টিউলিপের উচিত দেশে ফিরে আদালতের মুখোমুখি হওয়া
Published: 15th, June 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিককে বাংলাদেশে ফিরে দুর্নীতির অভিযোগে আদালতের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্য সফরের সময় আইটিভি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সরকারপ্রধান বলেন, যে কোনো অভিযোগ রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে নয়, আইনানুগভাবে আদালতে মোকাবিলা করা উচিত। তিনি বলেন, ‘যদি তার (টিউলিপ) বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে, তাহলে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য তার আদালতে উপস্থিত হওয়া উচিত।’
ড.
টিউলিপের বিরুদ্ধে তাঁর খালা শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বাংলাদেশে বাড়তি সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ এনেছে দুদক। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়। তিনি পালিয়ে ভারতে চলে যান। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফরে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ‘ভুল বোঝাবুঝির’ অবসান করার জন্য তাঁর সাক্ষাৎ চেয়ে চিঠি দেন যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক।
সাক্ষাৎকারে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযোগ নিয়ে আলোচনার জন্য শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপের বৈঠকের অনুরোধ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন প্রধান উপদেষ্টা। টিউলিপ সিদ্দিক তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর আইনজীবীরা এটিকে ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ দাবি করেছেন।
ড. ইউনূস সাক্ষাতে সাড়া না দেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছে টিউলিপ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ড. ইউনূস তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতে অনীহা দেখিয়ে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভুল তথ্য প্রচারের পথে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ইন্ধন জুগিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যমে টিউলিপের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ নিয়ে শোরগোল হয়েছে। এর মধ্যে টিউলিপ কিংবা তাঁর মায়ের (শেখ রেহানা) বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে ৭ হাজার ২০০ বর্গফুটের প্লট নেওয়ার অভিযোগ দুদকে রয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ট উল প স দ দ ক ট উল প র ইউন স
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার সমাপ্তি ঘোষণা
মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার সমাপ্তি ঘোষণা করেছে দেশটির সামরিক জান্তা। একইসঙ্গে ডিসেম্বরে নির্বাচনের পরিকল্পনা পুনরায় ব্যক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।
বিরোধী দলগুলো এই নির্বাচন বয়কট করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।পর্যবেক্ষকরা বলেছেন যে ,সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা সুসংহত করার জন্য এই নির্বাচনকে ব্যবহার করা হবে।
সামরিক বাহিনী ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে গণতান্ত্রিক নেত্রী অং সান সু চির বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে। এর ফলে বহুমুখী গৃহযুদ্ধ শুরু হয় এবং হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটায়।
বৃহস্পতিবার জান্তার মুখপাত্র জাও মিন তুন বলেছেন, “বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথে দেশকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আজ জরুরি অবস্থা বাতিল করা হলো,” সাংবাদিকদের সাথে শেয়ার করা এক ভয়েস বার্তায় ।
মিন অং হ্লাইং বুধবার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, “আমরা ইতিমধ্যেই প্রথম অধ্যায়টি অতিক্রম করেছি। এখন, আমরা দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করছি। আসন্ন নির্বাচন এই ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে এবং সব যোগ্য ভোটারকে তাদের ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।”
বিশ্লেষকরা ভবিষ্যদ্বাণী করছেন যে নির্বাচনের পরে মিন অং হ্লাইং রাষ্ট্রপতি অথবা সশস্ত্র বাহিনী প্রধান হিসেবে ভূমিকা রাখবেন এবং ক্ষমতা একীভূত করবেন। এর ফলে কার্যত শাসক হিসেবে তার মেয়াদ বৃদ্ধি পাবে।
ঢাকা/শাহেদ