পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা ভারত-শাসিত কাশ্মীর সীমান্তে কার্যত ৪০ থেকে ৫০ জন ভারতীয় সেনাকে হত্যা করেছে।

বৃহস্পতিবার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর পাকিস্তানের তথ্য মন্ত্রণালয় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ।

পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার মার্কিন সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ বলেছেন, “আমরা কার্যত সীমান্তে তাদের (ভারতীয়) সামরিক স্থাপনা উড়িয়ে দিয়েছি।”

আরো পড়ুন:

ভারতের হামলায় পাকিস্তানে নিহত শতাধিক: দাবি রাজনাথ সিংয়ের

১৫ শহরে পাকিস্তানের হামলা প্রতিহতের দাবি ভারতের

গত বুধবার ভোরে পাঞ্জাব ও পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে দিল্লির ভয়াবহ আক্রমণের পর ইসলামাবাদ প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা ভারতীয় বিমান বাহিনীর পাঁচটি যুদ্ধবিমান এবং আরো কয়েক ডজন ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। পাকিস্তানের এই দাবির বিষয়ে নয়াদিল্লি কোনো মন্তব্য করেনি।

তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী বলছে, ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তানের গুলিবর্ষণে ১৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে জনগণ, অংশ নিলেন প্রেসিডেন্টও

ইরানের তেহরানে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বিমান হামলার প্রতিবাদে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন। দেশটির রাজধানীজুড়ে রোববার সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়। পরে সেখানে যোগ দেন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।

বিক্ষোভ ‘আমেরিকার আগ্রাসনের জবাব চাই’, ‘আমেরিকা নিপাত যাক’, ‘ইসরায়েল ধ্বংস হোক’- ইত্যাদি নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়।

প্রতিবাদকারীদের হাতে ছিল ইরানি পতাকা, নিহতদের ছবি এবং ট্রাম্প ও ইসরায়েলি নেতাদের কুশপুতুল। অনেকে হাতে ধরে রেখেছিলেন ব্যানার যাতে লেখা ছিল:

‘আমরা প্রতিরোধ করবো, আত্মসমর্পণ নয়’, ‘হামলা হলে জবাব আসবেই’, ‘পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের রক্ত বৃথা যাবে না’

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘এই হামলা কেবল ইরানের নয়, সমস্ত মুসলিম বিশ্বের ওপর আঘাত। আমেরিকা জানে না, ইরান কখনও মাথানত করে না।’

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এবং স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বিক্ষোভের লাইভ সম্প্রচার করে। অনেক জায়গায় ধর্মীয় নেতারা উপস্থিত থেকে জনগণকে ‍উদ্বুদ্ধ করেন প্রতিরোধে সক্রিয় থাকতে।

তেহরানের আজাদি স্কয়ার, ফার্দৌসি স্কয়ার, ইমাম হোমেইনি মসজিদের সামনে এবং পার্লামেন্ট ভবনের সামনে ছিল প্রধান বিক্ষোভস্থল। তবে দেশটির বিভিন্ন স্থানেও ছোটখাটো করে বিক্ষোভ হয়। তেহরানের আজাদি স্কয়ারে আসেন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। পরে তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে অংশ নেন।

বিশ্লেষকদের মতে, এই বিক্ষোভগুলো শুধু সরকার সমর্থিত নয়—বিশেষ করে ইরানে পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের ওপর হামলার পর সাধারণ জনগণের মধ্যেও জাতীয় ঐক্য ও ক্ষোভ উভয়ই দৃশ্যমান।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ নামে সামরিক অভিযানে ইরানের ফোর্দো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়। এর পরই দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ