চট্টগ্রামে থানায় পুলিশ কর্মকর্তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
Published: 23rd, November 2025 GMT
চট্টগ্রামের চকবাজার থানার ভেতর থেকে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) অহিদুর রহমানের (৩২) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রবিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে থানা ব্যারাকের বাথরুম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
অহিদুর চকবাজার থানায় কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায়।
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যায় মামলা
স্ত্রীর গায়ে আগুন দিয়ে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার
চকবাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজির আলী ঘটনার লাশ উদ্ধারের তথ্য জানান। তিনি জানান, তিন মাস আগে বরিশাল রেঞ্জ থেকে বদলি হয়ে সিএমপিতে যোগ দেন অহিদুর। গত সেপ্টেম্বরে চকবাজার থানায় তার পদায়ন হয়। তিনি থানার ব্যারাকে থাকতেন।
তিনি আরো জানান], প্রতিদিনের মতো রবিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে গোসল করতে বাথরুমে যান অহিদুর। আরেকজন পুলিশ সদস্য গোসল করার জন্য বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পরও বাথরুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পান। পরে তিনি বাইরে থেকে অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করেন। কয়েকবার দরজায় ধাক্কাও দেন। ভেতর থেকে সাড়া পাননি তিনি। পরে ওই পুলিশ সদস্য অন্যদের ডাকেন। অন্যরা গিয়ে দরজা ভেঙে অহিদুরকে ছাদের হুকের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
অহিদুরকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো.
এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঢাকা/রেজাউল/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য ন হত উদ ধ র চকব জ র থ ন ল শ উদ ধ র
এছাড়াও পড়ুন:
গ্রাহকের জন্য ‘ওয়ার্ল্ড এলিট’ ক্রেডিট কার্ড এনেছে সিটি ব্যাংক ও মাস্টারকার্ড
দেশে এই প্রথম মাস্টারকার্ড নেটওয়ার্কভিত্তিক ‘ওয়ার্ল্ড এলিট’ ক্রেডিট কার্ড সেবা চালু করেছে সিটি ব্যাংক। এই ওয়ার্ল্ড এলিট ক্রেডিট কার্ডধারীদের জন্য শুরুতে ১০ হাজার টাকার উপহার ভাউচার রয়েছে। এ ছাড়া সিটি ক্যাপিটাল থেকে বিনিয়োগ পরামর্শ সেবা পাওয়া যাবে। এই কার্ডধারীরা শেরাটন ঢাকা, দ্য ওয়েস্টিন, লো মেরিডিয়েনসহ দেশের বিভিন্ন পাঁচতারা হোটেলে একটি বুফে কিনলে বিনা মূল্যে আরেকটি বুফে পাবেন।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর গুলশানের সিটি ব্যাংক সেন্টারের কারনেশন মিলনায়তনে এই নতুন ক্রেডিট কার্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) মো. মাহবুবুর রহমান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মাস্টারকার্ডের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সভাপতি গৌতম আগরওয়াল ও মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামালসহ দুই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
কার্ডে আরও যা সুবিধা রয়েছেমাস্টারকার্ড নেটওয়ার্কভিত্তিক সিটি ব্যাংকের এই ‘ওয়ার্ল্ড এলিট’ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীরা বিদেশভ্রমণের সময় লাউঞ্জকি ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের লাউঞ্জে বিনা মূল্যে প্রবেশ করতে পারবেন। সিটি ব্যাংকের সব লাউঞ্জেও সীমাহীন প্রবেশের সুযোগ থাকবে। এ ছাড়া সিটি ব্যাংকের অন্যান্য ক্রেডিট ও ডেভিড কার্ডে যত ধরনের সুবিধা পাওয়া যায়, এর সবই এই কার্ডে পাওয়া যাবে।
এই ক্রেডিট কার্ডধারীরা মাস্টারকার্ডের সব ধরনের আন্তর্জাতিক সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। এর মধ্যে আছে গলফ গ্রিন-ফি, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এক রাতের জন্য বিনা মূল্যের আবাসন ও বিশেষ খাবারের অভিজ্ঞতা। এ ছাড়া মেরিনা বে স্যান্ডসের সদস্যরা এই কার্ড ব্যবহার করে তিন মাস মেয়াদি স্যান্ডস লাইফস্টাইল এলিট সদস্যপদ গ্রহণ করতে পারবেন। ফ্লেক্সিরোমের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ডেটা রোমিং বা ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন তাঁরা। এই কার্ডে আছে ব্রিলিয়ান্ট বাই ল্যাঙ্গহাম রুবি সদস্যপদ ও টিপিসি গলফ গেইন সুবিধা।
অতিরিক্ত সুবিধার মধ্যে আরও আছে সার্বক্ষণিক মাস্টারকার্ড পরিচারক সহায়তা। ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত সাশ্রয় করা যাবে। সড়কপথে পরিবহনে ৫০০ ডলার পর্যন্ত ক্রেডিট সুবিধা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া দেশের পাঁচ হাজারেরও বেশি অংশীদার বিক্রয়কেন্দ্রে কোনো ধরনের সুদ ছাড়া কিস্তি সুবিধা পাওয়া যাবে। নির্বাচিত বিভিন্ন রেস্তোরাঁ, পোশাকের দোকান ও জীবনযাপন–সংক্রান্ত বিভিন্ন ব্র্যান্ডে বিশেষ ছাড়ও পাওয়া যাবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা যা বলেনসকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, এই কার্ডের নাম ‘ওয়ার্ল্ড এলিট’। কিন্তু তিনি মনে করেন, এই কার্ড দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক। এই ক্রেডিট কার্ডধারীরা শুধু বিদেশে নয়, দেশের ভেতরেও খরচ করবেন। ফলে দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিও চাঙা হবে।
মাস্টারকার্ডের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সভাপতি গৌতম আগরওয়াল বলেন, ‘বাংলাদেশে এমন এক শ্রেণির মানুষ তৈরি হচ্ছে, যারা ব্যাংকিং খাতে বিশ্বমানের সেবা প্রত্যাশা করেন। এটি এই দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও মানুষের প্রত্যাশার পরিবর্তনের প্রতিফলন। মাস্টারকার্ডের মাধ্যমে আমরা লেনদেনের বাইরে গিয়েও একজন গ্রাহককে উন্নত অভিজ্ঞতা ও নানা সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি। সে কারণে দেশের বাজারে এই ক্রেডিট কার্ড নিয়ে এসেছি।’
মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন, ‘গত ১২ মাসে আমরা ৩০টির মতো নতুন সেবা চালু করেছি। গ্রাহকদের নানা সমস্যা ও অসুবিধার কথা মাথায় রেখে এসব পণ্য চালু করেছে মাস্টারকার্ড। সিটি ব্যাংকের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি এই কার্ডে এত বেশি সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে, যা শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গ্রাহকদের জন্যও প্রযোজ্য। বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষ যেসব দেশে ভ্রমণ করেন, তা বিবেচনায় রেখে ক্রেডিট কার্ডের সেবাগুলো যুক্ত করা হয়েছে।