোল আদায়ের ১৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে (ভ্যাট ও আয়কর বাদে) সার্ভিস চার্জ ধার্য করা হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, ২০১০-১৫ মেয়াদে একই সেতুর টোল আদায়ের দায়িত্বে ছিল এমবিইএল-এটিটি। তারা টোল আদায়ের কাজটির জন্য মাত্র ১৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকা নিয়েছিল। এরপর সিএনএসের পর ২০২২-২৫ মেয়াদে ইউডিসি কনস্ট্রাকশন লিমিটেডকে ৬৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকায় টোল আদায়ের কাজটি দেওয়া হয়, যা পাঁচ বছরে রূপান্তর করলে দাঁড়ায় ১১২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।

এর তুলনায় সিএনএস একই মেয়াদের জন্য প্রায় পাঁচ গুণ বেশি বিল তোলে এবং তথাকথিত ‘নতুন প্রযুক্তি স্থাপন ও অবকাঠামো ব্যয়’ বাবদ আরও ৬৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা দাবি করে। দুদক বলছে, এভাবেই সরকারের মোট আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩০৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা।

আরও পড়ুনআনিসুলের প্রভাব, কাদেরের আশীর্বাদে টোল আদায়ে ব্যবসা সিএনএসের১১ নভেম্বর ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টোল আদায়ে অনিয়মের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা