রাস্তায় শারীরিক হেনস্থার শিকার হন অভিনেত্রী শামিম আকবর আলী। এ সময় সঙ্গে তাঁর কন্যাসন্তান থাকলেও অটোচালকের কাছে হেনস্তার শিকার হন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী নিজেই এ ঘটনা জানিয়েছেন।
মুম্বাইয়ের মিরা রোডে নিজের পাঁচ বছর বয়সী মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার সময় এক অটোরিকশাচালকের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন অভিনেত্রী শামিম আকবর আলী। ঘটনাটি ঘটে ১ নভেম্বর বিকেলে। অভিযোগ পাওয়ার পর কাশিমিরা থানায় মামলা হয়েছে এবং পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

শামিম ২০২১ সালের চলচ্চিত্র ‘ইন দ্য মান্থ অব জুলাই’–এর মাধ্যমে পরিচিতি পান। তিনি জানিয়েছেন, বেলা দেড়টা নাগাদ মেয়েকে স্কুল থেকে নিতে গিয়ে এই ঘটনাটি ঘটে। মিড-ডে পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি চালককে বলি স্কুলের সামনে রিকশা থামাতে। তখনই সে রেগে গিয়ে আমাকে গালাগাল শুরু করে। বলে, আমি কেন এখানে রিকশা থামাতে বলেছি। সে তখন ভাড়াটা তৎক্ষণাৎ দিতে বলে, কারণ তার নাকি তাড়া ছিল। আমি মেয়েকে কোলে তুলে একই রিকশায় উঠে পড়ি, আর বলি আমাদের বাড়ি পৌঁছে দিতে।’

শামিম আকবর আলী। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

এক সময় ছিলেন এক গুরুর শিষ্য, দ্বন্দ্বে জড়িয়ে খুন দুজনই

বিদেশে বসে চট্টগ্রামের অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করেন সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদ। চাঁদাবাজি, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে তাঁর ডানহাত হিসেবে কাজ করতেন ‘সন্ত্রাসী’ সরোয়ার হোসেন বাবলা ও আকবর আলী ওরফে ঢাইকাইয়া আকবর। ১০ বছর আগে সাজ্জাদের দল থেকে বেরিয়ে নিজেরাই পৃথক দল গড়ে তুলেছিলেন তাঁরা। প্রায় ছয় মাসের ব্যবধানে দুজনই খুন হলেন। অভিযোগ উঠেছে, প্রতিপক্ষ হয়ে ওঠায় নিজের এক সময়কার দুই শিষ্যকে সরিয়ে দিয়েছেন সাজ্জাদ আলী।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় নগরের পাঁচলাইশ চালিতাতলী এলাকায় বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগের সময় ‘সন্ত্রাসী’ সরোয়ার হোসেন বাবলার ঘাড়ে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর আগে ২৩ মে আরেক শিষ্য আকবর আলী ওরফে ঢাকাইয়া আকবরকেও গুলিতে খুন হন।

পুলিশ জানায়, চাঁদা না পেলেই গুলি ছোড়েন সাজ্জাদের অনুসারীরা। নগরের চান্দগাঁও, বায়েজিদ বোস্তামী ও পাঁচলাইশ এবং জেলার হাটহাজারী, রাউজানসহ পাঁচ থানার পাঁচ লাখের বেশি মানুষকে সাজ্জাদের বাহিনীর কারণে আতঙ্কে থাকতে হয়।  ৫ আগস্টের পর থেকে নগর এ জেলায় জোড়া খুনসহ ১০টি খুনে সাজ্জাদের অনুসারীদের নাম উঠে এসেছে। তাঁরা কখনো আধিপত্য বজায় রাখতে নিজেদের প্রতিপক্ষকে খুন করছেন, আবার কখনো ভাড়াটে খুনি হিসেবেও ব্যবহার হয়েছেন। তবে বিদেশে পলাতক সন্ত্রাসী সাজ্জাদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

যেভাবে উত্থান বড় সাজ্জাদের

নগরের বায়েজিদ বোস্তামীর চালিতাতলী এলাকার আবদুল গণি কন্ট্রাক্টরের ছেলে সাজ্জাদ আলী। ১৯৯৯ সালের ২ জুন পাঁচলাইশ ওয়ার্ড তৎকালীন কাউন্সিলর লিয়াকত আলী খান বাড়ির সামনে খুন হন। লিয়াকত হত্যায় সাজ্জাদ জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ থাকলেও কেউ আদালতে সাক্ষ্য না দেওয়ায় ওই হত্যা মামলা থেকে তিনি খালাস পেয়ে যান। লিয়াকত হত্যার পর অপরাধজগতে সাজ্জাদের নাম ছড়িয়ে পড়ে।

২০০০ সালের ১২ জুলাই। মাইক্রোবাসে করে একটি দলীয় সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ছাত্রলীগের ছয় নেতা-কর্মী। পথে বহদ্দারহাটে ওই মাইক্রোবাস থামিয়ে ব্রাশফায়ার করে সন্ত্রাসীরা। ঘটনাস্থলেই ওই ছয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীসহ আটজন মারা যারা যান। ‘এইট মার্ডার’ নামে পরিচিত আলোচিত ওই হত্যাকাণ্ডে সাজ্জাদ নেতৃত্ব দেন বলে অভিযোগ ওঠে। ২০০০ সালের ১ অক্টোবর একে-৪৭ রাইফেলসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বড় সাজ্জাদ। ২০০৪ সালে জামিনে বেরিয়ে বিদেশে পালিয়ে যান।

বড় সাজ্জাদের সহযোগী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আকবরের ৯ বলে ৩২ রান, শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ
  • পার্বত্য অঞ্চলে ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করার অঙ্গীকার আসিফের
  • এক সময় ছিলেন এক গুরুর শিষ্য, দ্বন্দ্বে জড়িয়ে খুন দুজনই
  • বিসিবির পরিচালক আসিফ আকবরের বান্দরবান স্টেডিয়াম পরিদর্শন