শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ১৭ ডিসেম্বরের পরিবর্তে আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

আজ রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবন-১-এর চতুর্থ তলার সম্মেলনকক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ছাত্রসংগঠনের নেতা ও নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শাকসু নির্বাচন নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা সভা হয়। সভায় উপস্থিত সবার সর্বসম্মত প্রস্তাব ও সুপারিশ অনুযায়ী, সব শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আগামী ২০ জানুয়ারি শাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

শাকসু নির্বাচনের নতুন তারিখ নির্ধারণ করলেও পুনঃ তফসিল ঘোষণা করেনি কমিশন। পুনঃ তফসিল কবে হতে পারে জানতে চাইলে শাকসু নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ নির্বাচনের তারিখ সর্বসম্মতিক্রমে পুনর্নির্ধারিত হয়েছে। কাল সোমবার বেলা তিনটায় কমিশনের বৈঠকের পর সন্ধ্যার দিকে পুনঃ তফসিল ঘোষণা করা হবে।’

এর আগে আজ বেলা ১১টা থেকে টানা প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে উন্মুক্ত আলোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সাজেদুল করিমের সভাপতিত্বে কোষাধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন, রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির, শাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবুল মুকিত মোহাম্মদ মোকাদ্দেস, নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র নজরুল ইসলাম, নির্বাচন কমিশনার কামরুল ইসলাম, রাজিক মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র মজলিশ, ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি, শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের সদস্য ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে নতুন তারিখ নির্ধারণের সিদ্ধান্ত আসে বলে শিক্ষার্থীদের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

১৬ নভেম্বর শাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। তখন ১৭ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এরপর নির্বাচনের তারিখ নিয়ে আন্দোলন, ছুটি নিয়ে বিতর্ক ও সর্বশেষ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। এরপর আজ নির্বাচনের নতুন তারিখ জানানো হলো।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: নত ন ত র খ তফস ল

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের জন্য সহজ গ্রুপিং, ডেথ গ্রুপে শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ

আগামী বছরের শুরুর দিকে বসতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপিং সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যদিও আইসিসি আগামী ২৫ নভেম্বর মুম্বাইয়ে আনুষ্ঠানিক ড্র ও গ্রুপিং প্রকাশ করবে।

তবে প্রকাশিত গ্রুপিংয়ে দেখা যাচ্ছে- ভারত ও শ্রীলঙ্কা; দুই সহ-আয়োজক দল সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের গ্রুপিং পেয়েছে। আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা ভারতকে রাখা হয়েছে তুলনামূলক সহজ গ্রুপে। পাকিস্তানও চাইলে একই দাবি করতে পারে। তবে শ্রীলঙ্কা নিজেদের ভাগ্যকে এতটা সহায়ক মনে নাও করতে পারে। একই কথা বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার জন্যও প্রযোজ্য।

আরো পড়ুন:

কলম্বোতে ভারত-পাকিস্তান লড়াই, ওয়াংখেড়েতে সেমিফাইনাল!

২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যুর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ে ৮ নম্বরে থাকা শ্রীলঙ্কাকে পড়তে হয়েছে তিনটি শক্তিশালী টেস্ট খেলুড়ে দেশ অস্ট্রেলিয়া (২), জিম্বাবুয়ে (১১) ও আয়ারল্যান্ডের (১২) গ্রুপে। এর বাইরে আছে ওমান (২০)। সব মিলিয়ে এটি একেবারেই ‘গ্রুপ অব ডেথ’ বলা যায়।

অন্যদিকে, ভারতের গ্রুপটি বেশ সহজ। এখানে টেস্ট খেলুড়ে দল কেবল ভারত ও পাকিস্তান (৭)। বাকি তিন দল হলো- নেদারল্যান্ডস (১৩), নামিবিয়া (১৫) ও যুক্তরাষ্ট্র (১৮)। গ্রুপ পর্ব থেকে দুটি দল সুপার এইটে উঠবে। সে হিসেবে ভারত-পাকিস্তানের যাত্রা খুব বেশি জটিল হওয়ার কথা নয়। তাদের মধ্যকার বহুল প্রতীক্ষিত লড়াইটি হবে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষের দিকে ১৫ ফেব্রুয়ারি। তবে এই গ্রুপেও সতর্কবার্তা থাকছে। কারণ, ২০২৪ আসরে পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের কাছেই হেরে গিয়েছিল।

মোট চারটি গ্রুপে পাঁচটি করে দল রয়েছে। আর কয়েকটি গ্রুপেও দেখা যাচ্ছে কঠিন পরিস্থিতি। উদাহরণ হিসেবে ইংল্যান্ড (৩) ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৬); দুই সাবেক চ্যাম্পিয়ন একই গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশের (৯) সঙ্গে। উপমহাদেশে বাংলাদেশ যে ভয়ংকর প্রতিপক্ষ, তা সবাই জানে। এই গ্রুপে আরও আছে নেপাল (১৭) এবং ২৮তম স্থানে থাকা ইতালি। পরের রাউন্ডে যেতে হলে বাংলাদেশকে ইংল্যান্ড কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতেই হবে।

রানার্স-আপ দক্ষিণ আফ্রিকাও (৫) কঠিন পরীক্ষার মুখে। পরের রাউন্ডে উঠতে হলে তাদের অন্তত নিউ জিল্যান্ড (৪) বা আফগানিস্তান (১০) যে কোনো একটিকে হারিয়ে এগোতে হতে পারে। কারণ, গ্রুপের বাকি দুই দল সংযুক্ত আরব আমিরাত (১৬) ও কানাডা (১৮)।

ভারতের ম্যাচসূচি ও ভেন্যু:
ভারত তাদের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। এরপর তাদের প্রতিপক্ষ নামিবিয়া, পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডস। পূর্বনির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী ভারত–পাকিস্তান হাই-ভোল্টেজ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে কলম্বোয়। এছাড়া ভারতের বাকি ম্যাচগুলোর জন্য মুম্বাই, কলকাতা, চেন্নাই, দিল্লি ও আহমেদাবাদ বরাদ্দ করা আছে। শ্রীলঙ্কায় ম্যাচ হবে কলম্বোর দুই আন্তর্জাতিক ভেন্যু ছাড়াও ক্যান্ডিতে।

ফাইনালের ভেন্যু হিসেবে নির্ধারিত আছে আহমেদাবাদ। তবে পাকিস্তান ফাইনালে উঠলে পরিবর্তন আসতে পারে। সেমিফাইনালের ম্যাচগুলো আয়োজনের দৌড়ে আছে মুম্বাই ও কলকাতা। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কায় সেমিফাইনাল ও ফাইনালের সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে শর্টলিস্ট করা হয়েছে কলম্বোকে।

প্রতিটি গ্রুপ থেকে দুটি করে দল উঠবে সুপার এইটে। সেখান থেকে শীর্ষ চার দল যাবে সেমিফাইনালে। এরপর হবে ফাইনাল।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কু‌ষ্টিয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের অফিসের সাইনবোর্ডে আগুন
  • বাঁধনের ১৭ কেজি ওজন কমানোর পেছনের গল্প
  • নিখোঁজ ব্যক্তির মাটিচাপা লাশ মিলল বাড়ির উঠানে
  • কুষ্টিয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের সাইনবোর্ডে আগুন
  • দাপুটে জয়ে ক্যাম্প ন্যুতে বার্সেলোনার প্রত্যাবর্তন
  • রাজশাহীতে স্ত্রীর শরীরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার
  • ২৪৭ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করল দ. আফ্রিকা
  • ভূমিকম্পে মৃত্যু: নরসিংদীর নাসির ‘আমাকে ধর’ বলতে বলতে লুটিয়ে পড়েন
  • ভারতের জন্য সহজ গ্রুপিং, ডেথ গ্রুপে শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ