অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে নির্বাচনের ঘোষণা আসাদুজ্জামানের
Published: 5th, November 2025 GMT
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ ছেড়ে নির্বাচনে অংশ নিবেন।
বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে তিনি এ কথা জানান।
আরো পড়ুন:
টাঙ্গাইল-৩: প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ
জোট গঠন করবে না জামায়াত: শফিকুর রহমান
অ্যাটর্নি জেনারেল ঝিনাইদহ–১ (শৈলকূপা) আসনে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান বলেন, “আমি এখনো অ্যাটর্নি জেনারেল আছি। তবে আমি জাতীয় নির্বাচনে ভোট করব, যখন সময় হবে বিস্তারিত জানাব।”
পরবর্তী অ্যাটর্নি জেনারেল কে হবেন-এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ যাকে মনে করবে তিনি হবেন অ্যাটর্নি জেনারেল।”
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “ঝিনাইদহ-১ থেকে আমি নমিনেশন চেয়েছি। আমি আশাবাদী মনোনয়ন পাব। যখন সময় হবে তখন পদত্যাগ করে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করব।”
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল এবং সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের কর্মকাণ্ড নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “কোনো একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সুবিধা দিতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় দেওয়া হয়েছিল।”
অ্যাটর্নি জেনারেল হওয়ার আগে মো.
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইনজ ব আস দ জ জ ম ন
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে ৩টি সামরিক স্থাপনা নির্মাণ করেছে ভারত
বাংলাদেশের সীমান্তের কাছে অবস্থিত শিলিগুড়ি করিডরে ভারত নতুন তিনটি সেনা ঘাঁটি স্থাপন করেছে। সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য আসামের বামুনি (ধুবরির কাছে),বিহার বাংলা সীমান্তের কৃষাণগঞ্জ এবং পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া এলাকায় নতুন ঘাঁটিগুলো নির্মাণ করা হয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর সি তিওয়ারি বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ সীমান্তসংলগ্ন চোপড়া ঘাঁটি পরিদর্শন করেন।
পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড এক্স-এ এক পোস্টে জানায়, লেফটেন্যান্ট জেনারেল তিওয়ারি সেখানে মোতায়েনকৃত সেনাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং অত্যন্ত স্বল্প সময়ের মধ্যে ঘাঁটি স্থাপন ও চালু করার জন্য তাদের অটল উদ্যম ও পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেন। তিনি সেনাদের সর্বোচ্চ কার্যকরী প্রস্তুতি বজায় রাখতে এবং নিরাপত্তাজনিত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্রিয় থাকারও নির্দেশ দেন।
ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার একটি উচ্চপদস্থ সূত্র জানিয়েছে, গ্যাপগুলোর নজরদারি বাড়ানো এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া সক্ষমতা উন্নত করার জন্য এই ঘাঁটিগুলো তৈরি করা হয়েছে। এই করিডর ভারতের মূল ভূখণ্ডকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সেভেন সিস্টার্স রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত করে, যা ‘চিকেন নেক’ করিডর নামেও পরিচিত।
চিকেন নেককে ভারত তাদের অন্যতম স্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে বিবেচনা করে। কারণ, যদি এই করিডর হারিয়ে যায়, তবে সেভেন সিস্টার্স রাজ্যের সঙ্গে স্থল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ভারতের সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, চিকেন নেক করিডর তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক করিডর, যেখানে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। প্রয়োজন হলে খুব দ্রুত সময়ে সেনা মোতায়েন করা সম্ভব। পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব সেনাকে খুব দ্রুত এখানে জড়ো করা সম্ভব।
পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ চেয়ারম্যান জেনারেল শাহির শামসেদ মির্জার সাম্প্রতিক ঢাকা সফর এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর ভারত এই করিডরের নিরাপত্তা বাড়াচ্ছে।
সুচরিতা/শাহেদ