আমার বাসায়ও খোলা তেল কেনা হয়, বললেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
Published: 2nd, February 2025 GMT
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বলেছেন, ভোজ্যতেলে ভিটামিন এ বাধ্যতামূলক করা হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। খোলা আর বোতলজাত তেলের দামের ফারাক থাকলেও মান একই। তাই ভোজ্যতেলে ভিটামিন এ থাকা ঐচ্ছিক করা যায় কিনা তা নিয়ে পর্যালোচনা হওয়া দরকার।
সবাইকে খোলা তেল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘খোলা তেল খেল সমস্যা নেই। আমার বাসায়ও খোলা তেল কেনা হয়।’
রোববার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁয়ে বণিক বার্তা আয়োজিত পলিসি কনক্লেভে তিনি এ কথা বলেন। এ আলোচনার মূল বিষয় ছিল ‘খাদ্যপণ্যের যৌক্তিক দাম: বাজার তত্ত্বাবধানের কৌশল অনুসন্ধান’।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে বিশ্ববাজারে বিভিন্ন পণ্যের যে দাম রয়েছে তাতে দেশেও দাম কমার কথা। দেশে পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত আছে। দাম বাড়ার কারণ নেই। আশা করি, সামনেও দাম বাড়বে না।
বিগত সময়ে বাজারে প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে প্রতিযোগিতা কমিশন ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, কমিশনকে পুরোপুরি স্বাধীন করে দেওয়া হবে। যাতে বাজারে কেউ একচেটিয়া ব্যবসা করতে না পারে, প্রতিযোগিতা বিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড না ঘটে। তাদের কাজে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না।
বাজার ব্যবস্থা ঠিক করতে স্বল্প নয়, দীর্ঘমেয়াদে পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন উল্লেখ করে শেখ বশুর উদ্দিন বলেন, ধান সংগ্রহে সরকারি সংগ্রহ সীমিত করা দরকার। অভ্যন্তরীণ মজুদ যাতে ভালো থাকে। সেজন্য সরকারি সংগ্রহ আমদানি নির্ভর হওয়া উচিত। তাহলে স্থানীয় বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক হবে এবং দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
দেশের সব খাতে অনিয়ম হয়েছে অভিযোগ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমার মনে হয় শেখ হাসিনার নামে একটা পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া দরকার। কারণ, বায়তুল মোকাররমের খতিবের যদি পালিয়ে যাওয়া লাগে, তাহলে বুঝতে হবে কী পরিমাণ ধ্বংস করা হয়েছে সবগুলো খাত।
তিনি বলেন, বিগত সময়ের নীতিমালাগুলো ধনী শ্রেণিকে সুবিধা দেওয়ার জন্য হয়েছে। ভোক্তা বা সাধারণ মানুষকে সুবিধা দেওয়ার জন্য নীতি গ্রহণ হয়নি। বিগত ১৫ বছর দেশে উল্লেখযোগ্য কোনো বিনিয়োগ হয়নি। বিনিয়োগ না হলে কর্মসংস্থান কীভাবে হবে? তাহলে কার কাছ থেকে কর আদায় করব?
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ব্যাংকগুলোকে গত ১৫ বছরে ক্রিমিনাল ইনস্টিটিউট হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। ইসলামী ব্যাংককে ধ্বংস করা হয়েছে। এই ব্যাংকে দুর্বৃত্তায়ন করা হয়েছে। এক ব্যাংকে এক পরিবার থেকে দু-তিনজন পরিচালক হয়েছেন।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (টিসিবি) ধ্বংস করা হয়েছে ১৫ বছর ধরে। টিসিবির ভর্তুকি পণ্যের উপকারভোগীদের সংখ্যা ১ কোটি। শুনতে ভালোই লাগছে। কিন্তু যখন প্রাথমিকভাবে যাচাই করা হয়েছে, দেখা গেছে, ৪৩ লাখ কার্ডধারী ভুয়া। দেখা গেছে, অনেকের বিল্ডিং আছে। তারাও কার্ড নিয়েছে। এক ঘরে ২-৩ জন নিয়েছে। এখন মনে হয় এই ৪৩ লাখ কার্ড যাচাই করলে আরও ২০-২৫ লাখ ভুয়া পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা টিসিবির টেন্ডারে অংশ নেন না। আমি অনুরোধ করছি আপনারা অংশ নিন। টিসিবির ব্যবসায় যুক্ত হোন, সওয়াব কামান।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ণ জ য উপদ ষ ট ব ণ জ য উপদ ষ ট ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।
মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।