চার দফা দাবিতে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান
Published: 9th, February 2025 GMT
চার দফা দাবিতে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন। রোববার রাত ১০টার দিকে তাঁরা শহীদ মিনারে অবস্থান নেন।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর রাত ১২টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ম্যাটসের কিছু শিক্ষার্থী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন। তাঁরা সেখানে সারা রাত থাকবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
এর আগে রোববার বেলা ১১টার দিকে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেন ম্যাটসের শিক্ষার্থীরা। দুপুরের দিকে আন্দোলনকারীরা থানার সামনের সড়কে অবস্থান নেন। পরে সেখান থেকে বিকেলে সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি করতে যাওয়ার পথে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, রাজধানীর শাহবাগ মোড় থেকে মিছিল নিয়ে সচিবালয় ঘেরাও করতে যাচ্ছিলেন ম্যাটস শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি শিক্ষা ভবনের সামনে গেলে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়, পরে লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় একটি সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দ শোনা যায়।
বিক্ষোভকারী ম্যাটস শিক্ষার্থীরা বলছেন, তিন মাস ধরে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে আন্দোলন করলেও তাঁদের দাবি পূরণ করা হয়নি। এ জন্য তাঁরা চার দফা দাবিতে সড়কে নেমে আন্দোলন শুরু করেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম য টস শ ক ষ র থ অবস থ ন ন
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।