‎আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক উপস্থাপিত “রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখার ৩১ দফা সম্বলিত লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চেয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ -৪ (ফতুল্লা) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব।

‎বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গোগনগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের চরসৈয়দপুরের বিভিন্ন পাড়া, মহল্লায় তিনি লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

‎এসময় সাধারণ জনগণ, স্থানীয় ব্যবসায়ী, পথচারী ও বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাতে লিফলেট তুলে দিয়ে বিএনপির ৩১ দফা রূপরেখা এবং আগামী নির্বাচনে “ধানের শীষ” মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেন বিএনপি নেতা রাজিব।

‎এসময়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব বলেন, বিএনপি এদেশে গণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের দল। আগামী নির্বাচনে বিএনপি’র আস্থা ও বিশ্বাস থেকে এ দেশের জনগণ ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনবে ইনশাল্লাহ।

ধানের শীষের প্রচারণা করতে গিয়ে আমরা সাধারণ জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান জাতির কাছে যে ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কার মেরামতের ঘোষণা করেছেন আমরা সেগুলো সাধারণ জনগণের দ্বারে দ্বারে গিয়ে উপস্থাপন করছি। 

আগামী নির্বাচনে যদি জনগণের ভোটে দ্বারা বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পারে তাহলে দেশের জনগণ ও দেশের জন্য কি করতে চায় সেগুলো আমরা ৩১ দফার মাধ্যমে প্রত্যেকটা মানুষের কাছে বুঝে দিতে আমরা সক্ষম হচ্ছি। ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করতে গিয়ে আমরা ধানের শীষের পক্ষে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।

‎তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ -৪ আসনে আমাদের বিএনপির অনেক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে। আমাদের দলের আদর্শ হলো ব্যক্তির চেয়ে দল বড় দলের চেয়ে দেশ বড়। কিন্তু আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা তারেক রহমানের প্রতি আমাদের পূর্ন আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। উনি যে সিদ্ধান্ত নিবে তার দেশ ও জনগণের স্বার্থেই নিবেন। কারণ  নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। 

আমাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলন সংগ্রামে আমাদের সাথে অনেক দলই যুগপৎ আন্দোলন ও শরিকদল হিসেবে পাশে ছিল। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাবে তাদের মনের আশা পূরণ করার জন্য জাতীয় ভাবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অনেক জায়গায় ছাড় দিবে বলে উনি চিন্তা করছেন।

আমরা এই দলের কর্মী হিসেবে আমাদের দায়িত্ব আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কাছে ছেড়ে দিয়েছি। আর উনার প্রতি আমাদের অগাধ বিশ্বাস রয়েছে উনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটা দল ও দেশের কথা চিন্তা করেই নিবেন।

যেখানে দেশ ও জনগণের কথা চিন্তা করে উনি সিদ্ধান্ত নেবেন সেই সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাবো। সুতরাং যেখানে দল সিদ্ধান্ত নেবে সেখানে আমাদের ব্যক্তির কোন স্বার্থ নেই। সুতরাং যাকে মনোনয়ন দিবে এবং বিএনপি সমর্থন করবে আমরা তার পক্ষে কাজ করে ধানের শীষের বিজয়কে নিশ্চিত করব ইনশাল্লাহ।

‎লিফলেট ও গণসংযোগকালে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম সরদার, গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ্ আলম ভূঁইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক আঃ জব্বার,সদস্য শোভন, সোহেল ভূঁইয়া, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মঈনুল হাসান রবিন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুর রহমান সুমন, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাজাদা আলম রতন, যুবদল নেতা নাজমুল হাসান, জাহিদুল হাসান, আরিফ হোসেনসহ জেলা বিএনপি এবং গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ত র ক রহম ন ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র জনগণ র ল ফল ট আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে মারাত্মক সংকটে তিস্তা নদী

আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। আর প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্প নিয়েও কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না।

রোববার রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে (পিআইবি) ‘সংকটে তিস্তা নদী: সমাধানের পথ কী?’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) যৌথভাবে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার সহসভাপতি অধ্যাপক মো. খালেকুজ্জমান। প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের সঙ্গে কোনো পানিবণ্টন চুক্তি না থাকায় এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে আর বর্ষাকালে নিয়ন্ত্রণহীন পানিনির্গমনের ফলে বাংলাদেশ অংশে বন্যা ও ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে।

মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞরা তিস্তা সমস্যার সমাধানে ভারতের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পৃক্ততা, আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ এবং প্রকল্পে স্থানীয় জনগণের মতামত গ্রহণের ওপর জোর দেন। তাঁরা তিস্তা মহাপরিকল্পনা সম্পর্কে স্বচ্ছতা ও পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানান।

অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সরকারের কাছে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কোনো তথ্য নেই। বিগত বছরগুলোতে উন্নয়নের নামে দেশের নদীগুলোকে সংকুচিত করা হয়েছে। আমরা আর সংকুচিত করার উন্নয়ন চাই না। নদীকে নদীর মতোই রাখতে হবে।’

আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যক্তিস্বার্থকে উপেক্ষা করে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। যেসব প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদি, সেসব প্রকল্প গ্রহণের আগে অবশ্যই জনগণের মতামত নিতে হবে।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব সামর্থ্য অনুযায়ী প্রকল্প নেওয়া উচিত। নদীকে রক্ষা করতে হবে কিন্তু তাকে খালে পরিণত করে নয়। এই প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।

বাপার প্রতিষ্ঠাতা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাপা কখনো উন্নয়নবিরোধী নয়। আমরাও চাই দেশের উন্নয়ন হোক। কিন্তু সেই উন্নয়ন হতে হবে দেশের প্রাণপ্রকৃতি, পরিবেশ ও নদীকে ঠিক রেখে। তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না। সরকার ও বিরোধী দল উভয়ই চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে সংবেদনশীল হওয়ায় এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।’

বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, পরিবেশবিদ, গবেষক ও তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা অংশ নেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নির্বাচন দেরি হলে বিভিন্ন ধরনের আশঙ্কা–বিশৃঙ্খলার সম্ভাবনা আছে: জামায়াতের আমির
  • সিলেটে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ছাত্র ইউনিয়নের তিন নেতা আটক
  • ‎দলীয় নির্দেশনা পালন করতে অঙ্গীকারবদ্ধ ও বদ্ধপরিকর : রাজিব
  • কক্সবাজারে পুরনোদের ওপর আস্থা রাখল বিএনপি
  • জনগণের সহজে ভূমিসেবা নিশ্চিত করতে হবে: সিনিয়র সচিব
  • অবিলম্বে গণভোটের দাবি চাকসুর
  • ক্ষমতার লোভে কেউ কেউ ধর্মকে ব্যবহার করছে: আব্দুস সালাম
  • উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে মারাত্মক সংকটে তিস্তা নদী
  • বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবকে নিয়ে বাবুলের গণসংযোগ ও ৩১ দফার লিফলেট