পুরুষ পুলিশের হাতে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীরা। তাঁরা বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর দাবিতে রোববার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে লংমার্চ করতে গেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। এ সময় পুরুষ পুলিশ সদস্যরা তাদের ওপর হামলা চালান।

সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই অভিযোগ করেন ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীরা। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অন্যতম সংস্থা ‘জাতীয় মহিলা সংস্থা’ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। পুরো প্রকল্পের নাম ‘তথ্য আপা: তথ্য যোগাযোগপ্রযুক্তির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) (২য় সংশোধিত)’।

আরও পড়ুন‘চাকরিটা না থাকলে মায়ের চিকিৎসা কীভাবে করব!’৩০ মে ২০২৫

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীরা দাবিদাওয়া নিয়ে যমুনা অভিমুখে লংমার্চ করতে গিয়ে প্রথমে পুলিশের হামলার মুখে পড়েন। পরে কাকরাইল মসজিদ মোড়ে পৌঁছালে মেয়েদের ওপর আবারও পুরুষ পুলিশ সদস্যরা হামলা চালান, গালাগাল দেন ও লাঠিপেটা করেন। এরপর নারী পুলিশ সদস্যরা এসে ১৪৪ ধারার অঞ্চলের বাইরে অবস্থানরত নারী কর্মীদের ওপর দুই দফায় লাঠিপেটা করেন, বুট জুতা দিয়ে নারীদের পেটে লাথি মারেন, এমনকি গর্ভবতী নারীকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কয়েক দিন আগেও দুটি রাজনৈতিক দল যমুনার সামনে সমাবেশ করেছে। পুলিশ তাদের কিছু বলেনি; কিন্তু নিরীহ মেয়েদের নির্যাতন করেছে।

আরও পড়ুন‘তথ্য আপা’দের যমুনা অভিমুখী মিছিলে পুলিশের বাধা২২ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রকল প র

এছাড়াও পড়ুন:

না জেনে কাউকে নিয়ে কিছু বলা বড় অপরাধ: বর্ষা

এক যুগেরও বেশি সময় ধরে একসঙ্গে রয়েছেন অনন্ত জলিল ও আফিয়া নুসরাত বর্ষা। নিজেদের জীবনের নানা খুনসুটির মুহূর্তগুলো ভাগ করে নেন অনুরাগীদের সঙ্গে। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন এই তারকা জুটি। যেখানে অনন্ত জলিলকে কেক খাইয়ে দিচ্ছেন মডেল নাজমি জান্নাত।

বিষয়টি ভালোভাবে না নিয়ে অভিমান করে বেরিয়ে যাচ্ছেন তার স্ত্রী বলে সংবাদ প্রচার হয়। ওই ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন অনন্ত জলিলের স্ত্রী বর্ষা। 

১ জুন অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে অন্য এক তরুণী অনন্ত জলিলকে কেক খাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিমান করে সেখান থেকে চলে গেছেন বর্ষা। সেই ঘটনা নিয়ে আজ বুধবার নিজের ফেসবুকে এক পোস্টে অনুষ্ঠানের একগুচ্ছ ছবি অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন।

যেখানে দেখা গেছে, অভিনেতা অনন্ত জলিল তার স্ত্রীর মুখ কেক তুলে দিচ্ছেন। সংবাদমাধ্যমের দাবিতে বেজায় ক্ষেপেছেন বর্ষা। আদতে সেই ঘটনাস্থলে এমন কিছুই হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি। 

অভিনেত্রী বর্ষা লিখেছেন, ‘ভাগ্যিস অনন্ত জলিল তুমি কাউকে কিছু খেতে দেওনি। এডিটগুলো খুব প্রশংসা পাবার মত। এটা খুব সাধারণ ব্যাপার ছিল। কিন্তু এই এডিটিংয়ের যুগে নিজেরা নিজেদের মতো করে মজা নিলেন। আমিও খুব হেসেছি, সাথে আপনাদের ভাইও।’

প্রশ্ন তুলে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘মজার ব্যাপার হলো মেয়েটা কে ছিল? আমরা দুইজন কেউ চিনি না। উনি নিজে থেকেই এসে কেক খাওয়াবে অনন্ত ভাইকে। আর একটা কথা, উনি আমাদের দুইজনকে ফুল দিয়েছেন। ওনাকে কেউ বলেনি যে আপনি এগুলো করেন। নিজে নিজেই করেছেন। না জেনে কাউকে নিয়ে কিছু বলা খুব বড় ভুল এবং অপরাধ মনে রাখবেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ