আগামী ২৪ জুলাই ঢাকায় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। তবে, বাংলাদেশে এসে এসিসি সভায় যোগ দিতে রাজি নয় ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারা। এরই মধ্যে তারা এসিসিকে বিষয়টি জানিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে সভা সরিয়ে নিলে কিংবা অনলাইনে করলেই ভারত যোগ দিতে পারবে বলে জানিয়েছে।

ভারতের ‘স্পোর্টস তক’ এক প্রতিবেদনে বলেছে, ‘‘বাংলাদেশে বর্তমানে যে পরিস্থিতি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে, সেই প্রেক্ষাপটে সেখানে ভ্রমণ করা উপযুক্ত নয়। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে এসিসিকে জানিয়ে দিয়েছি যেন পরবর্তী বৈঠকের ভেন্যু সরিয়ে নেওয়া হয়।’’

সম্প্রতি ভারত বাংলাদেশেও দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগস্টে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে তাদের আসার কথা ছিল। কিন্তু, আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে তাদের সফর পিছিয়ে গেছে।

আরো পড়ুন:

শূন্য থেকে শুরু বিপিএলের প্রস্তুতি

লর্ডস টেস্টে টস জিতে ব্যাট করছে ইংল্যান্ড

এসিসির চেয়ারম্যান মহসীন নাকভি এসিসির সদস‌্যভুক্ত দেশগুলোকে এরই মধ্যে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সভার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ওই সময়ে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজও অনুষ্ঠিত হবে। সব ম্যাচ হবে মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে।

নানা কারণে এসিসির এবারের সভাটি গুরুত্বপূর্ণ। সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ হওয়ার কথা ভারতে। কিন্তু, পাকিস্তান ভারত সফর করবে না; তা আগে থেকেই জানা। ফলে এই টুর্নামেন্ট হতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ৫-২১ সেপ্টেম্বর চলবে এই প্রতিযোগিতা।

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির প্রর্থী পরিবর্তনের দাবিতে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ

মুন্সিগঞ্জ-৩ (সদর-গজারিয়া) আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন দলের এক পক্ষের নেতা–কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিএনপির জেলা কার্যালয়ের সামনের সড়কে এক ঘণ্টার এ কর্মসূচি পালন করেন আসনটিতে মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব মো. মহিউদ্দিন আহমেদের সমর্থকেরা।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও ৩৬টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপির সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক মো. কামরুজ্জামানকে।

এই ঘোষণার পরই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন মহিউদ্দিনের সমর্থকেরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় মহিউদ্দিনের বাড়ি মুক্তারপুর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলার দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন নেতা-কর্মীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে আসতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে কামরুজ্জামানের ছবিসহ কুশপুত্তলিকা বানিয়ে তাতে আগুন দেওয়া হয়। এ ছাড়া জেলা কার্যালয়ের আশপাশে কামরুজ্জামানের সমর্থনে টাঙানো ব্যানার, ফেস্টুন ছিঁড়ে সড়কে আগুন জ্বালানো হয়। একই সঙ্গে শহরের সুপারমার্কেটের প্রধান সড়কটি অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। কর্মসূচির শেষ দিকে সুপারমার্কেটের পেছনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, গত ১৭ বছর এ আসনে আন্দোলন, সংগ্রাম সংগঠিত করে রেখেছেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল হাই ও তাঁর ছোট ভাই জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব মো. মহিউদ্দিন আহমেদ। সে সময় কামরুজ্জামান মাঠে ছিলেন না। এখন তিনি মনোনয়ন পাওয়ায় এই আসনের নেতা–কর্মীরা ভেঙে পড়েছেন। দ্রুত মনোনয়ন পরিবর্তন করা না হলে এ আসনে বিএনপির মধ্যে বিভক্তি দেখা হবে।

কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, শহর বিএনপির সদস্যসচিব মাহবুব আলম, পঞ্চসার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল মতিন, জেলা যুবদলের সাবেক সদস্যসচিব মোহাম্মাদ মাসুদ রানা প্রমুখ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুবদলের এক নেতা বলেন, এই মনোনয়ন যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে বাতিল না করা হয়, তাহলে আজ যে কর্মসূচি হয়েছে, আগামীকাল থেকে আরও বড় কর্মসূচি হবে। দলের মধ্যে ভাঙন হবে। এ আসনে বিশাল ব্যবধানে পরাজয় বরণ করবেন কামরুজ্জামান।

বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘দল আমিসহ যাঁদের মনোনয়ন দিয়েছে, সবাইকে তাঁদের যোগ্যতা ও ত্যাগের ভিত্তিতে দিয়েছে। আমি ৪০ বছর ধরে ছাত্রদল থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে আছি। দলের দুঃসময়ে জেলজুলুমের শিকার হয়েছি। যাঁরা আজকে বিরোধিতা করছেন, তাঁরা দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। আমি চাই, দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান রেখে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের জন্য কাজ করবেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ