অর্থ বরাদ্দ বাড়িয়ে আলোর মুখ দেখছে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ
Published: 22nd, October 2025 GMT
সাধারণ বছরের এই সময়টার আগেই তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগ শুরু হয়ে যায়। এবার এখনও তা শুরু করা যায়নি। বিসিবি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রথম বিভাগ দিয়ে ঢাকা লিগ চালুর উদ্যোগ নিয়েছে।
বিসিবি নির্বাচনকে ঘিরে ক্লাবগুলির লিগ বয়কটের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার ব্যাপারেও ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। বিসিবি ক্লাবগুলোকে আকৃষ্ট করতে অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলোর আর্থিক প্রণোদনা এবার ৫০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগে ৯ লাখ টাকা পেত বোর্ড থেকে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আরো সাড়ে চার লাখ টাকা পাবে ক্লাবগুলো।
আরো পড়ুন:
সব ধরনের ক্রিকেট বর্জনের ঘোষণা ৪৮ ক্লাবের
বদলে গেল সূচি
বুধবার ছিল ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম) বৈঠক। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ফারুক আহমেদও। এছাড়া ১৭ ক্লাব প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে বেরিয়ে সিসিডিএমের চেয়ারম্যান আদনান রহমান দীপন গণমাধ্যমে বলেছেন, “তিনটি ক্লাব- কাঠালবাগান, খেলাঘর ও আম্বার, তারা চায় জানুয়ারিতে খেলতে, আরেকটি ক্লাব চায় ডিসেম্বরের দিকে। বাকিরা সবাই বলেছে, লিগ শুরু হলেই খেলবে। কেউ বলেনি যে খেলব না। যারা আসেনি, তারা ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে অনুপস্থিত ছিল।”
“প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগে পার্টিসিপেশন মানি দেওয়া হতো ৯ লাখ টাকা। এবার তা ৫০ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে। এতে সাড়ে চার লাখ টাকা বেশি দেবে সিসিডিএম। জার্সি ও ব্যাগপ্যাক বাবদ আরও এক লাখ সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ টাকা করে দিচ্ছি।” - যোগ করেন তিনি।
প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ দিয়ে খেলা শুরু করার কারণ জানাতে গিয়ে দীপন বলেছেন, ‘‘আমরা প্রথম বিভাগ দিয়েই শুরু করতে চাচ্ছি। বৈঠকের পর সব ক্লাবই আগ্রহী। কেউ বলছে একটু সময় আগে-পিছে দরকার, কিন্তু সবাই খেলবে। ১৭ দলের প্রতিনিধি উপস্থিত, কেউ নেতিবাচক কথা বলেনি। সময় নিয়ে কারও কারও দ্বিধা আছে, কিন্তু সবাই খেলতে চায়। ক্লাব, বোর্ড, ক্রিকেটার—সব পক্ষের জন্যই এটা ভালো খবর। খবরটা পজিটিভ। আমরা খুব শিগগির নির্দিষ্ট দিন-তারিখ জানিয়ে দেব। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, সব লিগ একসঙ্গে চলবে। প্রিমিয়ার লিগ আপাতত নয়, কারণ বিপিএল, জাতীয় দল, জাতীয় লিগ, সব মেলাতে সময় লাগবে। তবে ফাঁক পেলে প্রিমিয়ার লিগও শুরু করব।”
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রথম ব ভ গ
এছাড়াও পড়ুন:
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও ‘দলঘনিষ্ঠদের’ বিষয়ে বুঝতে চেয়েছে এনসিপি
বিএনপি গত মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখন থেকে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। পাশাপাশি উপদেষ্টা পরিষদে থাকা ‘দলঘনিষ্ঠদের’ বিষয়েও পদক্ষেপ নিতে বলেছিল। পরদিনই জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে এ দুটি বিষয় তুলেছেন।
গতকাল বুধবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে দলটির একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা’ বলতে কী চাইছে এবং ‘দলঘনিষ্ঠ’ উপদেষ্টা আখ্যা দিয়ে কাদের সরাতে চাইছে—গতকালের বৈঠকে এনসিপি নেতারা সেটা জানা-বোঝার চেষ্টা করেছেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে এনসিপির নেতাদের কাছে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা করেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়, বরং অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষ ভূমিকা চেয়েছে।
তবে এনসিপি মনে করে, অন্তর্বর্তী সরকার গণ-অভ্যুত্থানের সরকার। সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন—এই তিনটি বিষয়ে তাদের ম্যান্ডেট। হঠাৎ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার পরামর্শটি দুরভিসন্ধিমূলক। নিজেদের এই মনোভাবের কথা এনসিপির নেতারা বৈঠকে তুলে ধরেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। আজ বুধবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায়