কোটালীপাড়ায় নিখোঁজের দুই দিন পর খাল থেকে জেলের মরদেহ উদ্ধার
Published: 10th, February 2025 GMT
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় নিখোঁজের দুই দিন পর এক জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার ভোরে কোটালীপাড়া-পয়সারহাট খালের গচাপাড়া এলাকা থেকে পুলিশ বিপুল মণ্ডল (৪০) নামের ওই জেলের মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার রাতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন বিপুল মণ্ডল। রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা তল্লাশি চালালেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। সোমবার ভোরে ফজরের নামাজ শেষে মুসল্লিরা খালে একটি ভাসমান মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে এলাকাবাসীর সহায়তায় মরদেহটি উদ্ধার করে।
বিপুল মণ্ডলের অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতের স্ত্রী মণি মণ্ডল স্বামীর মরদেহ দেখে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। তাদের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে পরিবারটি এখন বিপর্যস্ত। স্থানীয়রা নিহতের পরিবারকে সরকারি সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন।
কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, নিহত বিপুল মণ্ডলের পরিবার জানিয়েছে, তিনি আগে দুইবার স্ট্রোক করেছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, মাছ ধরার সময় স্ট্রোকজনিত কারণে তিনি পানিতে পড়ে মারা যান। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।