মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা এবং প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) সদস্যদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বৃহস্পতিবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

এই পদক্ষেপের ফলে লক্ষ্যবস্তু ব্যক্তিদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের জন্য ভিসা পেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, যদিও এটি কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তির তালিকা দেয়নি।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে পরিণতি আরোপ করা এবং পিএলও ও পিএকে তাদের প্রতিশ্রুতি মেনে না চলার এবং শান্তির সম্ভাবনাকে ক্ষুণ্ন করার জন্য জবাবদিহি করতে” এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, দুটি ফিলিস্তিনি দল ‘ইসরায়েলের সাথে তাদের সংঘাতকে আন্তর্জাতিকীকরণের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে’ যার মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতও রয়েছে এবং উভয়ই ‘সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে চলেছে।’

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের প্রতিনিধিদের সাথে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করা যায়নি।

গাজা যুদ্ধের কারণে ইসরায়েল ক্রমবর্ধমান বিশ্ব চাপের সম্মুখীন হচ্ছে। বেশ কয়েকটি পশ্চিমা শক্তি জানিয়েছে যে তারা একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে। বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

ভুল ফলাফল

প্রতিবছর পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরই ভুল রেজাল্ট নিয়ে অসংখ্য অভিযোগ ওঠে। এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শত শত শিক্ষার্থী প্রতিবছর জানায়, তাদের প্রাপ্ত নম্বর সঠিক নয়, জিপিএ মেলে না, এমনকি ভালো পরীক্ষা দেওয়ার পরও ফলাফল ‘ফেল’ দেখাচ্ছে। এই ভুলের চরম খেসারত দিতে হয় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। কেউ ভর্তি থেকে বঞ্চিত হয়, কেউ মানসিক ভারসাম্য হারায়, কেউ কেউ আত্মহননের পথ বেছে নেয়। এটি শুধু ভয়াবহ নয়, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার জন্য চরম লজ্জারও।

অভিযোগ বারবার উঠলেও শিক্ষা বোর্ডগুলোর মধ্যে কোনো দায় স্বীকার বা জবাবদিহির প্রবণতা দেখা যায় না। সবকিছু চাপানো হয় ‘টেকনিক্যাল সমস্যা’ কিংবা ‘সিস্টেম ত্রুটি’র ওপর। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই সিস্টেম ত্রুটি কেন বারবার হয়? কেন এখনো আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য সফটওয়্যার এবং যথাযথ যাচাই-বাছাই পদ্ধতি গড়ে তোলা হয়নি?

একটি শিক্ষার্থীর জীবনে ফলাফল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি নম্বর কম বা বেশি হওয়া মানে তার স্বপ্নভঙ্গ। বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলোর শিক্ষার্থীরা সীমিত সুযোগ নিয়ে ভবিষ্যৎ গড়ার চেষ্টা করে। ভুল রেজাল্ট তাদের সেই প্রচেষ্টাকে ধ্বংস করে দেয়।

এই সংকট নিরসনে শিক্ষা বোর্ডের উচিত ফল প্রকাশের আগে কঠোরভাবে যাচাই-বাছাই করা, রিভিউ বা পুনর্নিরীক্ষার ফি ও সময়সীমা হ্রাস করে তা সহজলভ্য করা এবং যঁারা এ ধরনের ভুল করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

স্বপন বিশ্বাস

স্থানীয় সাংবাদিক ও প্রধান শিক্ষক

শালিখা, মাগুরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ