রাজশাহীতে মাত্র এক সপ্তাহ পর আগামী ১৫ মে থেকে আমের মৌসুম শুরু হচ্ছে। ওইদিন থেকে সব ধরনের গুটি আম গাছ থেকে নামিয়ে বাজারজাত করতে পারবেন চাষিরা।

গতকাল বুধবার রাজশাহীতে এক মতবিনিময় সভায় গাছ থেকে আম সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণের সময়সূচি ‘ম্যাংগো ক্যালেন্ডার’ ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার। অপরিপক্ব আম নামানো, রাসায়নিক দিয়ে পাকানো এবং বাজারজাত ঠেকাতে কয়েক বছর ধরে ম্যাংগো ক্যালেন্ডার ঘোষণা করছে জেলা প্রশাসন। সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক উম্মে সালমা, আম গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী, বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান, চারঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসানসহ আমচাষিরা। 

সভায় জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার বলেন, ‘আমে যেন কেউ কোনো রাসায়নিক ব্যবহার না করেন, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’

রাজশাহী জেলায় আমের বাগান রয়েছে ১৯ হাজার ৬০৩ হেক্টর জমিতে। এ বছর ২ লাখ ৬০ হাজার ৬ টন আম উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে লাঠিপেটার ভিডিও ভাইরাল

ময়মনসিংহে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠানকে লাঠি দিয়ে পেটানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। বুধবার রাতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এক অজ্ঞাত যুবক তাঁর দুই হাত চেপে ধরে রেখেছেন। এ সময় মাক্স পরে থাকা অপর এক যুবক তাঁকে লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছেন। 

১৩ সেকেন্ডের এ ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। নেটিজেনরা বলেন, একজন প্রবীণ শিক্ষক ও রাজনীতিককে এভাবে হেয় করা ঠিক হয়নি।

অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের দুইবারের সাবেক চেয়ারম্যান। ছাত্রজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি জানান, লাঠি দিয়ে পেনোর ভিডিওটি ঢাকার কোনো একটি এলাকার। কিছুদিন আগে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের কাছে এই আওয়ামী লীগ নেতার পরিচয় প্রকাশ হলে তারা তাকে আটক করেন। এ সময় তাঁকে লাঠিপেটা করে মধ্যস্থতার মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ঘটনার সত্যতার বিষয়ে দায়িত্বশীল কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

নগরীর মহারাজা রোড এলাকার বাসিন্দারা জানান, গত ৫ আগস্ট থেকে ইউসুফ খান পাঠান ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন। 

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম খান বলেন, এই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। বর্তমানে তিনি পলাতক। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ