জুলাই বিপ্লবে স্কাউট সদস্যদের আত্মাহুতির নজির বিশ্বে আর নেই: প্রধান উপদেষ্টা
Published: 23rd, June 2025 GMT
জুলাই বিপ্লবে বাংলাদেশের স্কাউট সদস্যদের অংশগ্রহণ গৌরব ও অহংকারের উল্লেখ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, এটি সারাবিশ্বের স্কাউটস এর জন্য বিশেষ গৌরবের। স্কাউট সদস্যরা দেশ ও দেশের মানুষের জন্য আত্মাহুতি দিয়েছে। নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টির জন্যে তাদের এই আত্মাহুতি। বিশ্ব স্কাউটসের ইতিহাসে এ নজির আর নেই।
আজ সোমবার ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে বাংলাদেশ স্কাউটস এর কাব কার্নিভালের উদ্বোধন ও শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। খবর বাসসের
নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস ১৯৫৫ সালে কানাডায় গ্লোবাল স্কাউটস জাম্বুরিতে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা ও স্মৃতি তুলে ধরে বলেন, ‘শৈশব ও কিশোর বয়সে স্কাউটস আমার আদর্শিক পোশাকে পরিণত হয়েছিল। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে এই যাত্রা আমার শুরু। তা আর থামেনি। স্কাউটিংয়ের সুবাদে কানাডা, ইউরোপসহ পৃথিবীর বহু দেশ দেখার সুযোগ হয়েছে।অন্য দেশের মানুষ সম্পর্কে জেনেছি।’
স্কাউটিংয়ের ব্যবহারিক দিক ও সৃজনশীলতা তাঁকে খুব আকর্ষণ করতো উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখানে নতুন কিছু করার সুযোগ থাকে। নতুন কিছু করার সুযোগের কারণে আনন্দ পেতাম। প্রতিযোগিতা করারও সুযোগ রয়েছে এখানে।’
বর্তমান স্কাউটিং কর্মসূচিতে বিশ্বভ্রমণের সুযোগ রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বর্তমান স্কাউটিংয়ে পৃথিবীকে দেখার, অন্য দেশের মানুষকে চেনার এবং তাদের ভাষা জানার সুযোগ রাখতে হবে। বিশ্ব নাগরিকের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলার সুযোগ যেন থাকে। এর মাধ্যমে একজন কিশোর নিজেকে আবিষ্কার করতে পারবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
কিশোর বয়সে দুনিয়াকে দেখা এবং ভিন দেশের মানুষ সম্পর্কে জানা প্রতিটি মানুষের জীবনে অতি মূল্যবান বলে তিনি উল্লেখ করেন।
স্কাউট সদস্যদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘স্কাউটিং তোমার জীবনে একটা বড় দরজা খুলে দিয়েছে। এখন তোমার দায়িত্ব হলো অন্যের জন্য দরজা খুলে দেওয়া। অন্যের দরজা তোমাকে খুলতে হবে, যেহেতু তুমি অনেক দূর এগিয়ে এসেছো তাই এই দায়িত্ব তোমাকে নিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা জুলাই বিপ্লবে শহীদ হওয়া আট স্কাউট সদস্যের পরিবারের হাতে গ্যালানট্রি অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন। এছাড়া তিনি স্কাউটিং প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ স্কাউটস এর এডহক কমিটির আহ্বায়ক মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ক উটস
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমিককে পরিচয় করালেও মাহি কেন বিয়ে করছেন না?
প্রেম করছেন বর্তমান সময়ের ব্যস্ত টেলিভিশন অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি। তার প্রেমিকের নাম সাদাত শাফি নাবিল। ২০২৩ সালের ৪ জুলাই ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে কয়েকটি স্থিরচিত্র ও ভিডিও ক্লিপ প্রকাশের মধ্য দিয়ে প্রেমিককে সামনে আনেন এই অভিনেত্রী। শুধু তাই নয়, দুই পরিবারকে তাদের সম্পর্কের কথাও জানিয়েছেন তারা।
এরপর প্রায় দুই বছর কেটে গেছে। তবে মাহির প্রেম-বিয়ে নিয়ে তেমন কোনো খবর পাওয়া যায়নি। প্রেমের সম্পর্ককে পরিণয় দেওয়ার বিষয়ে কী ভাবছেন এই অভিনেত্রী? তার পরিষ্কার জবাব— “সময় নিচ্ছি। তবে বিয়ে করলে সবাইকে জানিয়েই করব।”
ব্যাখ্যা করে সামিরা মাহি বলেন, “আপনার একটা মানুষের সঙ্গে যখন সম্পর্ক হয়, বিশেষ করে মেয়েরা ভাবে, এই মানুষটার সঙ্গেই থাকব এবং থাকতে চাই। আমি সব দিয়ে একসঙ্গে থাকার ট্রাই করব। কিন্তু কখনো কখনো পরিস্থিতি ভিন্ন থাকে, সম্পর্ক টিকে না। সেটা প্রেমের সম্পর্ক হোক বা বিয়ে। সুতরাং আমাদের পরিকল্পনা রাখা উচিত। কিন্তু সেটা নির্ভর করে ভাগ্যে কী আছে তার উপরে।”
আরো পড়ুন:
খুর মার্কা নিয়ে ভোটযুদ্ধে ব্যাচেলর পয়েন্টের শিমুল, পোস্টার ভাইরাল
থাইল্যান্ডে মা হলেন স্বাগতা
তিন বছরের বন্ধুত্ব, পরবর্তীতে প্রেমে রূপ নেয় মাহি-শাফির সম্পর্ক। এর আগে মাহি বলেছিলেন, “শাফি আমার ভীষণ ভালো একজন বন্ধু। একটা সময় আমরা ভালোবাসার সম্পর্কে জড়াই।”
২০১৪ সালে ‘রঙ আরটিভি টোয়েন্টি টোয়েন্টি কালারস মডেল হান্ট’ প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার-আপ নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে শোবিজ অঙ্গনে পা রাখেন সামিরা খান মাহি। এরপর একস্ট্যাসি, জিপি, টেক্সমার্ট, প্রাইড গার্লস, বাংলালিংক, স্যাইলরহ বিভিন্ন ফ্যাশন ব্র্যান্ডের মডেল হয়ে কাজ করেন মাহি। ওই সময়ে অভিনয়ে নাম লেখালেও তার ফোকাস ছিল শুধুই মডেলিং। তারপর কাজ থেকে কয়েক বছরের বিরতি নেন মাহি।
‘তরুণ তুর্কি’ ধারাবাহিক নাটকে প্রথম অভিনয় করেন সামিরা খান মাহি। পরবর্তীতে ‘পারিবারিক গোলযোগ’, ‘নীড় খোঁজে গাঙচিল’, ‘লাইফ ইন এ মেট্রো’, ‘শুভ্রার ওয়্যারড্রব’, ‘আকাশ বাড়িয়ে দাও’, ‘ম্যাচিং ব্রাদার’, ‘এক পা দু’পা’ প্রভৃতি নাটকে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। তবে ‘গার্লস স্কোয়াড’ নাটকে অভিনয় করে আলোচনায় উঠে আসেন তিনি।
ঢাকা/শান্ত