পোলিশ গোলরক্ষক ভয়চেক সেজনিকে দুই বছরের চুক্তি নবায়নের প্রস্তাব দিয়েছে বার্সেলোনা। ওই প্রস্তাব বিবেচনা করছেন ৩৫ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার কেবল তার স্ত্রীর বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

চুক্তি নবায়নের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সেজনি বলেন, ‘আমাকে বেশ কিছুদিন ধরেই চুক্তি নবায়নের কথা বলা হচ্ছে। তবে আমাকে পরিবারের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সেটাই আমাদের জন্য সবচেয়ে ভালো।

পূর্বে (অবসর ভেঙে বার্সায় যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে) আমরা একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, সেজন্য আমি আমার স্ত্রীর কাছে ঋণী। তবে এবার এখনো আমরা সিদ্ধান্তে আসতে পারিনি। আমার পরিবারের অধিকাংশ সিদ্ধান্ত আমার স্ত্রী নেয় এবং এতে আমি মোটেও লজ্জিত নই।’

সেজনি ২০০৯ সালে আর্সেনালের গোলরক্ষক হিসেবে শীর্ষ পর্যায়ের ক্যারিয়ার শুরু করেন। আর্সেনালের আট মৌসুমের মধ্যে তিন মৌসুম ব্রেন্টফোর্ড ও রোমায় ধারে ছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে জুভেন্টাসে যোগ দিয়ে ২০২৪ মৌসুম শেষে সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নেন।

কিন্তু ২০২৪-২৫ মৌসুম শুরু হওয়ার কিছুদিন পরই বার্সার প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক টের স্টেগান ইনজুরিতে পড়ে প্রায় পুরো মৌসুম থেকে ছিটকে যান। তখন বার্সা ফ্রি এজেন্টে থাকা সেজনিকে অবসর ভেঙে বার্সা ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। রাজিও হন তিনি। যে চুক্তি চলতি মৌসুমেই শেষ।

অবসর ভেঙে বার্সায় যোগ দিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছেন অভিজ্ঞ সেজনি। বার্সার হয়ে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে সুপার কাপ ও কোপা দেল রে জিতেছেন। লা লিগা শিরোপা জয়ের পথে আছেন। বার্সাকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে তুলতেও অবদান রাখেন তিনি।

সেজনি ২০১৬ সালে প্রেমিকা মারিয়া লুকজেঙ্গোকে বিয়ে করেন। তাদের দুই সন্তান রয়েছে। মারিয়া পোল্যান্ডের জনপ্রিয় একজন পপস্টার।২০১০ সালে মারিয়া ‘গ্লাম পপ’ গান নিয়ে পপ জগতে এসেই এস্কা মিউজিক এওয়ার্ড জেতেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল দলবদল প রস ত ব

এছাড়াও পড়ুন:

থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরে সর্বনিম্ন, বিশ্ববাজারে এ বছর কমেছে ১৪%

এশিয়াসহ বিশ্বের চালের বাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এশিয়ায় চালের অন্যতম বৃহৎ সরবরাহকারী থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। মূলত বাজারে চালের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

থাইল্যান্ডসহ চালের অন্যান্য বড় উৎপাদনকারী দেশ ভারত ও মিয়ানমারে উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ববাজারেও চালের দাম কমছে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার খাদ্যসূচক অনুযায়ী, চলতি বছর চালের দাম কমেছে ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। এমনকি বিশ্ববাজার চালের দাম আগস্ট মাসে আট বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে। খবর দ্য নেশনের

থাইল্যান্ডে চালের দামের এই নিম্নমুখী প্রবণতা একদম নতুন কিছু নয়, বেশ কয়েক মাস ধরেই এ প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দেশটির কৃষিবিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দীর্ঘ সময় ধরে চালের দাম কম থাকায় দেশটির কৃষকেরা ধানের আবাদ কমিয়ে দিতে পারেন।

থাইল্যান্ডে গত বৃহস্পতিবার ৫ শতাংশ খুদযুক্ত চালের দাম দাঁড়ায় টনপ্রতি ৩৩৫ ডলার। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৩৩৮ ডলার। থাইল্যান্ডের কৃষি খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত ১৪ বছরে থাই সরকারের জনতুষ্টিমূলক নীতির কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সরকার কৃষকদের সন্তুষ্ট করতে বিভিন্ন ধরনের নিশ্চয়তা দিয়েছে। এসব কর্মসূচিতে প্রায় ৪০ বিালিয়ন বা ৪ হাজার কোটি ডলার ব্যয় হলেও একধরনের নীতিগত ফাঁদ তৈরি হয়েছে। ফলে কৃষকেরা প্রযুক্তি উন্নয়ন, দক্ষতা বাড়ানো কিংবা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সঙ্গে খাপ খাওয়ানো থেকে নিরুৎসাহিত হয়েছেন।

সেই সঙ্গে থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা জানান, বর্ষা মৌসুমের শেষ দিকে বাজারে নতুন চালের সরবরাহ এসেছে। এটাও দাম কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। অন্যদিকে ভারত ও মিয়ানমারের মতো প্রতিযোগী দেশগুলো চালের গুণগত মানের উন্নতি করেছে। আধুনিকতা এনেছে উৎপাদনব্যবস্থায়। ফলে তারা কম খরচে ভালো মানের চাল রপ্তানি করতে পারছে। কিন্তু থাইল্যান্ড এখনো ভর্তুকিনির্ভর ব্যবস্থায় আটকে আছে। এ পরিস্থিতিতে দেশটির কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

এফএওর সূচক কমেছে

প্রতি মাসেই খাদ্যমূল্যসূচক করে থাকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। তাতে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছর বিশ্ববাজারে চালের দাম কেমেছে ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। গত অক্টোবর মাসে চালের মূল্যসূচক নেমে এসেছে ৯৮ দশমিক ৪–এ। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তা ছিল ১১৩ দশমিক ৬। সেই সঙ্গে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে চালের মূল্যসূচক ছিল ১২৫ দশমিক ৭। সেই হিসাবে এক বছরে চালের দাম কমেছে ২১ দশমিক ৭ শতাংশ।

চালের দামের এই পতন শুরু হয় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ চাল রপ্তানিকারক দেশ ভারত ধাপে ধাপে রপ্তানি–নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে শুরু করে তখন। এ ঘটনা চালের বাজারে বড় প্রভাব ফেলে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সব ধরনের চালের মূল্যসূচক ১৩ শতাংশ কমেছে। খবর ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের

অথচ ২০২৪ সালের শুরুতে এর উল্টো চিত্র দেখা গেছে। তখন ভারত একের পর এক রপ্তানি সীমাবদ্ধতা জারি করলে ২০০৮ সালের পর চালের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। বিশ্বজুড়ে ভোক্তাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। মানুষের মধ্যে মজুতের প্রবণতা তৈরি হয়। অন্যান্য উৎপাদক দেশেও সুরক্ষাবাদী পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এর পর থেকে চালের দাম কমতে শুরু করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শেখ হাসিনাকে কোনো অবস্থাতেই ফেরত পাঠাবে না ভারত: রাজনৈতিক বিশ্লেষ
  • শমসের মুবিন চৌধুরী: বীর বিক্রম কূটনীতিকের ‘দলছুট’ রাজনীতি
  • নীরবতা ভেঙে হঠাৎ রাজনীতিকে ‘না’ বলে দিলেন শমসের মুবিন চৌধুরী
  • পাড়ার মঞ্চ থেকে বড় পর্দায় 
  • বিকল্প শক্তির উত্থানে নভেম্বরের শেষে ‘জাতীয় কনভেনশন’ করবে বাম ঘরানার দলগুলো
  • থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরে সর্বনিম্ন, বিশ্ববাজারে এ বছর কমেছে ১৪%