ফতুল্লায় বিয়ের প্রলোভনে তরুণী ধর্ষণ, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
Published: 29th, June 2025 GMT
ফতুল্লায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণী (২৪) কে ধর্ষনের অভিযোগে সৌরভ আহম্মেদ (৩০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত সৌরভ আহম্মেদ ফতুল্লা মডেল থানার সস্তাপুর এলাকার কামরান উদ্দিন রুবেলের পুত্র। এ ঘটনায় নির্যাতিত তরুনী বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে।
নির্যাতিত ওই তরুণী জানায়,২০২৪ সালের আগস্ট মাসে একটি গিটার কেনাবেচার মাধ্যমে গ্রেফতারকৃত সৌরভ আহম্মেদের সাথে তরুনীর পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
এক পর্যায়ে সে সৌরভের আহবানে চলতি বছরের ২৪ মে বাসা থেকে ৬ ভরি স্বর্নাংকার নিয়ে পালিয়ে আসে। একই দিনে সে তার হিন্দু ধর্ম পরিবর্তন করে মুসলিম ধর্ম গ্রহন করে একই সাথে বাসা থেকে নিয়ে আসা স্বর্নালংকার সৌরভের হাতে তুলে দেয়।
অপর দিকে সৌরভ তার পূর্বের বিয়ের কথা গোপন রেখে তরুনীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। তরুনী বাসা থেকে বের হওয়ার পর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুনীকে নিয়ে প্রথমে কক্সবাজার পরে সস্তাপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাসা নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস শুরু করে।
এ সময় সৌরভ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ এক মাসের ও বেশী সময় তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। তরুনী বিয়ের কথা বললেও সৌরভ কৌশলে এড়িয়ে যায়।অপরদিকে তরুনীও এক সময় জানতে পারে যে সৌরভ ইতিপূর্বে ও বিয়ে করেছে এবং সে সংসারে এক সম্তান রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম জানান,অভিযুক্ত সৌরভ কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
মানববন্ধনে যাওয়া দোকান কর্মচারীকে পিটুনি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আলোচিত শান্ত সরকার হত্যা মামলায় আসামিপক্ষের বিরুদ্ধে এক দোকান কর্মচারীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার বিকেলে উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের হিরনাল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ সময় আসামিরা হত্যা মামলাটি তুলে নিতে বাদী সালাউদ্দিন সরকারকে হুমকি দেয়।
গতকাল রোববার এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিয়েছেন সালাউদ্দিন সরকার। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ভাতিজা শান্ত সরকারকে গত ১১ এপ্রিল বিকেলে দাউদপুরের জিন্দা এলাকায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তিনি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আসাদ ফকির (৪০), তাঁর ভাই নাঈম ফকির (৩৭), রানা ফকির (৩৫), রোকনউদ্দিনসহ (৪০) ১৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় সাত-আটজনের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গত ২২ এপ্রিল এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন করা হয়। এতে অংশ নেন সালাউদ্দিন সরকারের দোকানের কর্মচারী আনোয়ার হোসেন। এতে আসামিপক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, শনিবার বিকেলে আনোয়ার হোসেন দোকান থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। হিরনাল মাজারের সামনে পৌঁছালে তাঁর ওপর হামলা হয়। এতে শান্ত হত্যা মামলার আসামি নাঈম ফকির, রানা ফকির, ফরহাদ, অনিক ফকিরসহ তাদের সহযোগীরা ছিলেন। তারা আনোয়ারের কাছ থেকে দোকানের পণ্য কেনার নগদ ৬৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। মারধরের শিকার হয়ে তিনি চিৎকার করলে সালাউদ্দিন সরকারসহ আশপাশের লোকজন আসেন। এ সময় হামলাকারীরা মামলা তুলে নিতে তাঁকে হুমকি দেয়। পরে আনোয়ারকে উদ্ধার করে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
দাউদপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আসাদ ফকিরের ভাষ্য, ‘একটি সাইনবোর্ড লাগানোকে কেন্দ্র করে তর্কাতর্কি হয়েছিল। তখন আমার ছোট ভাই নাঈম ও তাঁর লোকজন আনোয়ারকে মারধর করেছে।’ তিনি আনোয়ারের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন বলেও দাবি করেন।
রূপগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় তারা লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।