রোবট দিয়ে উদ্বোধন
জগৎটাকে এক সময় নাকি রোবট দখল করে নেবে। এআই এসে সেটা হাতেকলমে বুঝিয়ে দিচ্ছে। ‘নাও’ নামের এক ছোট্ট রোবটের ঘোষণার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় এবারের বিকাশ-বিজ্ঞানচিন্তা বিজ্ঞান উৎসবের জাতীয় পর্ব।
উদ্বোধনের কিছুক্ষণ পরেই মূল মঞ্চে দেখা গেল সেই রোবট নাওয়ের হিপহপ ড্যান্স। তবে মজার ব্যাপার হলো, হিপহপ ড্যান্সের একপর্যায়ে মঞ্চেই হঠাৎ পড়ে যায় নাও। সবাইকে অবাক করে দিয়ে রোবট নাও বলে ওঠে ‘আউচ’। এতে তো দর্শক হেসে কুটি কুটি।
নিজের নাম লিওনেল মেসি, ভাইয়ের নাম ক্রিশ্চিয়ানো
উৎসবে ঘুরে হঠাৎ দেখা মিলল লিওনেল মেসির। না, ফুটবল তারকা মেসি নয়, বরং এই মেসি বিজ্ঞান উৎসবের আঞ্চলিক পর্বের বিজয়ী। এসেছে বরিশাল থেকে। মজার ব্যাপার হলো, সে নিজে তো মেসি বটে, তার ভাইয়ের নাম ক্রিশ্চিয়ানো। কেন এই নাম, জিজ্ঞেস করতেই মেসি বলল, ‘আমার বাবা বিশাল বড় ফুটবল ভক্ত। আমাদের জন্মের আগে থেকেই তিনি ঠিক করে রেখেছিলেন এই নাম।’ তোমারও কি তবে ফুটবল পছন্দ?-এমন প্রশ্ন করতেই সে অবাক করে দিয়ে বলল, ‘না। আমার ফুটবল পছন্দ না আসলে।’ ভাবা যায়, নাম লিওনেল মেসি, তার নাকি ফুটবল অপছন্দ!
সূর্যের আলোতে সেদ্ধ ডিম
উৎসবের দিন ছিল কাঠ-ফাটা রোদ। এমন রোদ যে মাথায় চাল চড়িয়ে দিলে হয়ে যাবে ভাত। তবে ভাত না হলেও হয়েছে ডিম সেদ্ধ। এবারের আয়োজনে সিলেটের জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের তিন শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়েছে এমন এক প্রজেক্ট নিয়ে—নাম ‘বক্স সোলার কুকার’। কাঠের এক বাক্সে ঢাকনার ভেতর রাখা দুটি ডিম—আয়োজনের মাঠে সারা দিনব্যাপী দেখা গেল এই দৃশ্য। উৎসুক সবাই গোল হয়ে বারবার দেখছিল, কী ‘কুক’ হচ্ছে? সবার প্রশ্ন একটাই, ডিম কি সত্যিই সেদ্ধ হবে? উত্তর পাওয়া গেল বিকেল বেলা। দেখা গেল সত্যিই কাচা ডিম পরিণত হয়েছে সেদ্ধ ডিমে, তা-ও আবার সূর্যের তাপে। সেটা আবার দুই স্বেচ্ছাসেবক খেয়ে প্রমাণ করেও দেখাল।
‘নাও’ নামের এক ছোট্ট রোবটের ঘোষণার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় এবারের বিকাশ-বিজ্ঞানচিন্তা বিজ্ঞান উৎসবের জাতীয় পর্ব.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন উৎসব উৎসব র ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
বর্ণিল আয়োজনে ‘ইয়ামাহা বাইক কার্নিভ্যালে’
বর্ণাঢ্য আয়োজন ও হাজারো রাইডারের অংশগ্রহণে শনিবার অনুষ্ঠিত হলো ‘ইয়ামাহা বাইক কার্নিভ্যাল’। ঢাকার পূর্বাচলের বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে এ আয়োজন দেশের বাইকপ্রেমীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়।
২০১৬ সালে ইয়ামাহার সঙ্গে এসিআই মটরসের পথচলা শুরু। ১১ নভেম্বর এই যাত্রা ৯ বছরে পদার্পণ করবে। এ উপলক্ষে ইয়ামাহা বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত দিনব্যাপী উৎসবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা রাইডাররা উপভোগ করেন টেস্ট রাইড, জিমখানা, স্টান্ট শোসহ নানা রোমাঞ্চকর বাইকিং কার্যক্রম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এসিআই মটরসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাস। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক আরাফাত হোসেনসহ অন্য কর্মকর্তারা।
আয়োজনটি নিয়ে সুব্রত রঞ্জন দাস বলেন, ‘প্রতিবছর আমরা দিবসটিকে উদ্যাপন করি। এবার বড় পরিসরে আয়োজন করছি। সারা দেশের সাত হাজারের বেশি রাইডার এখানে অংশ নিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শুধু মোটরসাইকেল বিক্রি নয়, বাইক-সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ভবিষ্যতে এ আয়োজনকে আন্তর্জাতিক মানের করার পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে দেশের বাইরের বাইকাররাও অংশ নেবে। আর ইয়ামাহা এখন তরুণদের স্বপ্নের প্রতীক—এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় সাফল্য। এ ধারাবাহিকতায় আমরা বাইক ইন্ডাস্ট্রিকে নেতৃত্ব দিচ্ছি।’
এসিআই মটরসের মহাব্যবস্থাপক আরাফাত হোসেন বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, ইয়ামাহা শুধু একটি ব্র্যান্ড নয়, এটি এক বিশাল পরিবার। সামনে আরও উদ্ভাবন, আরও সেবা ও আরও ভালো অভিজ্ঞতা নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই।’
মোটরসাইকেল ইন্ডাস্ট্রিতে ইয়ামাহা একটি জনপ্রিয় নাম, তরুণ প্রজন্মের কাছে যা ‘স্বপ্নের বাইক’ হিসেবে পরিচিত। বর্তমান বাজারে বিক্রির শীর্ষেও রয়েছে ইয়ামাহা। জনপ্রিয় এই ব্র্যান্ডের সফলতার পেছনে রয়েছে এর অনুমোদিত পরিবেশক এসিআই মটরস্। যাত্রার শুরু থেকেই নতুন নতুন মডেল ও বিক্রয়োত্তর সেবার মাধ্যমে বাইকপ্রেমীদের মন জয় করে নিয়েছে ইয়ামাহা ও এসিআই মটরস্, যাদের সব কার্যক্রমই হয় গ্রাহকের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিয়ে।
অনুষ্ঠানে আসা কুমিল্লা ইয়ামাহা রাইডার্স ক্লাবের সদস্য ইভা সরকারের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। ইভা বলেন, ‘শখ করেই বাইক রাইড করি। এটা আমাদের বাইকারদের একটি মিলনমেলা। এখানে এসে ভালো লাগল।’
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় ইয়ামাহা রাইডার্স ক্লাবের সদস্য কামারুজ্জামানও এসেছিলেন এ আয়োজনে। তিনি বলেন, ‘ইতিপূর্বে অনেক অনুষ্ঠানে এসেছি। এবারের আয়োজন একেবারেই ভিন্ন। দেশের আর কোনো বাইক কোম্পানি নেই, যারা এভাবে রাইডারদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে চিন্তা করে। এ জন্য এ কমিউনিটির সদস্য হতে পেরে আমি গর্বিত।’
ইয়ামাহা বাইক কার্নিভ্যাল আয়োজনে বিভিন্ন কার্যক্রমের পাশাপাশি ছিল ইয়ামাহার বিভিন্ন সামগ্রীর প্রদর্শনীও। সন্ধ্যায় বিশেষ আকর্ষণ ছিল কণ্ঠশিল্পী কনা ও ‘নগরবাউল’ জেমসের পরিবেশনা, যা উপস্থিত বাইকপ্রেমীদের মধ্যে উৎসবের উচ্ছ্বাস আরও বাড়িয়ে দেয়।
বর্ণাঢ্য এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে গ্রাহক ও রাইডারদের সঙ্গে বন্ধন আরও সুদৃঢ় করল ইয়ামাহা ও এসিআই মটরস্—এমনই মতামত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের।