ভারতের চারটি যুদ্ধবিমান ধাওয়া করার দাবি পাকিস্তানের
Published: 30th, April 2025 GMT
কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (লাইন অব কন্ট্রোল বা এলওসি) টহলরত ভারতের চারটি রাফাল যুদ্ধবিমান ধাওয়া দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার দাবি করেছে পাকিস্তান। দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম পিটিভির বরাত দিয়ে বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ডন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান বিমানবাহিনী (পিএএফ) তাদের যুদ্ধবিমান ওড়ালে কাশ্মীরের ওপর টহলরত ভারতীয় যুদ্ধবিমান পিছু হটতে বাধ্য হয়। মঙ্গলবার গভীর রাতে ভারতীয় বিমানবাহিনীর চারটি রাফাল জেট ভারতীয় ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে থাকা অবস্থায় অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের ওপর টহল দেয়। পাকিস্তানি বিমানবাহিনীর বিমানগুলো তাৎক্ষণিকভাবে ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলোকে শনাক্ত করে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পাকিস্তানি বিমানবাহিনীর তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের ফলে ভারতীয় রাফায়েল বিমানগুলো আতঙ্কে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। নিরাপত্তা সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, পাকিস্তানি বাহিনী সর্বদা ভারতীয় যেকোনো ধরনের আগ্রাসনের উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত।
গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সন্ত্রাসীয় হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে এমনিতেই উত্তেজনা চলছিল, এই ঘটনা তাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দাপুটে জয়ে ক্যাম্প ন্যুতে বার্সেলোনার প্রত্যাবর্তন
ফেরান তোরেসের দুর্দান্ত জোড়া গোল আর শুরুর দিকেই রবার্ট লেভানদোভস্কির আঘাত; সব মিলিয়ে দুই বছর পর ন্যু ক্যাম্পে ফিরে এসে একেবারে রাজকীয় ভঙ্গিতেই নিজেদের উপস্থিতি জানান দিল বার্সেলোনা। ১০ জনের বিলবাওকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে লা লিগায় টানা তিন জয়ের আনন্দে ভাসল কাতালানরা।
নবায়ন কাজের কারণে দীর্ঘ বিরতির পর ন্যু ক্যাম্পে এটি ছিল বার্সার প্রথম ম্যাচ। শুরুতেই যেন সেই অপেক্ষার সব ক্ষত মুছে দিলেন লেভানদোভস্কি। ম্যাচের মাত্র চার মিনিটে প্রতিপক্ষের বক্সের বাইরে বল কাড়ার পর নিচু শটে উনাই সিমোনকে পরাস্ত করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
দ্রুততম ৪৪ গোলে রোনালদোর রেকর্ড ভাঙলেন এমবাপ্পে
মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে বার্সেলোনাকে হারাল রিয়াল
এরপর দানি ওলমোর প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেয় বিলবাওয়ের রক্ষণ দেয়াল। লামিন ইয়ামালের শটও রুখে দেন সিমোন। অন্যদিকে আক্রমণে উঠেও সুযোগ নষ্ট করেন উনাই গোমেজ ও নিকো উইলিয়ামস। আয়েরিক লাপোর্তের হেডও পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।
এরপর ফেরান তোরেস ও ফিরমিন লোপেজও গোলের খোঁজে সক্রিয় হন। গার্সিয়া চোট কাটিয়ে একাদশে ফিরেই বিলবাওয়ের নিশ্চিত গোল ঠেকান।
হাফটাইমের ঠিক আগে ইয়ামালের দারুণ বাঁকানো পাসে সুযোগ পান তোরেস। নিচু শটে সিমোনকে পরাস্ত করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। সিমোন ছুঁয়ে দিলেও গোল ঠেকাতে পারেননি।
বিরতির পর মাত্র তিন মিনিটের মাথায় লোপেজ দারুণ এক প্রচেষ্টায় সোজা শটে তৃতীয় গোলটি করেন। ৫৪ মিনিটে লোপেজের ওপর বিপজ্জনক ট্যাকল করে ওইহান সানসেট লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে বিলবাওয়ের দুর্ভাগ্য আরও ঘনীভূত হয়।
এরপর ডানি ভিভিয়ান হুমকি তৈরি করলেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। পাল্টা আক্রমণে ওলমোর শটও অল্পের জন্য বাইরে যায়। ভিভিয়ান পরে আরেকবার হেডে গোল করতে উদ্যত হয়েছিলেন, তবে গার্সিয়ার গ্লাভসে আটকে যায় বল।
অবশেষে ৯০ মিনিটে ইয়ামালের সূক্ষ্ম পাস ধরে ঠান্ডা মাথার ফিনিশিংয়ে ম্যাচের শেষ শব্দটি লিখে দেন ফেরান তোরেস।
দুই বছর পর ঘরের মাঠে ফিরল বার্সেলোনা। আর তোরেস-ইয়ামালরা যেন সেই আনন্দকে ফুটিয়ে তুললেন মাঠজুড়ে গোলের আতশবাজিতেই।
ঢাকা/আমিনুল