অন্তর্বর্তী সরকার যে রূপরেখা তৈরি করেছে, সেই অনুযায়ী নির্বাচন হবে, তা সেনাবাহিনীও চাইছে। তারা মনে করছে, নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীল অবস্থা আরও ভালো হবে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন জেনারেল অফিসার কমান্ডিং, সদর দপ্তর আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড (জিওসি আর্টডক) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো.

মাইনুর রহমান।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। ওই সময়ে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুর বলেন, ‘গত ১৫ মাস সেনাবাহিনী মাঠে দায়িত্ব পালন করছে। আমরা চাই, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক এবং আমরা ক্যান্টনমেন্টে ফিরে আসি।’

গত এক বছরের বেশি সময় ধরে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করে যাওয়া সেনাবাহিনীকে নিয়ে নানা অপপ্রচার চলছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘কিছু স্বার্থান্বেষী মহল মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে সেনাবাহিনী এখন আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ। যে দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে, সেটা সেনাবাহিনী পালন করবে।’

সেনা কর্মকর্তা মাইনুর রহমান বলেন, ‘৫ আগস্টের পরবর্তী পরিস্থিতির দিকে একটু ফিরে তাকান। ১৫ বছর যে আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটানো যায়নি, সেনাবাহিনী এই সময়ের মধ্যে কুমিল্লা, নোয়াখালীর বন্যা, বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে সড়ক অবরোধসহ ... আমরা না থাকলে অবনতি কতটা হতো সেটি কেউ ধারণাও করতে পারবেন না।’

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শেষ মুহূর্তে আইসিসির সভায় নাকভি, এশিয়া কাপ ট্রফি নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার শঙ্কা

দুবাইয়ে আজ বসেছে আইসিসির ত্রৈমাসিক সভা। তবে এবারের সভায় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভাপতি ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি থাকছেন না বলে কয়েক দিন ধরে এক ধরনের ধোঁয়াশা তৈরি করে আসছিল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।

কিন্তু সব জল্পনা উড়িয়ে শেষ মুহূর্তে সভায় যোগ দিয়েছেন নাকভি। ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ জানিয়েছে, আজ বিকেলে দুবাইয়ে আইসিসির সদর দপ্তরে পৌঁছেছেন নাকভি। তিনি উপস্থিত হওয়ায় এবারের সভায় সবচেয়ে বড় আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে এশিয়া কাপ ট্রফি নিয়ে বিতর্ক।

ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই খবর প্রকাশের সময়ই বৈঠকে ওই বিতর্কিত বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছিল বলে জানা গেছে। এ নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতিরও সৃষ্টি হতে পারে।

এশিয়া কাপের ট্রফি এখনো পায়নি ভারত

সম্পর্কিত নিবন্ধ