ফতুল্লায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণী (২৪) কে  ধর্ষনের অভিযোগে সৌরভ আহম্মেদ (৩০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত সৌরভ আহম্মেদ ফতুল্লা মডেল থানার সস্তাপুর এলাকার কামরান উদ্দিন রুবেলের পুত্র। এ ঘটনায় নির্যাতিত তরুনী বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে।

নির্যাতিত ওই তরুণী জানায়,২০২৪ সালের আগস্ট মাসে একটি গিটার কেনাবেচার মাধ্যমে গ্রেফতারকৃত সৌরভ আহম্মেদের সাথে তরুনীর পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। 

এক পর্যায়ে সে সৌরভের আহবানে চলতি বছরের ২৪ মে বাসা থেকে ৬ ভরি স্বর্নাংকার নিয়ে পালিয়ে আসে। একই দিনে সে তার হিন্দু ধর্ম পরিবর্তন করে মুসলিম ধর্ম গ্রহন করে একই সাথে বাসা থেকে নিয়ে আসা স্বর্নালংকার সৌরভের হাতে তুলে দেয়। 

অপর দিকে সৌরভ তার পূর্বের বিয়ের কথা গোপন রেখে তরুনীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। তরুনী বাসা থেকে বের হওয়ার পর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুনীকে নিয়ে প্রথমে কক্সবাজার পরে সস্তাপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাসা নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস শুরু করে।

এ সময় সৌরভ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ এক মাসের ও বেশী সময় তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। তরুনী বিয়ের কথা বললেও সৌরভ কৌশলে এড়িয়ে যায়।অপরদিকে তরুনীও এক সময় জানতে পারে যে সৌরভ ইতিপূর্বে ও বিয়ে করেছে এবং সে সংসারে এক সম্তান রয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম জানান,অভিযুক্ত সৌরভ কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

খালেদা জিয়াকে কারাগারে ফুড পয়জনে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল: পিন্টু

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু বলেছেন, “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন কারাবন্দি অবস্থায় ছিলেন। তিনি কারাগারের অভ্যন্তরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়েছেন। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়নি। ডাক্তাররা বার বার তাকে বিদেশ পাঠানোর চেষ্টা করেছেন উন্নত চিকিৎসার জন্য কিন্তু দেশের বাইরে যেতে দেওয়া হয়নি। কারাগারে আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে ফুড পয়জনে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। কিন্তু কোন ষড়যন্ত্র কাজ হয়নি। মহান আল্লাহ তাআলা এখনো উনাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।”

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে উপজেলা ও পৌর বিএনপি আয়োজিত বেগম খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। 

আব্দুস সালাম পিন্টু বলেন, “আমাদের নেত্রীকে তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিদেশ যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু নেত্রী বলেছিলেন, এই দেশ ছাড়া অন্য কোন জায়গায় আমাদের ঠিকানা নেই। তিনি দেশেই ছিলেন। শেখ হাসিনা তখন বিদেশে গিয়ে ষড়যন্ত্রের পর ষড়যন্ত্র করেছেন। দেশে ফিরে সেই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়িত করে ক্ষমতায় বসেছিলেন। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অন্যের কাছে তুলে দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। কিন্তু আমাদের নেত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়া স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও জনগণের ইজ্জত অন্যের কাছে বিক্রি করে দিয়ে ক্ষমতা চাননি।” 

তিনি আরও বলেন, “এই ১৭ বছর আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা ও দেশ নায়ক তারেক রহমান সংগ্রাম করেছেন এদেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য, বিদেশি আগ্রাসন থেকে রক্ষা করার জন্য, এই দেশের মুসলমানদের মান ইজ্জত সম্মান প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আজ সেই কাজের ফসল হিসেবে আমরা মুক্তি লাভ করেছি।”

সমাবেশে ভূঞাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিমুজ্জামান তালুকদার সেলু, পৌর বিএনপির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান গিয়াসসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

ঢাকা/কাওছার/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ