আদার গুণের অভাব নেই। গলা খুশখুশ করলে আদা চিবিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। মাথাব্যথা কমাতে পারে আদার রস। আদা চা পান করলে পেটের সমস্যা দূর হয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, ব্রণও দূর করতে পারে আদার রস। কারণ আদার রসে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ব্রণ হওয়ার জন্য দায়ী হরমোণগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করে। সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালীন একটি সমস্যা। এ ছাড়া বিভিন্ন বয়সে নারী ও পুরুষদের ব্রণের সমস্যা দেখা যেতে পারে। ব্রণের সমস্যায় চিন্তিত হওয়ার তেমন কোনো কারণ নেই।
ব্রণ কেন হয়? কখনও লিভারের জমে থাকা টক্সিন, আবার কখনও হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ব্রণের জন্য দায়ী। এ ছাড়া জীবাণুর সংক্রমণ, ত্বকের অযত্ন, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, তৈলাক্ত ও অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, ঘুম না হওয়া, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া ইত্যাদির কারণেও ব্রণ হতে পারে। ব্রণ থেকে বাঁচার প্রথম শর্ত পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন ও সুনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। এ ছাড়া ব্রণের সমস্যা কমাতে আপনি আদার সাহায্য নিতে পারেন। আদার রস খেলে ত্বকের সমস্যা কমাতে পারবেন।
আদা যে উপায়ে ব্রণর সমস্যা কমায়: আদায় রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি যৌগ রয়েছে। যা ত্বকের প্রদাহ, জ্বালা ভাব কমাতে সাহায্য করে। আদার মধ্যে উচ্চ পরিমাণে জিঞ্জেরল রয়েছে। এতে থাকা বায়োঅ্যাক্টিভ যৌগই ব্রণ-প্রবণ ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। আদার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদানগুলো জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। আদা হজমজনিত সমস্যা দূর করে। লিভারে জমে থাকা টক্সিন বের করে দেয়। এর ফলে পেটের সমস্যার জন্য যদি ব্রণ হয়, সেটাও কমে যাবে আদার রস খেয়ে। হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে। আদায় থাকে অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং কর্টিসল হরমোন (স্ট্রেস হরমোন)-এর মাত্রা কমায়। এতে ত্বকে ব্রণর সমস্যা কমে যায়। অন্যদিকে, আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্রি র্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে এবং ব্রণর হাত থেকে ত্বককে বাঁচায়।
আরো পড়ুন:
লাল টুকটুকে অপুর নজরকাড়া কয়েকটি লুক
পাঁচ মিনিটে মেকআপ করার উপায়
কীভাবে খাবেন: দুই ইঞ্চি পরিমাণ আদা নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। এরপর মিক্সিতে আদা পেস্ট করে এর রস বের করে নিন। তারপর আদার রসে ২-৩ চামচ পানি, ১ চামচ লেবুর রস, এক চিমটি হলুদ গুঁড়া ও মধু মিশিয়ে নিন। সকালে খালি পেটে এই আদার রস পান করুন। এতেই ব্রণ ও ত্বকের অন্যান্য সমস্যা কমবে।
সূত্র: এই সময়
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গান নিয়েই আমার সব ভাবনা
কর্নিয়া। তারকা কণ্ঠশিল্পী। অনলাইনে প্রকাশ পাচ্ছে বেলাল খানের সঙ্গে গাওয়া তাঁর দ্বৈত গান ‘তুমি ছাড়া নেই আলো’। এ আয়োজন ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হয় তাঁর সঙ্গে–
‘ভাঙা ঘর’ ও ‘আদর’-এর পর প্রকাশ পাচ্ছে ‘তুমি ছাড়া নেই আলো’। একনাগাড়ে দ্বৈত গান গেয়ে যাচ্ছেন, কারণ কী?
শ্রোতাদের চাওয়া আর নিজের ভালো লাগা থেকেই দ্বৈত গান গাওয়া, এর বাইরে আলাদা কোনো কারণ নেই। কারণ, সব সময় ভাবনায় এটাই থাকে, যে কাজটি করছি, তা শ্রোতার প্রত্যাশা পূরণ করবে কিনা। সেটি একক, না দ্বৈত গান– তা নিয়ে খুব একটা ভাবি না। তা ছাড়া রুবেল খন্দকারের সঙ্গে গাওয়া ‘ভাঙা ঘর’ ও অশোক সিংয়ের সঙ্গে গাওয়া ‘আদর’ গান দুটি যেমন ভিন্ন ধরনের, তেমনি বেলাল খানের সঙ্গে গাওয়া ‘তুমি ছাড়া নেই আলো’ অনেকটা আলাদা। আসল কথা হলো, যা কিছু করি, তার পেছনে শ্রোতার ভালো লাগা-মন্দ লাগার বিষয়টি প্রাধান্য পায়।
দ্বৈত গানের সহশিল্পী হিসেবে নতুনদের প্রাধান্য দেওয়ার কারণ?
সহশিল্পীর কণ্ঠ ও গায়কি যদি শ্রোতার মনোযোগ কেড়ে নেওয়ার মতো হয়, তাহলে সে তরুণ, নাকি তারকা– তা নিয়ে ভাবার প্রয়োজন পড়ে না। এমন তো নয় যে, নতুন শিল্পীরা ভালো গাইতে পারে না। তা ছাড়া তারকা শিল্পী ছাড়া দ্বৈত গান গাইব না– এই কথাও কখনও বলিনি। তাই দ্বৈত গানে তারকাদের পাশাপাশি নতুনদের সহশিল্পী হিসেবে বেছে নিতে কখনও আপত্তি করিনি।
প্রতিটি আয়োজনে নিজেকে নতুন রূপে তুলে ধরার যে চেষ্টা, তা কি ভার্সেটাইল শিল্পী প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য?
হ্যাঁ, শুরু থেকেই ভার্সেটাইল শিল্পী হিসেবে পরিচিতি গড়ে তুলতে চেয়েছি। এ কারণে কখনও টেকনো, কখনও হার্ডরক, আবার কখনও ফোক ফিউশনের মতো মেলোডি গান কণ্ঠে তুলেছি। গায়কির মধ্য দিয়ে নিজেকে বারবার ভাঙার চেষ্টা করছি। সব সময়ই নিরীক্ষাধর্মী গান করতে ভালো লাগে। একই ধরনের কাজ বারবার করতে চাই না বলেই নানা ধরনের গান করছি। নিজেকে ভেঙে সব সময়ই নতুনভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা জারি রাখছি।
প্রযোজক হিসেবে নিজের চ্যানেলের জন্য নতুন কী আয়োজন করছেন?
আয়োজন থেমে নেই। তবে কবে নতুন গান প্রকাশ করব– তা এখনই বলতে পারছি না। কারণ একটাই, অন্যান্য কাজের মতো গান তো ঘড়ি ধরে কিংবা সময় বেঁধে তৈরি করা যায় না। একেকটি গানের পেছনে অনেক সময় দিতে হয়। কোনো কোনো গানের কথা-সুর-সংগীতের কাটাছেঁড়া চলে দিনের পর দিন। এরপর যখন তা সময়োপযোগী হয়েছে বলে মনে হয়, তাখনই প্রকাশ করি।
গান গাওয়ার পাশাপাশি মডেলিং বা অভিনয় করার ইচ্ছা আছে?
সত্যি এটাই, গান নিয়েই আমার সব ভাবনা। তারপরও অনেকের অনুরোধে কয়েকটি পত্রিকার ফ্যাশন পাতার জন্য মডেল হিসেবে কাজ করেছি। তবে মডেল হব– এমন ইচ্ছা নিয়ে কাজ করিনি। অভিনয় নিয়েও কিছু ভাবি না। অন্য কোনো পরিচয়ে পরিচিত হতে চাই না।