শাহ মো. রাজন (২৮) নামে এক যুবক হত্যার ১১ বছর পর পাঁচ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় ঘোষণা করেন। পাশাপাশি তিনি প্রত্যেক আসামিকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, অনাদায়ে ২০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড দেন।
নিহত শাহ মো.
এ ঘটনায় নিহত রাজনের মা জোৎস্না বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। পরে আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেন পুলিশ। দীর্ঘ সাক্ষ্য ও শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালতের বিচারক। এতে মো. আরমান হোসেন, মির্জা মাজহারুল ইসলাম মিলন, মো. মামুন শেখ, ইলিয়াছ মৃধা ও আছাদ শেখকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে আছাদ শেখ পলাতক। অন্য সব আসামিই রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মো. হাসান সিকদার ও মো. আশরাফুল শিকদার নামে অন্য দুই আসামিকে বিচারক খালাস দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মো. রকিবুল ইসলাম বিশ্বাস জানান, রাজনকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয়। পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ
রাজধানীর পুরান ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনের সড়কে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) নামের এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি ভিসি চত্বরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে পুনরায় রাজু ভাস্কর্যের উদ্দেশে রওনা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘পাথর মেরে সোহাগ খুন, বিএনপি জবাব দে’, ‘সন্ত্রাস রুখে দেবে ছাত্রসমাজ’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। তিনি বলেন, ‘যেভাবে ছাত্রবন্ধুরা আজ প্রতিবাদে নেমেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েও আমরা একইভাবে প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু বিএনপি এখন নিজেদের নেতা-কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। ১৬ বছর যাঁরা মজলুম ছিলেন, তাঁরা এখন জালিমে পরিণত হয়েছেন।’
বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘এই চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের আমরা বিচার চাই। শুধু সোহাগ নয়, গত ১০ মাসে বিএনপির সন্ত্রাসে এক শর বেশি মানুষ খুন হয়েছে। প্রতিটি হত্যার বিচার করতে হবে।’
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আরও বলেন, দেশে নির্বাচন হতে হলে আগে রাজনীতির সংস্কার হতে হবে। সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের বলেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে আমরা দেশকে নতুন করে গুছিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু এই পথে একমাত্র বাধা একটি সন্ত্রাসী দল। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, জাতীয়তাবাদী চাঁদাবাজ দল একজন ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে হত্যা করছে।’
গত বুধবার পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনের সড়কে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল চারজনকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের কথা জানিয়েছে।
আরও পড়ুনসিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ, ইতিমধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার২ ঘণ্টা আগে