বান্দরবানের রোয়াংছড়ির দেবতাখুম পর্যটন এলাকার তারাছা খালে ডুবে উবাইচিং মারমা (৪০) নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে শীলবান্ধাপাড়ার নিচের খাল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের মাথায় সামান্য আঘাতের দাগ পাওয়া গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এর এক সপ্তাহ আগে ২৫ জুলাই শীলবান্ধাপাড়ায় উথোয়াইশৈ মারমা (১৮) নামের আরও একজনের মৃত্যু হয়েছিল। চোলাই মদ পান করে তাঁর দুই বন্ধু তাঁকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পরে তারাছা খাল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, উবাইচিং মারমা পারিবারিক সমস্যায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। গতকাল বুধবার রাতে পাড়ার বৌদ্ধবিহারে ঘুমাতে গিয়েছিলেন তিনি। গভীর রাতে বৌদ্ধবিহার থেকে তিনি উধাও হয়ে যান। সকালে পাড়ার নিচে তারাছা খালে তাঁর লাশ পাওয়া যায়।

দেবতাখুমসংলগ্ন শীলবান্ধাপাড়া রোয়াংছড়ি উপজেলা সদর থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে আলেক্ষ্যং ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত। আলেক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ তঞ্চঙ্গ্যা জানিয়েছেন, বছরখানেক আগে স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকে উবাইচিং মারমা মানসিকভাবে কিছুটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। তাঁর দুই সন্তান ও বৃদ্ধা মা ছাড়া বাড়িতে কেউ নেই। রাতে কী মনে করে হয়তো খালে গিয়ে পানিতে পড়ে মারা গেছেন। কারও সঙ্গে তাঁর কোনো বিরোধ নেই।

রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম সাকের আহমেদ জানিয়েছেন, তারাছা খাল থেকে উবাইচিং মারমার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর মাথায় সামান্য আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। সেটি পানির স্রোতে পাথরের সঙ্গে আঘাতে হয়েছে কি না, বলা যাচ্ছে না। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ