মহাসড়কে একটি বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছিল একটি মাইক্রোবাস। অন্য একটি গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে হঠাৎ বাসটি সামনে চলে আসায় সড়ক বিভাজকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে মাইক্রোবাসটির। এ ঘটনার জেরে ওই মাইক্রোবাসে থাকা যাত্রীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে বাসটিতে ভাঙচুর চালান। সঙ্গে যোগ দেন আরও একটি মাইক্রোবাসের যাত্রীরা। এর প্রতিবাদে বাসের যাত্রীরাও গাড়ি থেকে নেমে ভাঙচুর করেছেন মাইক্রোবাস দুটি।

আজ শুক্রবার সকাল সাতটার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঘটেছে এমন ঘটনা। ভাঙচুরের সময় স্থানীয় বাসিন্দারা এসে উভয় পক্ষকে শান্ত করেন। পরে পুলিশ এসে এ ঘটনায় বাস ও একটি মাইক্রোবাস জব্দ করে, তবে অন্য মাইক্রোবাসটি পালিয়ে যায়।

সকালে সীতাকুণ্ডের সুলতানা মন্দির এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙচুর হওয়া শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস ও একটি কালো রঙের মাইক্রোবাস সড়কে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বাসের যাত্রীদের মধ্যে কয়েকজন নারী-শিশুকে কাঁদতে দেখা যায়। দুই পক্ষের পুরুষ যাত্রীরা হাতে লাঠিসোঁটা নিয়ে তর্ক করছিলেন।

বাসের এক যাত্রী নিজেকে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বলেন, তিনি বগুড়া থেকে কক্সবাজারের রামুতে নিজের কর্মস্থলে ফিরছিলেন। প্রতিযোগিতা করে গাড়ি চালাতে গিয়ে সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে মাইক্রোবাসটির সঙ্গে বাসের কিছুটা ঝামেলা হয়। এ সময় মাইক্রোবাসে থাকা তরুণদের কাছে ক্ষমা চান বাসের চালক। এরপরও কিছুদূর অতিক্রম করার পর ওই তরুণেরা দ্বিতীয় দফায় বাসটি আটকে জানালার কাচ ভাঙচুর করেন। পরে বাসের কিছু যাত্রী নেমে প্রতিবাদ করেছেন।

মাইক্রোবাসটির সামনের কাচ ভাঙচুর করা হয়েছে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ