শরিফুলের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং, ৫ রানে ৪ উইকেট
Published: 30th, January 2025 GMT
মাত্র পাঁচ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এটি তার ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং। সঙ্গে খালেদ আহমেদের তোপে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান শক্ত করলো চিটাগং কিংস।
মিরপুর শের-ই-বাংলায় বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) চিটাগং কিংস সিলেট স্ট্রাইকার্সের মুখোমুখি হয়। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৯৬ রান করে বন্দরনগরীর ফ্র্যাঞ্চাজিটি। তাড়া করতে নেমে ১৫.
৯৬ রানের জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ দুইয়ে থাকার সুযোগ রয়েছে চিটাগং। সিলেটের কেউই বিশের বেশি রান করতে পারেনি। সর্বোচ্চ ১৯ রান করেন জাকির হাসান। ১৭ রান করে আসে রনি তালুকদার-জাকের আলীর ব্যাট থেকে।
আরো পড়ুন:
বিপিএলে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক ইস্যুতে ‘সত্যানুসন্ধান কমিটি’
দুর্নামের দায়ভার নিল বিসিবি, নজরদারিতে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা
৩.২ ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন শরিফুল। এর আগে ২৪ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। খালেদ ৩ ওভারে ৩১ রান দিয়ে নেন সমান ৪ উইকেট।
এর আগে টাকা না পাওয়া খাজা মোহাম্মদ নাফের ঝড় নাফের ঝড়, মাঝে মোহাম্মদ মিথুনের ক্যালকুলেটিভ ব্যাটিং আর শেষে শামীম হোসেন-খালেদ আহমেদের ঝড়ে দুইশর কাছে গিয়ে চিটাগং কিংস।
সপ্তম জুটিতে শামীম-খালেদ মাত্র ৩০ বলে ৬১ রান যোগ করেন। ২ ছক্কা ৪ চারে শামীম ২৩ বলে ৩৮ ও খালেদ ২ ছক্কা ২ চারে ১৩ বলে ২৫ রান করে বড় পুঁজিতে অবদান রাখেন।
শুরুটা হয় বাজে। প্রথম ওভারের শেষ বলে ফেরেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন (১)। ক্রিজে এসে ১ রানের বেশি করতে পারেননি গ্রাহাম ক্লার্ক। এরপর মিথুনকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন নাফে। দুজনে ৫১ বলে ৯৪ রান যোগ করেন।
মাত্র ৩০ বলে ৫২ রান করেন নাফে। মিথুনের ব্যাট থেকে আসে ৩৮ বলে ৫২ রান। সুবিধা করতে পারেননি আগের ম্যাচের নায়ক হায়দার আলী। রাহাতুল ফেরদাউসের ব্যাটও হাসেনি। তবে তাদের অভাব পূরণ করেছেন শামীম-খালেদ।
৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন তানজীম হাসান সাকিব। দুটি করে উইকেট নেন রুয়েল মিয়া ও সামিউল্লাহ শিনওয়ারি।
ঢাকা/রিয়াদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ৪ উইক ট ন র ন কর
এছাড়াও পড়ুন:
নড়াইলে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নে সড়কের পাশে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে শাহবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ ১৩ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন ও প্রশিকার গঠিত সংগঠন প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি নড়াইল সদর উপজেলার তুজরডাঙ্গা এলাকার মুজিবুর রহমান, সদস্য একই এলাকার জরিনা বেগম, রজব আলী, মো. আজিবর, মো. ইলিয়াছ, ইমান আলী, মো. ওমর, মো. হায়দার, আবু সাঈদ, মো. এনামুল ও মো. শরিফুল।
এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মামলার এজহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ এপ্রিল নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ বাজার থেকে হাজির বটতলা পর্যন্ত সরকারি রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কাটা ও চুরি করে বিক্রির সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। উপস্থিত হয়ে দেখেন, কাটা গাছবোঝাই একটি ট্রাক এবং নছিমন জব্দ করেছেন নড়াইল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ অধিকারী। তখন ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মামলার আসামিরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই খাসজমি থেকে গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এর আগেও একবার তাঁরা ওই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেছিলেন। জব্দ করা গাছের লগ, ডালপালা এবং আগে কাটা গাছের অবশিষ্ট ভূমিসংলগ্ন গুঁড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে, ওই স্থান থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার অধিক গাছ চুরি করে কাটা ও বিক্রি হয়েছে।
প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে প্রশিকা, ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রভাতী যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সড়কের পাশে গাছগুলো রোপণ করেছিল। সে সময় সড়কটি খাস খতিয়ানভুক্ত ছিল না। বর্তমানে তা সরকারের আওতায় পড়ায় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তবে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম তাঁকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালা বিক্রি করতে চান চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালাগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হবে ভেবে তিনি বিক্রিতে সম্মতি দেন। পরে গাছ কীভাবে বা কারা কেটেছে, তা তিনি জানেন না।
মামলা করার আগে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগের ব্যাপার জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, প্রশিকার সঙ্গে চুক্তির একটি পক্ষ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে গাছ কাটার অনুমতি নিতে ইউএনও বরাবর প্রশিকার আবেদন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তবে গাছ কেটেছে প্রশিকা আর তাদের সংগঠন। এখানে চেয়ারম্যান-মেম্বরের কিছু নেই।
নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, প্রশিকার চুক্তির সময় সড়কটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ছিল, পরে ২০১৫ সালে এটি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। খাসজমি থেকে গাছ কাটা বেআইনি। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।