আশির দশকের শেষ লগ্নে বলিউডে পা রাখেন অভিনেত্রী শিল্পা শিরোদকর। অভিষেক সিনেমায় সহশিল্পী হিসেবে পান— মিঠুন চক্রবর্তী, রজনীকান্ত, রেখার মতো তারকাদের। এরপর ‘যোধা’, ‘ত্রিনেত্র’, ‘হাম’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। এসব সিনেমায় সুনীল শেঠি, অনীল কাপুর, মাধুরী দীক্ষিত, অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে পর্দা ভাগ করে নেন এই অভিনেত্রী।

দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা মহেশ বাবুর স্ত্রী অভিনেত্রী নম্রতা শিরোদকরের সহোদর ছোট বোন শিল্পা। অর্থাৎ সম্পর্কে মহেশ বাবুর শ্যালিকা হন শিল্পা শিরোদকর। ২০০০ সালে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ব্যাংকার অপরেশ রঞ্জিতকে বিয়ে করেন তিনি। এরপর স্বামীর সঙ্গে বিদেশে পাড়ি জমান। বিয়ের ১৮ বছর পর বলিউডের একটি সিনেমায় অভিনয় করেন শিল্পা। তারপর আর কোনো সিনেমায় দেখা যায়নি তাকে।

ক্যারিয়ারের ভালো সময়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত ও দেশ ছাড়ার পেছনের গল্প নিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন শিল্পা শিরোদকর। এ অভিনেত্রী বলেন, “২০০০ সালে আমি বিয়ে করি। আমার মা বিশ্বাস করতেন, ‘সবকিছু সঠিক সময়ে হওয়া উচিত। তা না হলে তুমি তোমার নৌকা মিস করবে।’ তারপর সারা জীবন অভিযোগ করবে, আমি এটা করতে পারতাম। কিন্তু করতে পারিনি।’ আমার এগিয়ে যাওয়া জরুরি ছিল। ২৬-২৭ বছর বয়সি একজন মেয়ের পরবর্তী পদক্ষেপ হলো— বিয়ে। আমি বিয়ে করেছি। ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে বিয়ে করতে পেরে আমি খুব খুশি হয়েছিলাম।”

আরো পড়ুন:

রাজামৌলির সিনেমার জন্য ১৬৪ কোটি টাকা ছাড়াও লভ্যাংশ নেবেন মহেশ!

তিনটি শব্দ বলার জন্য মহেশ পারিশ্রমিক নিলেন সাড়ে ৬ কোটি টাকা

 

বিয়ে করা ও ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দেওয়া নিয়ে কখনো আফসোস করেননি শিল্পা। সবসময় তার মায়ের সিদ্ধান্তের উপর আস্থা রেখেছিলেন। বিয়ে ছিল তার পছন্দের সিদ্ধান্ত। তবে কখনো ভারত ছেড়ে যেতে চাননি। কিন্তু ভাগ্যের পরিকল্পনা ভিন্ন ছিল বলেও মনে করেন এই অভিনেত্রী।

ব্যাখ্যা করে শিল্পা শিরোদকর বলেন, “কোনোরকম অনুশোচনা ছিল না। মা যা বলতেন, আমি সবসময় তা শুনতাম। আমি সবসময় অনুভব করতাম, মা আমার জন্য যে সিদ্ধান্ত নেবেন তা সঠিক। সিদ্ধান্ত ছিল বিয়ে করা ও কখনো ভারত ছেড়ে না যাওয়া। কিন্তু আগেই বলেছি, ভাগ্যের ভিন্ন পরিকল্পনা থাকে। কেবল ভাগ্যে ছিল বলেই আমি ভারত ছেড়ে চলে যাই; এ কারণে কাজ চালিয়ে যেতে পারিনি। আমি পুরোপুরি একজন গৃহিণী হতে চেয়েছিলাম।”

যুক্তরাজ্যে দীর্ঘদিন বসবাসের পর ভারতে ফিরেছেন শিল্পা। মুম্বাইয়ে স্থায়ীভাবে বসবাসের পরিকল্পনা করেছেন। এ বিষয়ে শিল্পা বলেন, “আমি গত দুই বছর ধরে কাজ খুঁজছি। স্থানান্তরিত হতে চাই কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নিতে আমার একটু সময় লেগেছে।”

 

যুক্তরাজ্যে থাকাকালীন কাজের জন্য অনেকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেছেন। সেই স্মৃতি স্মরণ করে শিল্পা শিরোদকর বলেন, “আমি যখনই ফোন করে বলতাম, ‘আমি কাজ খুঁজছি’, তারা উত্তর দিতেন, ‘এখানে খুব বেশি কাজ হচ্ছে না’। সেসব ব্যক্তিরাই এখন আমাকে জিজ্ঞাসা করছে, ‘মুম্বাই আছি কিনা, এক কাপ কফি খেতে পারি কিনা?’  আমি অহংকারী হতে চাই না। বলতে চাই না, ‘আমি যখন কাজ খুঁজছিলাম আপনি তখন আমাকে উপেক্ষা করেছিলেন।”

অভিনয়ে ফেরার সিদ্ধান্ত কেবল নেননি, এরই মধ্যে নতুন সিনেমায় অভিনয়ের ঘোষণাও দিয়েছেন শিল্পা। নির্মাতা ভেঙ্কট কল্যাণ ‘জটাধার’ সিনেমা নির্মাণ করছেন। এতে দেখা যাবে শিল্পাকে। সুধীর বাবুর বিপরীতে অভিনয় করবেন এই অভিনেত্রী।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ র দকর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

পেশায় বাসচালক, আড়ালে করেন ইয়াবার কারবার

আট বছর ধরে গাড়ি চালানোর পেশায় আছেন মো. শাহীন। প্রথমে চালাতেন ট্রাক, এখন যাত্রীবাহী বাস। তবে এটা তার মূল কারবারের আড়াল মাত্র। বাস চালানোর আড়ালে তিনি কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আনেন ইয়াবার বড় চালান। প্রতি চালানে ১০–২০ হাজার পিস ইয়াবা থাকে। এগুলো পৌঁছানোর বিনিময়ে তিনি পান মোটা অঙ্কের টাকা। প্রতি মাসে গড়ে ছয়টি চালান এনে তিনি অন্তত ছয় লাখ টাকা পান। ফলে লাভজনক এ কারবারে তিনি আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছেন।

সম্প্রতি রাজধানীর পূর্ব রামপুরা এলাকা থেকে বাসচালক শাহীন ও সুপারভাইজার সঞ্জিত রাজবংশীকে গ্রেপ্তার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। ওই সময় বাসটিতে তল্লাশি চালিয়ে ১৫ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। এই চালানটি ঢাকার গাবতলী এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল বলে জানা গেছে।

ডিএনসি ঢাকা মহানগর উত্তরের উপপরিচালক শামীম আহম্মেদ জানান, আন্তঃজেলা বাসের চালক–হেলপারদের একটি অংশ মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়েছে। এ কারণে বিভিন্ন রুটের পরিবহনকর্মীদের মাদকসংশ্লিষ্টতার তথ্য পেতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। এরপর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কক্সবাজার থেকে আসা শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস পূর্ব রামপুরার মোল্লা টাওয়ারের সামনে থামানো হয়। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদে চালক ও সুপারভাইজার স্বীকার করেন, তাদের কাছে মাদকদ্রব্য আছে। এরপর তাদের দেখানো অনুযায়ী চালকের আসনের নিচ থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন ডিএনসি ধানমন্ডি সার্কেলের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন।

ডিএনসি ঢাকা মহানগর উত্তরের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, শাহীনের ভাষ্য অনুযায়ী, দুই বছর ধরে তিনি বাসে মাদক পরিবহনের কাজ করেন। এর আগে ট্রাক চালানোর সময় অন্য চালকদের মাধ্যমে এ কারবারের বিষয়ে জানতে পারেন। পরে টেকনাফের মাদক কারবারিদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ও সখ্য গড়ে ওঠে। তিনি প্রতি ১০ হাজার পিস ইয়াবা ঢাকায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য আনুমানিক এক লাখ টাকা করে পান। এবারের চালানের জন্য পেতেন দেড় লাখের কিছু বেশি। তবে পৌঁছানোর আগেই তিনি ও তার সহযোগী ধরা পড়েন।

অভিযান সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইয়াবার চালানের প্রেরক ও প্রাপকসহ আরও কয়েকজনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। তাদের গ্রেপ্তার করা গেলে পুরো চক্রটিকে শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধীদের তোপের মুখে যশোর মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ
  • শ্রীলঙ্কার মাটিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
  • মিরাজ বীরত্বে দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলো বাংলাদেশ
  • সেঞ্চুরির পর ৫ উইকেট, মিরাজ ধন্যবাদ দিলেন ৬ জনকে
  • পেশায় বাসচালক, আড়ালে করেন ইয়াবার কারবার
  • দুই হাজার পর্বে বিশেষ অতিথি অপি করিম
  • ২০০০ পর্বে বিশেষ অতিথি অপি করিম
  • ঢাকা লিগের রোল অব অনার
  • সাপ্তাহিক পত্রিকা : সোনালি অতীত ও প্রসঙ্গকথা
  • বাশার আল-আসাদকে উদ্ধারে ইরানের পাঠানো উড়োজাহাজ রুখে দিয়েছিল ইসরায়েল: নেতানিয়াহু