আমরা ছোটবেলা থেকেই ইংলিশ শিখতে ভুল করি। আর এ ভুলের মাশুল দেই বড় হয়েও। ইংলিশ না জানার ফলে কত চাকরি ও উন্নত ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ হাতছাড়া করি, তার ইয়ত্তা নেই।

শিশুরা যেন আনন্দ নিয়ে সঠিকভাবে ইংলিশ শিখতে পারে, সেজন্য এ বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে সাইফুল ইসলামের নতুন বই ‘ছোটদের ইংলিশ থেরাপি’। বইটি পাওয়া যাবে অমর একুশে বইমেলায় নিরাপদ প্রকাশনীর ২৫০ নম্বর স্টলে।

নতুন এ বইটির বৈশিষ্ট্য হলো— সবচেয়ে সহজ ও ব্যবহারিক পদ্ধতি, শুদ্ধ উচ্চারণ শেখার কার্যকরি ফর্মুলা, ছন্দে ছন্দে ইংলিশের জড়তা কাটানো, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে শব্দের অর্থ শেখা, বাক্য গঠনের সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি, মেধা বৃদ্ধির চ্যালেঞ্জ ও বিভিন্ন খেলা। এর মাধ্যমে ছোটদের চিন্তাশক্তি ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি হবে।

আরো পড়ুন:

বইমেলায় কুবি শিক্ষিকার গল্পগ্রন্থ ‘বুমেরাং’

প্রেম কিংবা রক্ত-ঝরা কবিতা ‘প্রেমিকাদের কিছুটা বোকা হতে হয়’

সাইফুল ইসলাম বলেন, “বইটির লেখক হিসেবে আমার লক্ষ্য ছিল ইংরেজি শেখাকে শিশুদের জন্য সহজ, মজাদার ও কার্যকর করা। আমি লক্ষ্য করেছি, অনেক শিশু ইংরেজি শেখায় সমস্যায় পড়ে। কারণ প্রচলিত পদ্ধতিগুলো কঠিন ও একঘেয়ে মনে হয়। তাই আমি এমন একটি বই ডিজাইন করেছি, যেখানে সহজ ব্যাখ্যা, আকর্ষণীয় অনুশীলন ও বাস্তব জীবনের কথোপকথনের মাধ্যমে শিশুদের আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।”

তিনি বলেন, “শেখা আনন্দদায়ক হওয়া উচিত। এজন্য বইটিতে রঙিন ছবি, মজার অনুশীলন ও ইন্টারএকটিভ কনটেন্ট যুক্ত করেছি, যা শিশুদের শেখার প্রতি আগ্রহী করে তুলবে। বইটি শুধু ব্যাকরণ ও শব্দভাণ্ডার শেখার জন্য নয়— এটি শিশুদের ইংরেজিতে স্বাভাবিকভাবে ও নির্ভয়ে যোগাযোগ করতে সাহায্য করবে। আশা করি, ‘ছোটদের ইংলিশ থেরাপি’ শিশু, অভিভাবক ও শিক্ষকদের জন্য একটি সহায়ক বন্ধু হয়ে উঠবে এবং ইংরেজি শেখার অভিজ্ঞতাকে আনন্দময় করে তুলবে।

সাইফুল ইসলাম ইংলিশ থেরাপির প্রতিষ্ঠাতা ও চিফ ইন্সট্রাক্টর। রকমারি ও বইফেরীর মতো প্ল্যাটফর্মে তাঁর বই বারবার বেস্টসেলার হয়েছে।

এ পর্যন্ত তিনি জেসিআই বাংলাদেশ টেন আউটস্ট্যান্ডিং ইয়াং পারসনস (টিওওয়াইপি) ২০২৩, বেস্ট নিউবি রাইজিং টিচার অ্যাওয়ার্ড, রকমারি বেস্ট সেলার এওয়ার্ড ২০২৪, ডিআরআর অ্যাপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড, এবং মজার ইশকুলের সেরা স্বেচ্ছাসেবক পুরস্কার অর্জন করেন।

ঢাকা/আশিক/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বইম ল

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নে সড়কের পাশে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে শাহবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ ১৩ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন ও প্রশিকার গঠিত সংগঠন প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি নড়াইল সদর উপজেলার তুজরডাঙ্গা এলাকার মুজিবুর রহমান, সদস্য একই এলাকার জরিনা বেগম, রজব আলী, মো. আজিবর, মো. ইলিয়াছ, ইমান আলী, মো. ওমর, মো. হায়দার, আবু সাঈদ, মো. এনামুল ও মো. শরিফুল।

এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মামলার এজহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ এপ্রিল নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ বাজার থেকে হাজির বটতলা পর্যন্ত সরকারি রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কাটা ও চুরি করে বিক্রির সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। উপস্থিত হয়ে দেখেন, কাটা গাছবোঝাই একটি ট্রাক এবং নছিমন জব্দ করেছেন নড়াইল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ অধিকারী। তখন ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মামলার আসামিরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই খাসজমি থেকে গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এর আগেও একবার তাঁরা ওই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেছিলেন। জব্দ করা গাছের লগ, ডালপালা এবং আগে কাটা গাছের অবশিষ্ট ভূমিসংলগ্ন গুঁড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে, ওই স্থান থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার অধিক গাছ চুরি করে কাটা ও বিক্রি হয়েছে।  

প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে প্রশিকা, ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রভাতী যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সড়কের পাশে গাছগুলো রোপণ করেছিল। সে সময় সড়কটি খাস খতিয়ানভুক্ত ছিল না। বর্তমানে তা সরকারের আওতায় পড়ায় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তবে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।  কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম তাঁকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালা বিক্রি করতে চান চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালাগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হবে ভেবে তিনি বিক্রিতে সম্মতি দেন। পরে গাছ কীভাবে বা কারা কেটেছে, তা তিনি জানেন না।

মামলা করার আগে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগের ব্যাপার জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, প্রশিকার সঙ্গে চুক্তির একটি পক্ষ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে গাছ কাটার অনুমতি নিতে ইউএনও বরাবর প্রশিকার আবেদন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তবে গাছ কেটেছে প্রশিকা আর তাদের সংগঠন। এখানে চেয়ারম্যান-মেম্বরের কিছু নেই।

নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, প্রশিকার চুক্তির সময় সড়কটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ছিল, পরে ২০১৫ সালে এটি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। খাসজমি থেকে গাছ কাটা বেআইনি। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ