মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন বছর পর টেস্ট ক্রিকেট গিয়েছে পঞ্চম দিনে। আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশ দলকে পঞ্চম দিনে চ্যালেঞ্জ জানাবে এমনটা ভাবতেও পারেনি। আগের দিন ছয় উইকেট নিয়ে জয়ের অর্ধেকের বেশি কাজ সেরে রেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু রবিবার ম্যাচের শেষ দিন এমন কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে তা স্বাগতিক শিবির ভাবতেও পারেনি।

চার উইকেট নিতে বাংলাদেশকে বোলিং করতে হয়েছে ৫৯ দশমিক তিন ওভার। প্রথম সেশনে দুই ঘন্টা ২০ মিনিট। দ্বিতীয় সেশনে ৯০ মিনিট ব্যাটিং করেছে সফরকারি দল। তাদের এই প্রতিরোধকেই টেস্ট ক্রিকেটের সৌন্দর্য বলছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, ‘‘এটাই তো টেস্ট ক্রিকেটের সৌন্দর্য। ছোট দল বড় দল বলে আসলে কিছু নাই। আয়ারল্যান্ড খুবই ভালো ক্রিকেট খেলেছে, এটা মানতেই হবে। পঞ্চম দিনে এই উইকেটে এসে যেভাবে ওরা চ্যালেঞ্জটা আমাদের দিয়েছে, অবশ্যই ওদেরকে এই ক্রেডিটটা দিতে হবে।’’

আরো পড়ুন:

রেকর্ড এলোমেলো করে বুক চিতিয়ে লড়াই আয়ারল‌্যান্ডের, সিরিজ বাংলাদেশের

২১৭ রানের জয়ে আয়ারল্যান্ড হোয়াইটওয়াশ

বোলিংয়ে তাইজুল ইসলাম সকালের সেশনে দুই উইকেট নেন। হাসান মুরাদ দ্বিতীয় সেশনে পরপর দুই বলে দুই উইকেট তুলে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন। বোলারদের ক্রেডিট দিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক, ‘‘পাশাপাশি আমি বলবো যে আমাদের বোলাররা যেভাবে বল করেছে ওই ধৈর্যটা নিয়ে, এটাও আসলে ক্রেডিট দেওয়ার মতো। স্পেশালি তাইজুল, মিরাজ, মুরাদ, খালেদ এবং এবাদত সবাই যেভাবে দায়িত্ব নিয়ে বোলিং করেছে এটা আসলে ক্রেডিট দেওয়ার মতো।’’

অভিজ্ঞতায়, সুযোগ সুবিধায় পিছিয়ে থাকা একটি দল আয়ারল্যান্ড যেভাবে বাংলাদেশ দলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ম্যাচটা পঞ্চম দিনে নিয়ে গেছে তাতে তাদের ডেডিকেশন, কমিটমেন্ট প্রকাশ পায়। জয়ের কাজটা সহজ ছিল না তাই স্পষ্টভাবেই বলেছেন নাজমুল। তারা যেভাবে ব্যাটিং করেছে সেভাবে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের থেকেও আশা করছেন অধিনায়ক।

আয়ারল্যান্ডের ব্যাটিংকে অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখে নাজমুল বলেছেন, ‘‘শেখার তো শেষ নাই। আমার মনে হয় যেভাবে কার্টিস ক্যাম্ফার ব্যাটিং করেছে, এতো গুলো বল ফেস করেছে, এই জিনিসগুলোতে আসলে বোঝা যায় যে আসলে কতোটুকু ডেডিকেটেড, কতোটুকু কমিটমেন্ট নিয়ে ব্যাটিং করেছে তারা। আমরাও করেছি। আমরা অতীতেও করেছি, এই সিরিজেও বেশ কিছু ইনিংস ছিল, যেখানে আমরা চ্যালেঞ্জটা ভালোভাবে একসেপ্ট করেছি। সো এরকম সিচুয়েশন যদি আমাদেরও আসে, ওই ইনটেনশনটা দেখানো যে আমরা আসলে দলের জন্য ওইভাবে ব্যাটিং করাটা, এই জিনিসগুলো আমি আশা করবো। অতীতে করেছি এটা যেন ভবিষ্যতে আমরা করতে পারি।’’ 

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

গ্রাহকের জন্য ‘ওয়ার্ল্ড এলিট’ ক্রেডিট কার্ড এনেছে সিটি ব্যাংক ও মাস্টারকার্ড

দেশে এই প্রথম মাস্টারকার্ড নেটওয়ার্কভিত্তিক ‘ওয়ার্ল্ড এলিট’ ক্রেডিট কার্ড সেবা চালু করেছে সিটি ব্যাংক। এই ওয়ার্ল্ড এলিট ক্রেডিট কার্ডধারীদের জন্য শুরুতে ১০ হাজার টাকার উপহার ভাউচার রয়েছে। এ ছাড়া সিটি ক্যাপিটাল থেকে বিনিয়োগ পরামর্শ সেবা পাওয়া যাবে। এই কার্ডধারীরা শেরাটন ঢাকা, দ্য ওয়েস্টিন, লো মেরিডিয়েনসহ দেশের বিভিন্ন পাঁচতারা হোটেলে একটি বুফে কিনলে বিনা মূল্যে আরেকটি বুফে পাবেন।

আজ রোববার সকালে রাজধানীর গুলশানের সিটি ব্যাংক সেন্টারের কারনেশন মিলনায়তনে এই নতুন ক্রেডিট কার্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) মো. মাহবুবুর রহমান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মাস্টারকার্ডের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সভাপতি গৌতম আগরওয়াল ও মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামালসহ দুই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

কার্ডে আরও যা সুবিধা রয়েছে

মাস্টারকার্ড নেটওয়ার্কভিত্তিক সিটি ব্যাংকের এই ‘ওয়ার্ল্ড এলিট’ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীরা বিদেশভ্রমণের সময় লাউঞ্জকি ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের লাউঞ্জে বিনা মূল্যে প্রবেশ করতে পারবেন। সিটি ব্যাংকের সব লাউঞ্জেও সীমাহীন প্রবেশের সুযোগ থাকবে। এ ছাড়া সিটি ব্যাংকের অন্যান্য ক্রেডিট ও ডেভিড কার্ডে যত ধরনের সুবিধা পাওয়া যায়, এর সবই এই কার্ডে পাওয়া যাবে।

এই ক্রেডিট কার্ডধারীরা মাস্টারকার্ডের সব ধরনের আন্তর্জাতিক সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। এর মধ্যে আছে গলফ গ্রিন-ফি, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এক রাতের জন্য বিনা মূল্যের আবাসন ও বিশেষ খাবারের অভিজ্ঞতা। এ ছাড়া মেরিনা বে স্যান্ডসের সদস্যরা এই কার্ড ব্যবহার করে তিন মাস মেয়াদি স্যান্ডস লাইফস্টাইল এলিট সদস্যপদ গ্রহণ করতে পারবেন। ফ্লেক্সিরোমের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ডেটা রোমিং বা ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন তাঁরা। এই কার্ডে আছে ব্রিলিয়ান্ট বাই ল্যাঙ্গহাম রুবি সদস্যপদ ও টিপিসি গলফ গেইন সুবিধা।

অতিরিক্ত সুবিধার মধ্যে আরও আছে সার্বক্ষণিক মাস্টারকার্ড পরিচারক সহায়তা। ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত সাশ্রয় করা যাবে। সড়কপথে পরিবহনে ৫০০ ডলার পর্যন্ত ক্রেডিট সুবিধা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া দেশের পাঁচ হাজারেরও বেশি অংশীদার বিক্রয়কেন্দ্রে কোনো ধরনের সুদ ছাড়া কিস্তি সুবিধা পাওয়া যাবে। নির্বাচিত বিভিন্ন রেস্তোরাঁ, পোশাকের দোকান ও জীবনযাপন–সংক্রান্ত বিভিন্ন ব্র্যান্ডে বিশেষ ছাড়ও পাওয়া যাবে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা যা বলেন

সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, এই কার্ডের নাম ‘ওয়ার্ল্ড এলিট’। কিন্তু তিনি মনে করেন, এই কার্ড দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক। এই ক্রেডিট কার্ডধারীরা শুধু বিদেশে নয়, দেশের ভেতরেও খরচ করবেন। ফলে দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিও চাঙা হবে।

মাস্টারকার্ডের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সভাপতি গৌতম আগরওয়াল বলেন, ‘বাংলাদেশে এমন এক শ্রেণির মানুষ তৈরি হচ্ছে, যারা ব্যাংকিং খাতে বিশ্বমানের সেবা প্রত্যাশা করেন। এটি এই দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও মানুষের প্রত্যাশার পরিবর্তনের প্রতিফলন। মাস্টারকার্ডের মাধ্যমে আমরা লেনদেনের বাইরে গিয়েও একজন গ্রাহককে উন্নত অভিজ্ঞতা ও নানা সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি। সে কারণে দেশের বাজারে এই ক্রেডিট কার্ড নিয়ে এসেছি।’

মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন, ‘গত ১২ মাসে আমরা ৩০টির মতো নতুন সেবা চালু করেছি। গ্রাহকদের নানা সমস্যা ও অসুবিধার কথা মাথায় রেখে এসব পণ্য চালু করেছে মাস্টারকার্ড। সিটি ব্যাংকের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি এই কার্ডে এত বেশি সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে, যা শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গ্রাহকদের জন্যও প্রযোজ্য। বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষ যেসব দেশে ভ্রমণ করেন, তা বিবেচনায় রেখে ক্রেডিট কার্ডের সেবাগুলো যুক্ত করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ