‘সিদ্ধান্ত আমার বউ নেবে’, বার্সার চুক্তি নবায়নের প্রস্তাবে সেজনি
Published: 13th, May 2025 GMT
পোলিশ গোলরক্ষক ভয়চেক সেজনিকে দুই বছরের চুক্তি নবায়নের প্রস্তাব দিয়েছে বার্সেলোনা। ওই প্রস্তাব বিবেচনা করছেন ৩৫ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার কেবল তার স্ত্রীর বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
চুক্তি নবায়নের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সেজনি বলেন, ‘আমাকে বেশ কিছুদিন ধরেই চুক্তি নবায়নের কথা বলা হচ্ছে। তবে আমাকে পরিবারের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সেটাই আমাদের জন্য সবচেয়ে ভালো।
পূর্বে (অবসর ভেঙে বার্সায় যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে) আমরা একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, সেজন্য আমি আমার স্ত্রীর কাছে ঋণী। তবে এবার এখনো আমরা সিদ্ধান্তে আসতে পারিনি। আমার পরিবারের অধিকাংশ সিদ্ধান্ত আমার স্ত্রী নেয় এবং এতে আমি মোটেও লজ্জিত নই।’
সেজনি ২০০৯ সালে আর্সেনালের গোলরক্ষক হিসেবে শীর্ষ পর্যায়ের ক্যারিয়ার শুরু করেন। আর্সেনালের আট মৌসুমের মধ্যে তিন মৌসুম ব্রেন্টফোর্ড ও রোমায় ধারে ছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে জুভেন্টাসে যোগ দিয়ে ২০২৪ মৌসুম শেষে সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নেন।
কিন্তু ২০২৪-২৫ মৌসুম শুরু হওয়ার কিছুদিন পরই বার্সার প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক টের স্টেগান ইনজুরিতে পড়ে প্রায় পুরো মৌসুম থেকে ছিটকে যান। তখন বার্সা ফ্রি এজেন্টে থাকা সেজনিকে অবসর ভেঙে বার্সা ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। রাজিও হন তিনি। যে চুক্তি চলতি মৌসুমেই শেষ।
অবসর ভেঙে বার্সায় যোগ দিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছেন অভিজ্ঞ সেজনি। বার্সার হয়ে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে সুপার কাপ ও কোপা দেল রে জিতেছেন। লা লিগা শিরোপা জয়ের পথে আছেন। বার্সাকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে তুলতেও অবদান রাখেন তিনি।
সেজনি ২০১৬ সালে প্রেমিকা মারিয়া লুকজেঙ্গোকে বিয়ে করেন। তাদের দুই সন্তান রয়েছে। মারিয়া পোল্যান্ডের জনপ্রিয় একজন পপস্টার।২০১০ সালে মারিয়া ‘গ্লাম পপ’ গান নিয়ে পপ জগতে এসেই এস্কা মিউজিক এওয়ার্ড জেতেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ টবল দলবদল প রস ত ব
এছাড়াও পড়ুন:
কুবিতে র্যাগিং: ২ শিক্ষার্থী বহিষ্কারসহ বিভাগীয় প্রধান ও ছাত্র উ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও ১৭ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও ছাত্র পরামর্শককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গত ২ জুলাই থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের দ্বারা ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীরা নিয়মিত র্যাগিংয়ের শিকার হন। পরে ১৬ জুলাই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রক্টরিয়াল বডি র্যাগিং চলাকালে হাতেনাতে অভিযুক্তদের আটক করেন। এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
আরো পড়ুন:
ডাকসু নির্বাচনে নারী ভোটকেন্দ্র পরিবর্তনের দাবি গণতান্ত্রিক ছাত্র
জাবিতে পোষ্য কোটা বহাল, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা
তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের দুই শিক্ষার্থীকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার ও আজীবন হল থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া একই শিক্ষাবর্ষের আরো ১৭ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর পাশাপাশি মুচলেকা দিতে বলা হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন- লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষের আবদুল্লাহ আরাফাত ও রিফা সানজিদা।
মুচলেকা এবং শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে- আবদুল্লাহ আরাফাত, রিফা সানজিদা, সাবিয়া সুলতানা, আনোয়ারুল ইসলাম, মো. শাহ মখদুম, মোহাম্মদ আয়াতুল্লাহ, মো. জাহিদুল ইসলাম, রাজিয়া সুলতানা লুৎফা, মো. হাসিবুর রহমান, মো. মাহমুদুর রহমান, আফতাব উল হক খান, মো. আশিকুর রহমান (সি. আর), শিপন চন্দ্র সরকার, মাহমুদুল হাসান তামিম, শেখ সৌরভ উদ্দিন জয়, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. সুমন রানা, জিনাত জাহান ও সাবিকুন নাহার মিমকে।
শৃঙ্খলা বোর্ডের সুপারিশে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, বিভাগীয় প্রধান ও ছাত্র উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনে অবহেলা স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হওয়ায় তাদের পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোসা. শামসুন্নাহারের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিভাগের তৎকালীন ছাত্র উপদেষ্টা ও সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহিন উদ্দিন বলেন, “প্রথমেই বলে রাখি, আমি দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছি। আমি দায়িত্বে থাকাকালে আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছি। আমি সিআরদের গ্রুপে মেসেজ দিয়েছি, কথা বলেছি সবার সঙ্গে। তারপরেও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটেছে।”
শোকজের বিষয়ে তিনি বলেন, “শোকজের বিষয়টি আমি দেখেছি। দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পরও এমন সিদ্ধান্ত আমার জন্য অপমানজনক। আমরা শোকজের জবাব দেব।”
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হাকিম বলেন, “তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই সুপারিশ করা হয়েছে। র্যাগিং একটি বিকৃত মানসিকতার কাজ। র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে আমরা কাজ করছি। ভবিষ্যতে র্যাগিং হবে একটি নোংরা শব্দ।”
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী