বাস্তব চরিত্রকে এবার পর্দায় ‘জীবন্ত’ করছেন বলিউড তারকা ইমরান হাশমি। তেজসপ্রভা বিজয় দেওস্কর পরিচালিত ‘গ্রাউন্ড জিরো’ ছবিতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কমান্ড্যান্ট নরেন্দ্রনাথ ধর দুবের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ইমরান। ২০০১ সালে নয়াদিল্লির লোকসভা কেন্দ্র ও গুজরাটের অক্ষরধাম মন্দিরে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক অপারেশনকে ঘিরে এ ছবির কাহিনি। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ছবিটির ট্রেলার। মুম্বাইয়ের এক পাঁচতারা হোটেলে আয়োজিত ট্রেলার মুক্তির অনুষ্ঠানে ইমরান এ ছবিকে ঘিরে তাঁর নিজের অভিজ্ঞতার কথা উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন।

ইমরান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আসল সত্যি প্রকৃত ঘটনার চেয়ে ভয়ংকর—এই প্রবাদ এ ছবির গল্পের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। (নরেন্দ্রনাথ ধর) দুবেজির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের কথা মনে পড়ে। ওনার চরিত্রেই আমি অভিনয় করছি। আমি ওনাকে বলেছিলাম যে এই গল্প ফিল্মের চেয়ে বেশি ফিল্মি। ২০০৩ সালে অফিসাররা এই অপারেশন যেভাবে পরিকল্পনা করে বাস্তবায়িত করেছিলেন, তা এককথায় অবিশ্বাস্য ও অভূতপূর্ব।’

‘গ্রাউন্ড জিরো’ সিনেমা ইমরান। আইএমডিবি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইমর ন

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্লোরিডায় চলন্ত গাড়ির ওপর আছড়ে পড়ল বিমান

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কোকোয়া শহরে সড়ক চলমান একটি গাড়ির ওপর আছড়ে পড়েছে ছোটো আকারের একটি বিমান। সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৫টা ৪৫ মিনিটে ঘটেছে এই এই দুর্ঘটনা।

দুর্ঘটনায় ওই গাড়ির চালক সামান্য আহত হয়েছেন। বিমান আছড়ে পড়ার সড়কে চলাচলরত গাড়ির ড্যাশক্যামে ধরা পড়ে।

আরো পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো বন্দুক হামলা, শিক্ষার্থী নিহত

ইউরোপীয় নেতাদের ‘দুর্বল’ বলে সমালোচনা করলেন ট্রাম্প

ফ্লোরিডা হাইওয়ে পেট্রোল পুলিশের কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, কোকোয়ার আই-১৯ মহাসড়কে জরুরি অবতরণের সময় একটি চলমান টয়োটা ক্যাম্রি গাড়ির ওপর আছড়ে পড়ে বিমানটি। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন ৫৭ বছর বয়সী এক নারী। আর বিমানটিতে চালকের সঙ্গে একজন যাত্রী ছিলেন। উভয়েরই বয়স ২৭ বছর। তারা অক্ষত রয়েছেন।

দুর্ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানটি আছড়ে পরার পর গাড়ি থেকে আগুনের স্ফুলিঙ্গ ছিটকে পড়ছিল।

কর্মকর্তারা বলেছেন, এটি ‘অবিশ্বাস্যভাবে সৌভাগ্যজনক’ ঘটনা, কারণ আঘাতের তীব্রতা থাকা সত্ত্বেও বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি।

দুর্ঘটনার পর প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, ক্যাম্রি গাড়িটির পেছনের অংশ পুরোপুরি চ্যাপ্টা হয়ে গেছে। বিমানটির সামনের অংশ এবং চাকা ভেঙে গেছে।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইঞ্জিনে সমস্যার কারণে জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাইলট। তার পরিকল্পনা ছিল যে মহাসড়কের পাশে ফাঁকা ঝোপ এলাকায় অবতরণ করবেন। কিন্তু ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর সড়কের ওপারে যেতে না পেরে সেখানেই আছড়ে পড়েছিল বিমানটি।

ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ