শরীরে যে সমস্যার কারণে বহু সিনেমা থেকে বাদ পড়েন প্রিয়াঙ্কা
Published: 16th, February 2025 GMT
মডেলিং থেকে কর্মজীবনের শুরু। তারপর অভিনয়। বলিউড থেকে হলিউডেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এখন আন্তর্জাতিক তারকা হিসেবেই খ্যাতি প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার। কিন্তু একের পর এক কাজ হাতছাড়া হওয়ায় একটা সময় নাকি বলিউড ছেড়ে তিনি চলে যেতে চেয়েছিলেন। সেই কঠিন পরিস্থিতির মূল কারণ ছিল প্রিয়াঙ্কার নাকের গঠন।
সম্প্রতি পরিচালক অনিল শর্মা এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন। সেই সঙ্গে জানালেন, অভিনয় জীবনের প্রথম দিকে নাকে অস্ত্রোপচার হয়েছিল প্রিয়াঙ্কার। নাকের ভেতর থেকে পলিপ সরিয়ে ফেলতে এই অস্ত্রোপচার করা হয় তাঁর। কিন্তু এই অস্ত্রোপচারের জেরে আরও জটিলতা তৈরি হয়েছিল। ফলে বহু ছবি হাতছাড়া হয়েছিল অভিনেত্রীর।
দুঃসময়ে প্রিয়াঙ্কার পাশে ছিলেন অনিল শর্মা। জটিলতা পেরিয়ে আসতে সাহায্য করেছিলেন তিনি। অনিল শর্মা তাঁর ছবি ‘দ্য হিরো: লভ স্টোরি অফ আ স্পাই’-তে প্রিয়াঙ্কাকে বিশেষ চরিত্রের জন্য বেছে নিয়েছিলেন। শুধু নিজের ছবিতেই নয়। সুনীল দর্শন ও সুভাষ ঘাইয়ের মতো প্রযোজকদেরও রাজি করিয়েছিলেন ‘অন্দাজ’ ও ‘অ্যায়তরাজ’ ছবিতে প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে কাজ করার জন্য।
সাক্ষাৎকারে অনিল বলেছেন, ‘প্রিয়াঙ্কা সফল। কারণ, ওর প্রতিভা আছে। এত গুণ থাকলে, ঈশ্বর জীবনে এমন মানুষ নিয়ে আসেন, যারা আপনাকে উৎসাহ দেন। আমার মনে হয়, প্রিয়াঙ্কার জীবনে আমিও তেমনই মানুষ।’
দুর্দিনে পাশে থাকা মানুষকে ভুলে যাননি প্রিয়াঙ্কাও। তাঁর কথায়, ‘ও আমার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। ১০০ জনের মধ্যে আমাকে দেখলে ও এগিয়ে এসে কথা বলবে। আমাদের যথেষ্ট ভাল সম্পর্ক। ওর বাবার সঙ্গেও আমার ভাল সম্পর্ক ছিল।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নড়াইলে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নে সড়কের পাশে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে শাহবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ ১৩ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন ও প্রশিকার গঠিত সংগঠন প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি নড়াইল সদর উপজেলার তুজরডাঙ্গা এলাকার মুজিবুর রহমান, সদস্য একই এলাকার জরিনা বেগম, রজব আলী, মো. আজিবর, মো. ইলিয়াছ, ইমান আলী, মো. ওমর, মো. হায়দার, আবু সাঈদ, মো. এনামুল ও মো. শরিফুল।
এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মামলার এজহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ এপ্রিল নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ বাজার থেকে হাজির বটতলা পর্যন্ত সরকারি রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কাটা ও চুরি করে বিক্রির সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। উপস্থিত হয়ে দেখেন, কাটা গাছবোঝাই একটি ট্রাক এবং নছিমন জব্দ করেছেন নড়াইল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ অধিকারী। তখন ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মামলার আসামিরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই খাসজমি থেকে গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এর আগেও একবার তাঁরা ওই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেছিলেন। জব্দ করা গাছের লগ, ডালপালা এবং আগে কাটা গাছের অবশিষ্ট ভূমিসংলগ্ন গুঁড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে, ওই স্থান থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার অধিক গাছ চুরি করে কাটা ও বিক্রি হয়েছে।
প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে প্রশিকা, ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রভাতী যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সড়কের পাশে গাছগুলো রোপণ করেছিল। সে সময় সড়কটি খাস খতিয়ানভুক্ত ছিল না। বর্তমানে তা সরকারের আওতায় পড়ায় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তবে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম তাঁকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালা বিক্রি করতে চান চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালাগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হবে ভেবে তিনি বিক্রিতে সম্মতি দেন। পরে গাছ কীভাবে বা কারা কেটেছে, তা তিনি জানেন না।
মামলা করার আগে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগের ব্যাপার জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, প্রশিকার সঙ্গে চুক্তির একটি পক্ষ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে গাছ কাটার অনুমতি নিতে ইউএনও বরাবর প্রশিকার আবেদন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তবে গাছ কেটেছে প্রশিকা আর তাদের সংগঠন। এখানে চেয়ারম্যান-মেম্বরের কিছু নেই।
নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, প্রশিকার চুক্তির সময় সড়কটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ছিল, পরে ২০১৫ সালে এটি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। খাসজমি থেকে গাছ কাটা বেআইনি। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।