Samakal:
2025-07-31@12:40:38 GMT

রোজার শুরুতেই কেনাকাটা

Published: 2nd, March 2025 GMT

রোজার শুরুতেই কেনাকাটা

ঈদ ঘিরে ধনী থেকে গরিব সব শ্রেণির ক্রেতার মেলবন্ধন ঘটে চট্টগ্রাম নগরের রিয়াজউদ্দীন বাজার, টেরি বাজার ও জহুর হকার্স মার্কেটে। এখানে কম দামে মেলে ভালো পণ্য। তাই ক্রেতাদের পছন্দের বাজারে পরিণত হয় এ তিন মার্কেট। তৈরি পোশাক থেকে শুরু করে কসমেটিক্স, জুতা সবই মিলে এখানে। রমজান আসতেই ক্রেতায় সরগরম হয়ে উঠছে রিয়াজউদ্দীন বাজার, টেরি বাজার ও হকার্স মাকের্টের অলিগলি। এর মধ্যে টেরি বাজার ও রিয়াজউদ্দীন বাজার রমজানের ১০ দিন আগে থেকেই জমে উঠেছে। চট্টগ্রাম অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা পাইকারি পণ্য কিনতে টেরি বাজার ও রিয়াজউদ্দীন বাজারে ভিড় করে যাচ্ছেন। 
টেরি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুল মান্নান বলেন, ‘শবেবরাতের পর থেকে রমজান শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রচুর পাইকারি বিক্রি হয়েছে। এখন পাইকারি বিক্রি একটু কমে এলেও নগরের মানুষ মার্কেটের ঝামেলা এড়াতে অনেকেই ঈদের বাজার শুরু করে দিয়েছেন। প্রথম রমজান থেকে ৩০ রমজান পর্যন্ত ঈদের কেনাকাটায় টেরি বাজার জমজমাট হয়ে উঠেছে। ঈদকে ঘিরে প্রায় ৪৫ দিন আমাদের ভালো বেচাকেনা হয়। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো থাকায় ভালো ব্যবসার আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।’ 
সরগরম টেরি বাজার : একসময় কাপড়ের পাইকারি বাজার হিসেবে এ বাজারের সুখ্যাতি থাকলেও সময়ের ব্যবধানে খুচরা কেনাকাটার জন্যও টেরি বাজার সুনাম কুড়িয়েছে। কাপড়ের পাইকারি দোকানের পাশাপাশি সময়ের বিবর্তনে এখানে স্থান করে নিয়েছে একাধিক আধুনিক শপিংমল ও মেগাশপ। টেরি বাজারে ছোট-বড় প্রায় ৮৫টি মার্কেট রয়েছে। দোকানের সংখ্যা দুই হাজার। এসব দোকানে শাড়ি, থ্রিপিস, লেহেঙ্গা, পাঞ্জাবি, শার্ট থেকে শুরু করে থান কাপড়, কসমেটিক্সসহ সাজসজ্জার নানা উপকরণ খুচরা ও পাইকারি বিক্রি হয়ে থাকে। গিফট দেওয়ার জন্য কিছু কাপড় কিনতে ছুটে যান এখানে। 
ব্যবসায়ীরা জানান, শবেবরাতের পর থেকে মূলত তাদের বিক্রি শুরু হয়। রমজান শুরুর আগে পাইকারি বিক্রি বেশি থাকলেও রমজান শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খুচরা ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়। শুক্রবার সরেজমিন চট্টগ্রাম নগরীর টেরিবাজারে গিয়ে দেখা গেছে, সন্ধ্যার পর থেকে মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড় লেগে আছে। সকাল থেকে রাত ২টা পর্যন্ত চলে কাপড় বিক্রি। টেরি বাজারের নিউ বধূয়া শপিং সেন্টারের পরিচালক এনএইচ রাসেল বলেন, ‘১০ থেকে ১৫ দিন পাইকারি বিক্রি করেছি। রমজান শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ঈদের কেনাকাটা শুরু হবে। অনেকে মার্কেটের ঝামেলা এড়াতে একটু আগেই ঈদের কেনাকাটা শেষ করে ফেলেন। প্রতিটি দোকানেই এখন ঈদের বেচাবিক্রির ব্যস্ততা রয়েছে।’
সবই মিলে রিয়াজউদ্দীন বাজারে: কথায় আছে, ‘হাতির দাঁত থেকে বাঘের নখ পর্যন্ত সবই মেলে রিয়াজউদ্দীন বাজারে। ঈদ পোশাক, কসমেটিক, বিদেশি পণ্যের সমাবেশ প্রাচীন মার্কেটে মেলে। নগরজুড়ে ঝা চকচকে মল, সুপার মার্কেট, শপিং প্লাজার রমরমার মধ্যেও সাশ্রয়ী মূল্যে বিপুল

 কেনাকাটার জন্য চট্টগ্রামের মানুষের ভরসা রিয়াজউদ্দীন বাজার। রিয়াজউদ্দীন বাজার চট্টগ্রাম শহরের একটি ঐতিহাবাহী বাজার। ব্যস্ততম মার্কেট। দুই শতাধিক মার্কেটে ১০ হাজারেরও বেশি দোকান রয়েছে এ বাজারে। সব ধরনের কেনাকাটার জন্য রিয়াজউদ্দিন বাজার ও তামাকুমণ্ডি লেন মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয়। রিয়াজউদ্দিন বাজারের সিটি মার্কেটের ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন বলেন, ‘পাইকারি ও খুচরা দুই কেনাকাটার জন্য এই বাজারে চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রসিদ্ধ। এখানে মেলে না এমন কিছু নেই। ক্রেতা যা চায় তাই কিনতে পারেন সুভল মূল্যে।’  রিয়াজউদ্দীন বাজারের মহিউদ্দীন সুপার মার্কেটের কর্মকর্তা সালেহ আহমদ সোলাইমান বলেন, ‘প্রতিদিনই প্রচুর ক্রেতার সমাগম হচ্ছে। সব শ্রেণীর মানুষ কেনাকাটা করতে আসছেন। রিয়াজউদ্দীন বাজার ধীরে ধীরে আগের চিরচেনা জমজমাট পরিবেশ ফিরে পাচ্ছে।’
স্বল্প আয়ের মানুষের ভরসা হকার্স মার্কেট : নগরের স্বল্প আয়ের মানুষের ঈদের কেনাকাটার জন্য হকার্স মার্কেট অন্যতম। কিন্তু অনেকে বিত্তবানও হকার্স মার্কেটের ক্রেতা। এখানে ব্র্যান্ড থেকে কমমূল্যের পোশাকই পাওয়া যায়। হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির নেতা ফজলুল আমিন বলেন, ‘রমজান শুরুর সাথে সাথে বিক্রি মোটামুটি বেড়েছে। মার্কেট জমজমাট হতে শুরু করেছে। আশা করছি সামনে বিক্রি বাড়বে। যারা চাকরিজীবী তাদের অনেকেই এখনও বেতন-বোনাস পায়নি। বেতন-বোনাস পেলে বিক্রি আরও বাড়বে। রোজার শেষ দিকে আমাদের বিক্রি বাড়ে।’
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঈদ প শ ক র য় জউদ দ ন ব জ র ক ন ক ট র জন য হক র স ম র ক ট ঈদ র ক ন ক ট রমজ ন শ র ব যবস য় ন বল ন নগর র

এছাড়াও পড়ুন:

হাবিব ও সজীবের জল্লারপাড় লেকে জমজমাট মাদক বানিজ্য

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নং ওয়ার্ডের জল্লারপাড় এলাকায় হাবিব ওরফে পিচ্চি হাবিব (মাদকসহ ৫/৭টি মামলার আসামি), একটা খুনি পরিবার থেকে বেড়ে ওঠা ভয়ংকর সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গাং লিডার। 

বাবা মৃত কমল মিয়া এক সময় পুলিশের সোর্স ছিলেন যে কিনা খুন হয় নিজ সৎ ছেলের হাতে। হাবিবের বড় ভাই মানিক এলাকার জনি নামের এক ছেলেকে খুন করে যাবজ্জীবন সাজায় জেল খাটছে।

হাবিব ৫ই আগস্ট এর আগে আজমীর ওসমানেরক্যাডার বাহিনীর সক্রিয় সদস্য ছিলো। গণঅভ্যূত্থানের আগে এলাকায় বড় করে ১৫ আগস্ট পালন ও নাসিম ওসমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন এবং ওসমান পরিবারের পালিত ক্যাডারদের দাওয়াত করে মহড়া দেয়ার ছবি ও বিভিন্ন মিছিল মিটিং এর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। 

ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর সে যোগ দেয় বিএনপিতে। এলাকার বিএনপি'র বিভিন্ন নেতা ও দেওভোগের অনেক নেতার দেখা মিলে হাবিবের অফিসে ও আড্ডায়। অনেকেই আসে হোন্ডার বহর নিয়ে যার ফলে এলাকার মানুষ ভয়ে মুখ খুলেনা। মানুষকে আতঙ্কে রাখতে হাবিবকে দেখা যায় নিজে বড় বড় ছুড়ি নিয়ে মহড়া দিতে। 

হাবিবকে শেন্টার দিচ্ছে বিএনপি'র ক্যাডার গাল কাটা জাকিরের ছোট ভাই ডাকাত সজিব। ডিস বাবুর নির্দেশে ডাকাতি করতে যাওয়া সজিব ডাকাতি মামলায় ৯বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি, হাইকোর্ট থেকে আপিল করে জামিনে আছে। সদর থানায় ৪/৫ টির বেশি মাদকসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। হাবিব ও সজীব নারায়ণগঞ্জে আজমির ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পরিচিত। 

৫ আগস্টের পর সন্ত্রাসী ও তাদের গডফাদাররা এলাকা ছাড়লেও হাবিব ও সজীব এলাকায় আছে বহাল তবিয়তে। এর কারণ হাবিবের মাদক ব্যবসার অডেল টাকা ও তাদের দুজনের ক্ষমতা। মাদকের টাকায় হাবিব করেছে এলাকায় আলিশান  দুইতালা বাড়ি। হাবিব ও সজীবের আয়ের উৎস হল  তারা পাইকারি হিরোইন ইয়াবা ও গাজা ব্যবসায়ী। 

এক নং বাবুরাইল, ২ নং বাবুরাইল, জিমখানা, পাইকপাড়া, নলুয়াপাড়া, ঋষিপাড়া সব জায়গায় হাবিব ও সজীবের মাদক বিক্রি হয়। হাবিবের দখলকৃত সবচেয়ে বড় স্পট হলো জিমখানা পানির টাংকি যা ফাইম ও সায়েম দেখে। এসব স্পটে দৈনিক লাখ লাখ টাকার নেশা বিক্রি হয়। 

বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, এখান থেকে মাসোহারা পৌঁছে যায় কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তার পকেটে সেই সাথে নামধারী সাংবাদিকদের কাছে মাসোহারা পৌছে। জনশ্রুতি রয়েছে, এসব অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা ও কথিত সাংবাদিকদের দাপটে হাবিব ধরা ছোঁয়ার বাইরে। 

হাবিবের প্রধান সেলসম্যান মিলন ও মাসুম ওরা একাধিকবার ডিবির কাছে গ্রেফতার হয় পরে বিশাল অংকের টাকা দিয়ে ছাড়া পায়। ওদের দুজনকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেরিয়ে আসবে বিভিন্ন তথ্য।

এলাকায় একাধিকবার অভিযান পরিচালনা হলেও হাবিবকে ধরতে পারছে না প্রশাসন এর কারণ পুরো এলাকা বিভিন্ন সিসি ক্যামেরা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা জল্লারপাড় মসজিদের সামনে বিভিন্ন দোকানদার তাকে ফোন করে জানিয়ে দেয় এলাকায় পুলিশ আসছে, প্রশাসন ঢোকার আগেই হাবিব সটকে পড়ে। এলাকা ঘনবসতি হওয়ায় লুকিয়ে যায় অন্য কারো ঘরে এজন্য প্রশাসন ধরতে না পড়ে চলে আসে। 

এলাকার সবাই রাতে যখন ঘুমায় তখন তার বিচরণ দেখা যায় বিভিন্ন অলিতে গলিতে। গভীর রাতে সঙ্গী সহ অনেক পাওয়ারের টর্চ লাইট ও দেশি অস্ত্রশস্ত্র  সাথে থাকে ডাকাত সজিব ও কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা। হাবিব ও সজীবের বিরুদ্ধে রয়েছে অন্যের জায়গা দখলে নেওয়ার অভিযোগও। 

একাধিক বাড়ির মালিক তাদের বাড়ির কাজ করতে পারছে না তাদের দুজনের জন্য। চাঁদা না দিলে কাজ বন্ধ। চাঁদা দিয়ে মীমাংসা করলেই বাড়ির কাজ করতে পারছেন। অন্যের কেনা বাড়িতে সাইনবোর্ড  ঝুলিয়ে দিচ্ছে তারা দুজন জায়গার দাবি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। 

এলাকাবাসী এখন হাবিব ও সজীবের হাতে জিম্মি। সবাই এর থেকে মুক্তি চায়। হাবিব এতটাই ধুরন্দর যে প্রশাসনে হাত থেকে বাঁচার জন্য ৫ ই আগস্ট এর পর এলাকায় ওয়াইফাই ব্যবসা দিয়েছে, তার সেলসম্যান মাসুম এই ব্যবসার ম্যানেজার সে সম্পূর্ণ ব্যবসা দেখাশোনা করছে। মাসুমেরও বিভিন্ন  ছবি আছে আজমির ওসমানের মিছিলে ও ১৫ ই আগস্টের খিচুড়ির বিতরনের অনুষ্ঠানে। 

ছাত্র আন্দোলনের সময়  হাবিব, সজীব ও মাসুম তাদের সবারই ওসমান পরিবারের পক্ষে ছিল নজর কাড়া ভূমিকা। মোট কথা এলাকাবাসী এখন সম্পূর্ণ জিম্মি হাবিব ও সজীবের কাছে।

নারায়ণগঞ্জের সব মাদকের স্পটে অভিযান হলেও জল্লারপাড়ায় হাবিবের মাদকের স্পটে কেন অভিযান হচ্ছে না এ নিয়ে এলাকাবাসীর মনে বিভিন্ন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। এলাকাবাসী দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে তারা হাবিব ও সজীবের জিম্মি থেকে মুক্তি হতে চায়।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হাবিব ও সজীবের জল্লারপাড় লেকে জমজমাট মাদক বানিজ্য