টাঙ্গাইল-৩, মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ
Published: 5th, November 2025 GMT
টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা লুৎফর রহমান খান আজাদকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন না দেওয়ায় বিক্ষোভ করেছেন উপজেলা বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা। বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার কলেজ মোড় চত্বরে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেন তারা।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন ধলা, পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম শহিদ, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম দুলালসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনে নেতাকর্মীরা।
আরো পড়ুন:
টাঙ্গাইলে বিএনপির আনন্দ মিছিলে আ.
টাঙ্গাইলে মনোনয়ন না দেওয়ায় সড়ক অবরোধ
বক্তারা যতক্ষণ পর্যন্ত টাঙ্গাইল-৩ আসনে মনোনয়ন পরিবর্তন না করা হবে, ততক্ষণ ঘাটাইলের রাজপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানান।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। টাঙ্গাইল-৩ আসনে এস এম ওবায়দুল হক নাসিরের নাম ঘোষণা করা হয়।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে বিক্ষোভ থেকে এই আসনে এস এম ওবায়দুল হক নাসিরের মনোনয়ন বাতিল করে নিজেদের পছন্দের প্রার্থী লুৎফর রহমান খান আজাদকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি করেন উপজেলা বিএনপির একাংশের নেতারা।
ঢাকা/কাওছার/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
গানের সুরে, মেজবানের ঘ্রাণে—সিডনি যেন এক দিনের চট্টগ্রাম
একদিকে মেজবানের ঘ্রাণে মাতোয়ারা পরিবেশ, অন্যদিকে মঞ্চে নকীব খানের কণ্ঠে সুরের ঝংকার-দুয়ের মেলবন্ধনে গত রোববার সিডনির ফেয়ারফিল্ড শোগ্রাউন্ড যেন পরিণত হয়েছিল এক টুকরা বাংলাদেশে। ‘বৃহত্তর চট্টগ্রাম সমিতি অস্ট্রেলিয়া’ আয়োজিত ‘চট্টগ্রাম উৎসব–২০২৫’ ছিল প্রবাসী বাঙালিদের এক দিনের আনন্দমেলা, যেখানে একদিকে মেজবানি মাংসের স্বাদে ভরে উঠেছে পেট আর অন্যদিকে নকীব খানের কালজয়ী গানে ভরে গেছে মন।
চট্টগ্রামের ঘ্রাণে সিডনি
৩০ বছরের রান্নার অভিজ্ঞতা নিয়ে বাবুর্চি আবুল হোসেনকে বিশেষভাবে বাংলাদেশ থেকে আনা হয় এই উৎসবের মূল আকর্ষণ হিসেবে। দুপুর থেকেই ফেয়ারফিল্ড শোগ্রাউন্ডে শুরু হয় অতিথিদের ভিড়। প্রায় তিন হাজার মানুষের জন্য সাজানো হয়েছিল পাঁচটি পরিবেশন কর্নার, টেবিল আর সুশৃঙ্খল বসার ব্যবস্থা। কেউ বলছিলেন, ‘এ যেন বাংলাদেশের কোনো শিল্পপতির বাড়ির জমকালো বিয়ের অনুষ্ঠান।’ প্রবাসীদের একাধিকবার লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার নিতে দেখা যায়। কেউ কেউ বলছিলেন, ‘সিডনিতে বসে আবুল বাবুর্চির মেজবানি খেতে পারব, ভাবতেই পারিনি। মনে হচ্ছিল, চট্টগ্রামের কোনো পাড়ার উৎসবে বসে আছি।’
সুরে সুরে নকীব খান
খাবারের পর শুরু হয় মঞ্চে সুরের আসর। সন্ধ্যা নামতেই আলো-রঙে মুখর মঞ্চে ওঠেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নকীব খান—রেনেসাঁ ব্যান্ডের প্রাণপুরুষ। ৬০ পেরিয়েও তাঁর কন্ঠে যেন সেই পুরোনো দীপ্তি ও সেই পরিচিত আবেগ। গানের শুরুতেই দর্শকেরা উঠে দাঁড়ালেন, কেউ মুঠোফোন হাতে ভিডিও করছেন, কেউবা মুগ্ধ হয়ে গলা মিলাচ্ছেন তাঁর সঙ্গে।
নকীব খান একে একে গেয়ে শোনান ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে’, ‘আর দেশে যাইও তুই’, ‘ভালো লাগে না’, ‘এমনই একটা দিন’—প্রতিটি গানেই দর্শকেরা কণ্ঠ মিলিয়েছেন। মঞ্চে ছিলেন স্থানীয় শিল্পীরা। তাঁদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী তরুণী আদিলা নূর গেয়ে শোনান সুপরিচিত গান।
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় গীতিকার আবদুল্লাহ আল মামুন, যিনি ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’ ও ‘মুখরিত জীবন’—এর মতো বিখ্যাত গানের গীতিকার। তিনি এক পর্যায়ে মঞ্চে উঠে গলায় ধরেন নিজের লেখা গান, নকীব খানের সঙ্গে কণ্ঠ মেলান তিনিও।