সিদ্ধিরগঞ্জে সাবেক কাউন্সিলর ইকবালের পরিচয়ে নির্মাণ কাজে বাধা, হামলা
Published: 10th, May 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি মৌচাক এলাকায় সাবেক কাউন্সিলর বিএনপি নেতা ইকবাল হোসেনের লোক পরিচয়ে মো: জালাল উদ্দিন (৬৫) নামের এক ব্যক্তির জমিতে দেয়াল তুলতে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এসময় হামলা চালিয়ে নির্মাণ কাজে দেওয়াল ভেঙ্গে মো. হাসনাইন (৩২) নামে এক নির্মাণ শ্রমিককে মারধর করে জালাল ও তার লোকজন। এসময় জমিতে থাকা একটি সাব মার্শেবল পানির পাম্প, বৈদ্যুতিক তার ও সিমেন্টের বস্তাসহ আনুমানিক ৪৫ হাজার টাকার মালামাল জোর করিয়া নিয়া যায় হামলাকারীরা।
এ ঘটনায় জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে সাবেক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেনের সহযোগী মো.
অভিযুক্ত মো: ফারুক নাসিক ২নং ওয়ার্ডের মিজমিজি এলাকার পেদা মিয়ার ছেলে এবং সাবেক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
অভিযোগে মো: জালাল উদ্দিন উল্লেখ করেন, গত বুধবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন মিজমিজি মৌচাক বাস স্ট্যান্ড এলাকায় খোর্দ্দঘোষ পাড়া মৌজাস্থিত সিএস খতিয়ান নং ৮৪, এসএ খতিয়ান ১৪, সিএস ও এসএ দাগ নং ১২২, ১২৩ এবং আরএস-৫৬২ নং দাগে তাঁর জমিতে মিজমিজি পাগলাবাড়ী এলাকার আবুল কালামের ছেলে মো: হাসনাইন (৩২) সহ ১০ জন রাজমিস্ত্রী নির্মান কাজ করিতেছিল।
ওই সময় সাবেক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া বিবাদী ফারুকসহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন বেআইনিভাবে ঐ জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে তাঁর নির্মাণ শ্রমিকদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে পাকা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয় এবং সাবেক কাউন্সিলর ইকবালের সাথে কথা না বলে কাজ করতে নিষেধ করে অন্যথায় বিপদ হবে।
এসময় রাজমিস্ত্রি হাসনাইন মোবাইল ফোনে আমাকে খবর দেয়ার জন্য ফোন দিলে বিবাদী তাকে চর-থাপ্পর মেরে নীলা-ফুলা জখম করে এবং তার সিম্ফনি বাটন মোবাইল ফোন নিয়া যায় এবং জমির বাউন্ডারী দেওয়াল ভেঙ্গে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। এসময় বিবাদীরা জমিতে থাকা একটি সাব মার্শেবল পানির পাম্প, বৈদ্যুতিক তার ও সিমেন্টের বস্তা সহ আনুমানিক ৪৫ হাজার টাকার মালামাল জোর করে নিয়ে যায়।
এছাড়াও বিবাদীর সাথে যোগাযোগ না করলে জমিতে পাকা নির্মান কাজ করতে দিবে না এবং খুন করিয়া লাশ গুম করে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে তারা চলে যায়। উক্ত হুমকির পরিপেক্ষিতে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভূগতেছি।
ভুক্তভোগী জালাল বলেন, অভিযোগ দায়েরের পরও পুলিশ কোন ব্যাবস্থা না নেয়ার ফারুকের ভয়ে আমার কোন লোক কাজ করতে পারছেনা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাবেক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন জানান, ফারুক বিএনপির নেতা। সে কোথায় গেল না গেল সেটা তার ব্যাপার। আমার কোন লোক সেখানে যায়নি। আর এখানে আমাকে জড়ানোর কি আছে।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: আতাউর রহমান জানান তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ইকব ল হ স ন র স দ ধ রগঞ জ ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে পেট্রোল বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ ৩ আ.লীগ নেতা আটক
গাজীপুর পেট্রোল বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ ছাত্রলীগ ও সেচ্ছাসেবক লীগের তিন নেতাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। তারা নাশতার সৃষ্টির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে জানা গেছে। এসময়ে তাদের হেফাজত থেকে একটি পেট্রোল বোমা তৈরির মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার রাতে (১২ নভেম্বর) সদর উপজেলার বাঘেরবাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলার বানিয়ারচালা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মো. নোমান আহম্মেদ (২৪), ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক বানিয়ারচালা গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে আকাশ মাহমুদ (২৫) এবং ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগ যুগ্ম আহ্বায়ক ও একই এলাকার মোতালেব শেখের ছেলে রাসেল আহম্মেদ (৩২)।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, গাজীপুর সদর উপজেলার বানিয়ারচালা এলাকায় পেট্রোল বোমা তৈরি করা হচ্ছিল এমন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয়রা তাদের ঘেরাও করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আজিমের মাছের খামারের পাশ থেকে তাদের আটক করে। এসময়ে তাদের কাছ থেকে পেট্রোল বোমা তৈরীর সরঞ্জাম, ৩০০ মিলিগ্রাম পেট্রোল ও সাদা প্লাষ্টিকের সাদা চিকন পাইপ উদ্ধার করা হয়।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী মো. যাবের সাদেক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “ছাত্রলীগ ও সেচ্ছাসেবক লীগের তিন নেতা যানবাহনে নিক্ষেপের উদ্দেশ্যে পেট্রোলবোমা তৈরি করছিল। খবর পেয়ে থানা পুলিশ তাদের আটক করে।”
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদ অহমেদ বলেন, “আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”
নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর