স্কলাস্টিকা আর্ট, ড্রামা, মিউজিক ও ডান্স ক্লাবের যৌথ আয়োজনে মঞ্চস্থ হচ্ছে সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত চলচিত্র অবলম্বনে তৈরি নাটক ‘হীরক রাজার দেশে’। ৬ ও ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় উত্তরার স্কলাস্টিকা সিনিয়র ক্যাম্পাসের এসটিএম হলে নাটকটির প্রদর্শিত হবে। নাটকটি পরিচালনা করেছেন কাজী তৌফিকুল ইসলাম ইমন, সহ-পরিচালনায় রয়েছেন শাহীন সাইদুর।  

এই প্রযোজনার মধ্য দিয়ে স্কলাস্টিকার এসটিএম হল উদযাপন করছে প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পূর্তি। নাটকটি উৎসর্গ করা হয়েছে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত মিসেস ইয়াসমিন সামাদের প্রতি, যার স্বপ্ন ও নিষ্ঠা আজকের স্কলাস্টিকার ভিত্তি স্থাপন করেছে। 

আরো পড়ুন:

‘বেহুলা দরদী’ রূপে পর্দায় স্নিগ্ধা

শিল্পকলায় ‘ট্রায়াল অব সূর্যসেন’

প্রথম দিনের (৬ নভেম্বর) প্রদর্শনীতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রামা ক্লাব ও ফিল্ম ক্লাবের সদস্যরা। দ্বিতীয় দিনের (৭ নভেম্বর) প্রদর্শনীতে উপস্থিত থাকবেন নাট্যব্যক্তিত্ব আবুল হায়াত, দিলারা জামান এবং আফজাল হোসেন। স্কুলের অধ্যক্ষ ফারাহ সাফিয়া আহমেদ, সাবিনা মোস্তাফা শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন। 

গল্প প্রসঙ্গে নির্মাতা জানান, গুপী গান গায় তাই তার নাম গুপী গাইন, আর বাঘা বাজনা বাজায় তাই তার নাম বাঘা বাইন। সে অনেক দিন আগের কথা, গুপী আর বাঘা তাদের গান আর বাজনা দিয়ে খুশি করেছিল ভূতের রাজাকে। সন্তুষ্ট হয়ে ভূতের রাজা তাদের দিয়েছিলেন জাদুর জুতা, যা খুশি তা খাওয়ার সুযোগ আর পেয়েছিলেন এমন এক বর, যার কোনো তুলনা নাই। ভূতের রাজার সে অতুলনীয় বরে গুপী আর বাঘা গান গাইলে কারো নড়বার কোনো উপায় নাই। ভূতের রাজার বর পেয়ে গুপী আর বাঘা গুণ্ডির দুটি রাজকন্যাকে বিয়ে করে জামাই আদরে দিন গুজার করছে। নাটক শুরু এখান থেকেই।  

আয়েশ করে আলসেমিতে দশটা বছর পার করে দিয়ে গুপী-বাঘা কোথাও ঘুরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। এই সময় শ্বশুরমশাই তাদেরকে হীরক রাজ্যের বর্ষপূর্তি উৎসবে যাওয়ার পরামর্শ দেন। দুই ভায়রা ভাই হীরক রাজ্যে যাওয়ার জন্য রওনা হন। আর সব রাজ্যের মতো হীরক রাজ্যেও কৃষক আছে, মজুর আছে, শিক্ষক আছে, গায়ক আছে। আর আছে হীরার খনি। কিন্তু হীরক রাজ্যে সবচেয়ে আজব যা আছে, তা হলো স্বয়ং হীরক রাজা। হীরক রাজা লোভী, ভণ্ড, মূর্খ এবং সবচেয়ে বড় কথা স্বেচ্ছাচারী; এক কথায় একজন যথার্থ খারাপ শাসকের সবকিছুই তার মধ্যে আছে। এমন গল্প নিয়ে এগিয়েছে নাটকটির কাহিনি।  

নাটকটির মঞ্চ, সংগীত, পোশাক ও আলোকসজ্জার সমন্বয়ে সাজানো হয়েছে এক অনন্য নাট্য অভিজ্ঞতা। নাটকটির সংগীত পরিচালনা করেছেন গাজী মুন্নাফ, পলাশ নাথ লোচন, ইলিয়াস খান। পোশাক ও সেট ডিজাইনে আছেন মাহজাবিন মাহবুব, কাজী নওরীন মিশা, আয়েশা সিদ্দিকা প্রমুখ।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স কল স ট ক হ রক র জ য ন টকট র আর ব ঘ

এছাড়াও পড়ুন:

বিলাসবহুল দুটো ফ্ল্যাট বেচে দিলেন অমিতাভ

মুম্বাইয়ের দুটো বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বেচে দিলেন বলিউডের শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন। মোটা অঙ্কের লাভে ফ্ল্যাট দুটো বিক্রি করেছেন বলে খবর প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।  

সিআরই ম্যাট্রিক্সের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, মুম্বাইয়ের গোরগাঁওয়ের ওবেরয় এক্সকুইজিটের ৪৭ তলায় অবস্থিত অমিতাভের ফ্ল্যাট দুটো। ২০১২ সালে ৮.১২ কোটি রুপিতে কিনেছিলেন এই বরেণ্য অভিনেতা। ১৩ বছর পরে প্রতিটি ফ্ল্যাট ৬ কোটি রুপি অর্থাৎ ১২ কোটি রুপিতে বিক্রি করলেন। এতে ৪৭ শতাংশ লাভ হয়েছে ‘শোলে’ তারকার। দুটো ফ্ল্যাটে চারটি পার্কিং সুবিধা রয়েছে।    

আরো পড়ুন:

নিউ ইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়রের মাকে কতটা জানেন?

বিতর্কিত ‘দ্য তাজ স্টোরি’ কত টাকা আয় করেছে?

তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ফ্ল্যাটটির আয়তন ১ হাজার ৮২০ বর্গফুট। এটি ৬ কোটি রুপিতে কিনেছেন আশা ঈশ্বর শুক্লা। এই লেনদেনে ৩০ লাখ রুপি স্ট্যাম্প ডিউটি এবং ৩০ হাজার রুপি রেজিস্ট্রেশন ফি অন্তর্ভুক্ত ছিল। ফ্ল্যাটটি আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত হয় গত ৩১ অক্টোবর। এর পরের দিন দ্বিতীয় ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়। 

অমিতাভ বচ্চন ও তার ছেলে অভিষেক বচ্চন রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগে বিশেষভাবে আগ্রহী। প্রায়ই তারা কেনা-বেচা করে থাকেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে অমিতাভ অন্ধেরির ‘দ্য আটলান্টিস’-এ অবস্থিত ৫ হাজার ১৮৫ বর্গফুটের একটি ডুপ্লেক্স ৮৩ কোটি রুপিতে বিক্রি করেন। 

একই বছরের মে মাসে অযোধ্যায় ৪০ কোটি রুপি ব্যয়ে নতুন একটি সম্পত্তি কেনেন। এর ফলে তার মোট সম্পদের পরিমাণ এখন ১ হাজার ৫০০ কোটি রুপিরও বেশি। এ বছর বচ্চন আরো ১০ কোটি রুপি বিনিয়োগ করেছেন বলিউড প্রযোজক আনন্দ পণ্ডিতের মালিকানাধীন একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ