পুঁজিবাজারে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ সার্বিক দিক বিবেচনা করে এ পদে নিয়োগ সম্পন্ন করেছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কুতুবউদ্দিন আক্তার রশীদকে নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে পরিচালনা পর্ষদ।
ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০১৫ সালে। ‘এ’ ক্যাটাগরির এ কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৫৭৯ কোটি ৬৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির মোট শেয়ার ৫৭ কোটি ৯৬ লাখ ৯৫ হাজার ২৭০টি। সর্বশেষ, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে ৯০ শতাংশ, প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ৭.
ঢাকা/এনটি/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর রাতে আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গভীর রাতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গোবানিয়া এলাকার প্রবাসী মীর হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ডাকাতদল দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে মীর হোসেনের পরিবারের তিন সদস্যকে জিম্মি করেছে। এরপর তাঁদের বেঁধে মুঠোফোন, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেছে। ঘরে থাকা এক শিশুর গলায়ও ছুরি ধরেছে ডাকাতদলের এক সদস্য।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মীর হোসেনের স্ত্রী মাসুদা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর স্বামী সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকেন। গতকাল রাতে বাড়িতে তাঁর অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে, উচ্চমাধ্যমিক পাস করা ছোট মেয়ে ও বড় মেয়ের কন্যাশিশু ছিল। ডাকাতদল হঠাৎ জোরে ধাক্কা দিয়ে ঘরে ঢোকে। এরপর তাঁর ছেলে ও মেয়েকে হাত বেঁধে পাশের কক্ষে ফেলে রাখে।
মাসুদা আক্তার বলেন, ‘ডাকাত সদস্যরা আমার ছেলে ও ছোট নাতনির গলায় ছুরি ধরে হত্যার হুমকি দেয়। পরে তারা আমার কানের দুল, গলার চেইন, মেয়ের কানের দুল, নগদ ৯ হাজার ৫০০ টাকা, তিনটি মুঠোফোন ও একটি হাতঘড়ি নিয়ে যায়। ঘরের ভেতর ছয়জন ডাকাত প্রবেশ করলেও বাইরে আরও কয়েকজন পাহারায় ছিল। ডাকাতেরা চলে গেলে আমরা একজন আরেকজনের হাতের বাঁধন খুলে পাশের এক প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিই।’
ডাকাতির বিষয়ে জানতে চাইলে মাসুদা আক্তারদের প্রতিবেশী মো. সেলিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, প্রবাসী মীর হোসেনের বাড়িতে ডাকাতির খবর পেয়ে সকালে বাড়িতে গিয়ে দেখি আলমারি খুলে কাপড়চোপড়সহ জিনিসপত্র সব এলোমেলো করে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া দরজা ভাঙার কাজে ব্যবহৃত শাবলও ফেলে গেছে ডাকাতেরা। পরিবারের সদস্যরা এখনো আতঙ্কে ভুগছে।’
জানতে চাইলে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁকে এখন পর্যন্ত ডাকাতির ঘটনা কেউ জানায়নি। তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন।