পরিবারে কোনো শিশুর জন্ম হলে আমরা জন্মনিবন্ধন করি। জন্মনিবন্ধনের গুরুত্বটা এখন কমবেশি সবারই জানা। কিন্তু মৃত্যুনিবন্ধনও যে কখনো কখনো প্রয়োজনীয় হয়ে উঠতে পারে, তা আমরা ভাবি না। প্রিয়জনকে হারানোর শোকে অনেক সময় এসব বিষয় মাথায়ও আসে না। কিন্তু রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা, পারিবারিক সম্পত্তির বণ্টন, পেনশন প্রাপ্তি, জমিজমা বা সম্পত্তির নামজারিসহ নানা প্রয়োজনে ‘মৃত্যুনিবন্ধন’ করতে হয়।

এই নিবন্ধন কোথায় করবেন? কোথায় যাবেন? কার কাছেই–বা আবেদন করবেন? সেই আবেদন করতে কেমন খরচ? এসব খুঁটিনাটি বিষয়গুলো জানা থাকা প্রয়োজন। মৃত ব্যক্তির পূর্ণ তথ্য দিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা কার্যালয়ে গিয়ে এ আবেদন করতে হয়। আবেদনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়। আবেদনকারীর তথ্যও তাতে থাকতে হয়। অনলাইনে আপনি মৃত্যুনিবন্ধনের আবেদন করতে পারবেন।

সাধারণত মৃত্যুনিবন্ধন করতে মৃত ব্যক্তির জন্মনিবন্ধন সনদ, মৃত্যুর তারিখ ও স্থান–সম্পর্কিত প্রমাণপত্র, আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্মনিবন্ধনের ফটোকপি, আবেদনকারীর ঠিকানার তথ্য ও মুঠোফোন নম্বর দিতে হয়।

দেশের প্রত্যেক নাগরিকের যেমন জন্মসনদ থাকা প্রয়োজন, তেমন প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির নিবন্ধন থাকাটাও জরুরি। সরকারিভাবে যেকোনো নাগরিকের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে মৃত্যুর পরও যাবতীয় তথ্য রেজিস্ট্রারে সংরক্ষণ করা হয়।

অনলাইনে মৃত্যুনিবন্ধনের আবেদন করতে হয় এই লিংকের মাধ্যমে: bdris.

gov.bd/dr/application। ওয়েবসাইটের নির্ধারিত অপশনে গিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। এরপর অনলাইনে করা আবেদনের প্রিন্ট কপিসহ যাবতীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে জমা দিতে হবে।

যেসব কাগজ দরকার হবে

মৃত ব্যক্তির জন্মনিবন্ধন সনদের ফটোকপি

মৃত ব্যক্তির স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানার তথ্য

মৃত্যুর তারিখ ও মৃত্যুর স্থান

মৃত ব্যক্তির লাশ দাফন বা সৎকারসংক্রান্ত প্রমাণপত্র।

কোথায় ও কীভাবে মারা গেছেন, সেই স্থানের ঠিকানা

মৃত ব্যক্তি যদি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বা কোনো দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করে থাকেন, সে ক্ষেত্রে হাসপাতালের ছাড়পত্র ও হাসপাতাল থেকে দেওয়া মৃত্যুসনদ। অপঘাতে মৃত্যু হলে থানা থেকে প্রয়োজনীয় কাগজ সংগ্রহ করে নিতে হবে। তা না হলে পরে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।

মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে যিনি আবেদন করবেন, তাঁর জন্মনিবন্ধন নম্বর বা এনআইডির তথ্য আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করে দিতে হবে।

আরও পড়ুন৮ মাস প্রশিক্ষণ নিয়ে জাপানে চাকরির সুযোগ ২ ঘণ্টা আগেমৃত্যুনিবন্ধনের জন্য জন্মনিবন্ধন কেন জরুরি

একজন ব্যক্তির মৃত্যুনিবন্ধন করার সময় সেই ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য জন্মনিবন্ধন সনদের প্রয়োজন হয়। যদিও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দিয়েই তা নিশ্চিত করা সম্ভব। তবুও বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে মৃত্যুনিবন্ধন করার সময় জন্মনিবন্ধনের ফটোকপি জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির জন্মনিবন্ধন করা না থাকলে কী করবেন? প্রথমে আপনাকে অনলাইনে মৃত ব্যক্তির জন্মনিবন্ধন করে নিতে হবে। এরপর আপনি মৃত্যুনিবন্ধন সনদের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

মৃত ব্যক্তির ঠিকানার তথ্য দিতে হয় কেন

মৃত্যুনিবন্ধন সনদ মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকার শনাক্তের দলিল। এ ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তির পরিচিতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা। জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা নিশ্চিত করা যায়। ঠিকানা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ব্যক্তির নামে থাকা পানি, বিদ্যুৎ বা টেলিফোন বিলের রসিদের কপি সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে (যেমন ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা কার্যালয়) জমা দেওয়া যাবে।

আরও পড়ুন‘অনেক চাকরি নিয়ে বসে আছি, কিন্তু লোক পাচ্ছি না’১৯ জানুয়ারি ২০২৫মৃত্যুর প্রমাণপত্র কী

মৃত্যুসনদ প্রস্তুত করতে ব্যক্তির মৃত্যুর তারিখ ও স্থানসংক্রান্ত প্রমাণপত্র অবশ্যই দিতে হবে। ব্যক্তি কত তারিখে মৃত্যুবরণ করেছেন? কীভাবে, অর্থাৎ স্বাভাবিক না অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন? কোন এলাকায় মৃত্যুবরণ করেছেন? এসবের উপযুক্ত প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। মৃত্যুর প্রমাণপত্রও মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ ও উত্তরাধিকারদের ন্যায্য হিস্যা প্রাপ্তির জন্য এটি প্রয়োজন।

হাসপাতালে অথবা কোনো চিকিৎসকের অধীন মৃত্যু হলে সেই চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীর কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করে রাখতে হবে। যদি সড়ক দুর্ঘটনা, আত্মহত্যা বা অপঘাতে মৃত্যু হয়, সে ক্ষেত্রে ময়নাতদন্তের প্রয়োজন হয়। ময়নাতদন্ত করা হলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের ফটোকপিও সংগ্রহে রাখতে হবে। মৃত ব্যক্তির লাশ যেখানে দাফন বা সৎকার করা হচ্ছে, সেখানকার রসিদ সংগ্রহে রাখুন।

যেকোনো একটি মৃত্যুর প্রমাণপত্র জমা দিলেও মৃত্যুনিবন্ধন করা যাবে। তবে আদালত থেকে উত্তরাধিকার সনদপ্রাপ্তির সময় উল্লেখিত প্রমাণপত্রগুলো প্রয়োজন হবে।

আবেদনকারীর তথ্য

যেহেতু মৃত্যুসনদ গুরুত্বপূর্ণ দলিল, তাই মৃত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া জরুরি। এ জন্য বিশ্বস্ত মাধ্যম ছাড়া এই সনদের নিবন্ধনের আবেদন গ্রহণ করা হয় না। মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্য বা অন্যান্য অভিভাবক, অথবা সরকারিভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিই শুধু আবেদন করতে পারবেন। এ জন্য নিবন্ধকের কাছে আবেদন করার সময় আবেদনকারীর তথ্য হিসেবে জন্মনিবন্ধন নম্বর, মুঠোফোন নম্বর ও ঠিকানা দিতে হবে।

মৃত্যুনিবন্ধন ফি

কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে মৃত্যুনিবন্ধন করলে কোনো ফি দিতে হয় না। ব্যক্তির মৃত্যুবরণের ৪৫ দিন পেরিয়ে গেলে ৫ বছর পর্যন্ত ২৫ টাকা ফি দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে আপনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে সরাসরি ফি জমা দিতে পারেন। অথবা, অনলাইনে বিকাশের মাধ্যমেও ফি দেওয়া যায়।

লেখক: আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।

[email protected]

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন শ চ ত কর র জন য কর র স করব ন র সময় সনদ র

এছাড়াও পড়ুন:

বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে তানিয়া আমিরের বক্তব্য বিভ্রান্তিকর

২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে তানিয়া আমিরের বক্তব্য বিভ্রান্তিকর বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

এক বিবৃতিতে প্রেস উইং থেকে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহ সম্পর্কে তানিয়া আমিরের বক্তব্য, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত হচ্ছে, তাতে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থক হিসেবে তার নিজস্ব রাজনৈতিক এজেন্ডা প্রতিফলিত হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ‘সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস’-এ পোস্ট করা এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।

প্রেস উইং বর্বরোচিত এ হত্যাকাণ্ডের পেছনের সত্য উদঘাটনে অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত উদ্যোগগুলো উপস্থাপন করেছে। উদ্যোগগুলো হচ্ছে:

তদন্ত কমিশন
২০২৪ সালের ২২ ডিসেম্বর পিলখানা হত্যাকাণ্ড বিষয়ে পুনঃতদন্তের জন্য সাত সদস্যের জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল এ এল এম ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে কমিশন কয়েক ডজন সাক্ষীর (এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৭ জন, যার মধ্যে অফিসার, বিডিআর সদস্য এবং ভুক্তভোগীদের পরিবার অন্তর্ভুক্ত) সাক্ষ্য সংগ্রহ করেছে। এটি ‘ঘটনার প্রকৃত প্রকৃতি উন্মোচন’, সমস্ত দোষী ব্যক্তিকে শনাক্ত করা এবং এমনকি যেকোনো দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র তদন্তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

গোপনীয়তা রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৮ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে কমিশন একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এতে ২০০৯ সালের হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে যেকোনো ব্যক্তির কাছে নির্ভরযোগ্য তথ্য থাকলে তা ওয়েবসাইট বা ই-মেলের মাধ্যমে জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সত্য উন্মোচনের অঙ্গীকার
স্বরাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী পিলখানার হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ পুনঃতদন্তের জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে কমিশনের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান সাংবাদিকদের বলেছেন, তদন্ত কমিশন ইতোমধ্যেই কয়েক ডজন সাক্ষীর সাক্ষ্য রেকর্ড করেছে এবং প্রয়োজনে তারা এমনকি শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদেরকে (যেমন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রাক্তন সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদ) ডাকবেন।

তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার ‘প্রকৃত প্রকৃতি উন্মোচিত’ হবে। মামলায় প্রকৃত অপরাধীদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং সম্ভাব্য সকল বিদেশি বা দেশীয় চক্রান্তের বিষয়গুলো খুঁজে দেখা হবে।

তথ্যের জন্য জনসাধারণের কাছে আবেদন
প্রাসঙ্গিক তথ্য থাকলে যেকোনো নাগরিক বা সংস্থাকে ওয়েবসাইট বা ই-মেলের মাধ্যমে জানানোর জন্য ১৮ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে তদন্ত কমিশন।

এটি ১৬ বছর আগের একটি অপরাধের তদন্তের জটিলতা তুলে ধরে এবং তথ্যদাতাদের গোপনীয়তা নিশ্চিত করার কথা জানিয়েছে। যা ‘সরকার বিষয়গুলো ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে’— তানিয়া আমিরের এমন দাবির বিপরীতে এটি স্বচ্ছ এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ আনুষ্ঠানিক প্রচেষ্টার ইঙ্গিত দেয়।

আদালতের মামলা এবং মুক্তি
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে বিদ্রোহ-সম্পর্কিত মামলায় কয়েকশত সাবেক বিডিআর সদস্যকে জামিন দেওয়া হয়েছে। পক্ষান্তরে, তানিয়া আমিরের অভিযোগ— কোনো আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বন্দিদের জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। নিহত অফিসারদের পরিবার তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবাদ জানায় যে, যারা সেনা অফিসারদের হত্যা করেছে, তাদের সম্পূর্ণ মুক্তি দেওয়া উচিত নয়। ইতোমধ্যে বেঁচে যাওয়া অফিসারদের পরিবারগুলো নতুন অভিযোগ দায়ের করেছে (যেমন: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে) এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত না হলে নতুন করে বিক্ষোভের হুমকি দিয়েছে।

নিহতদের স্মরণ
অন্তর্বর্তী সরকার পিলখানায় নিহতদের সম্মান জানাতে পদক্ষেপ নিয়েছে। ২০২৫ সালের মার্চ মাসে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আনুষ্ঠানিকভাবে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করেছে এবং পিলখানায় নিহত ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে ‘শহীদ’ মর্যাদা দিয়েছে।

প্রেস উইং বলছে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে তানিয়া আমিরের সম্পৃক্ততা সুপরিচিত। ২০২৩ সালের নভেম্বরে তিনি এবং তার বাবা ব্যারিস্টার এম আমির-উল ইসলাম ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে সংসদীয় আসন কুষ্টিয়া-৩ এবং কুষ্টিয়া-৪ এর জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন, যা ওই দলের সঙ্গে সক্রিয় রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত বহন করে।

তানিয়া আমিরের পারিবারিক পটভূমি আওয়ামী লীগের উত্তরাধিকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। তার বাবা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা এবং সংবিধান প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং পরিবার ঐতিহাসিকভাবে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছে। যদিও তিনি স্বাধীনভাবে আইনি মামলা করেছেন, তবু তাকে দলের রাজনৈতিক ও আদর্শিক অবস্থানের সাথে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত হিসেবে দেখা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই সম্পৃক্ততার পরিপ্রেক্ষিতে, জেনেভা প্রেস ক্লাবে অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে এবং ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহে জড়িত সন্ত্রাসী ও বিদ্রোহীদের প্রতিনিধিত্ব করে, এমন ইঙ্গিত দিয়ে তার সাম্প্রতিক মন্তব্যকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করা যেতে পারে।

উল্লেখ্য, জেনেভা সম্মেলনে তানিয়া আমির এবং অন্যান্য বক্তারা কোনো নতুন প্রমাণ উদ্ধৃত করেননি; বরং তারা বছরের পর বছর ধরে বিরোধী পক্ষগুলোর মধ্যে প্রচারিত দাবিগুলো (যেমন: মৃত্যুর সংখ্যা, ক্ষতিপূরণ আইন, বন্দিদের মুক্তি) পুনরাবৃত্তি করেছেন বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

ঢাকা/হাসান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ