সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামে ছেলের হাতে খুন হয়েছেন বাবা। আজ বৃহস্পতিবার ইফতারের সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছেলে সুলতান আহমদ তার বাবা দুলু মিয়াকে গলা কেটে হত্যা করে।
ঘটনার পর সুলতানকে আটক করেছে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ। দুলু মিয়া ওই গ্রামের মৃত কুটি মিয়ার ছেলে। নিহত দুলু মিয়ার পরিবার ‘প্রবাসী পরিবার’ বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। খুনের দায়ে অভিযুক্ত ছেলে সুলতান গত ছয় মাস আগে ফ্রান্স থেকে দেশে ফিরেন। দুলু মিয়ার আরও দুই ছেলে প্রবাসে থাকেন বলে জানা গেছে।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সুলতান দেশে ফেরার পর অনেকটা একা থাকতেন। কারো সাথে বেশি কথা বলতেন না। তার মানসিক সমস্যা রয়েছে।
গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম মোল্লা জানিয়েছেন, ঠিক কী কারণে ছেলে তার পিতাকে খুন করেছে প্রাথমিকভাবে তা জানা যায়নি। ঘটনার পর সুলতানকে আটক ও মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ব ক হত য ব ব ক ক প য় হত য
এছাড়াও পড়ুন:
কপ৩০: ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে সহায়তা নিয়ে আলোচনা
দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া চলতি সপ্তাহেই তছনছ হয়েছে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে। জ্যামাইকা ও ব্রাজিলে প্রাণঘাতী ঘূর্ণিঝড়ের ধ্বংসস্তূপের চিহ্ন এখনো চোখে পড়ে। দিন দিন খারাপ হতে থাকা এই আবহাওয়া এবং জলবায়ুর কারণে সৃষ্টি হওয়ার চরম পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে কীভাবে সহায়তা করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে (কপ৩০)।
গতকাল সোমবার সম্মেলনের প্রথম দিন আলোচনার মূল বিষয় ছিল পরিবর্তিত জলবায়ুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া। কারণ, যে কার্বন নিঃসরণের কারণে জলবায়ুর এই করুণ অবস্থা, তা যথেষ্ট পরিমাণে কমাতে ব্যর্থ হয়েছে দেশগুলো। জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জলবায়ুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতিবছর ৩১০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত সহায়তা প্রয়োজন।
তবে কোথা থেকে এই অর্থ আসবে, তা পরিষ্কার নয়। জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় আরও অর্থ ছাড় দিতে চাপের মুখে রয়েছে বিশ্বের উন্নয়ন–সংশ্লিষ্ট ১০টি ব্যাংক। সোমবার এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, সংকট মোকাবিলায় দেশগুলোকে সহায়তা দিয়ে যাবে তারা। গত বছরে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে টিকে থাকার জন্য ২৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ সরবরাহ করেছিল।
এবারের কপ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ব্রাজিলের বেলেম শহরে। শহরটিতে অবস্থান করা জাতিসংঘের বিভিন্ন তহবিলের পরিচালকেরা বলেছেন, জলবায়ু সংকট মোকাবিলার জন্য ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ ২০ কোটি ডলারের তহবিল গড়তে নতুন একটি বন্ড চালুর ঘোষণা দেবেন তাঁরা। গত বছর আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত কপ২৯–এ এই বন্ডের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
এ ছাড়া সোমবার জলবায়ু সংক্রান্ত ভিন্ন একটি প্রচেষ্টায় ১০ কোটি ডলার দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে জার্মানি ও স্পেন। এই প্রচেষ্টার নাম জলবায়ু বিনিয়োগ তহবিল বা সিআইএফ। এর লক্ষ্য হলো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে চরম জলবায়ুর বিরুদ্ধে টেকসই করে তোলা। সিআইএফের প্রধান নির্বাহী তারিয়ে গবাদেগেসিন রয়টার্সকে বলেন, ‘প্রথমবারের মতো কপের প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে জলবায়ুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। এ নিয়ে আমরা খুবই রোমাঞ্চিত।’