বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি এবং পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৭৬ জনকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওএসডি) বদলি করা হয়েছে।

বুধবার (৬ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এসব বদলি করা হয়।

এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনে পুলিশের ৮২ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে একজন অতিরিক্ত আইজিপি, ১৩ জন ডিআইজি, অর্ধশতাধিক অতিরিক্ত ডিআইজি এবং ১৫ জন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা ছিলেন।

আরো পড়ুন:

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মেয়েকে হত্যা, বাবাসহ ৩ জনের ফাঁসি

খুলনায় প্রকাশ্যে গুলি ও কুপিয়ে চরমপন্থী নেতাকে হত্যা

ওএসডি হওয়া ৭৬ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিভিন্ন রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত, রাজশাহীর সারদায় সংযুক্ত, পিটিসিতে সংযুক্ত করা হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, দীর্ঘদিন ওএসডি থাকা কর্মকর্তাদের পুনরায় যুক্ত করা বাহিনীর জন্য ইতিবাচক। এতে অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে কাজের সুযোগ তৈরি হবে। এ ধরনের একযোগে পদায়ন পুলিশের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ও ব্যবস্থাপনাকে গতিশীল করবে।

ঢাকা/এএএম/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত ড আইজ

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের কাছ থেকে ভোট আদায় করেই ছাড়ব: মির্জা আব্বাস

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে ভোট আদায় করে নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ ১৭ বছর আন্দোলন করেছে কিন্তু ভোটের জন্য। এই ভোট এই সরকারের কাছ থেকে আমরা আদায় করেই ছাড়ব। সরকারের পেছনে, সরকারের ভেতরে–বাইরে যতই ষড়যন্ত্র চলুক, কোনো ষড়যন্ত্রকেই বিএনপি অপ্রতিরুদ্ধ মনে করে না।’

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চত্বরে এক অনুষ্ঠানে মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন। জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও আমার না বলা কথা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল।

গত বছর গণ-অভ্যুত্থান না হলে অন্য কোনো মাসে বিএনপির আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হতো বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘যদি জুলাই-আগস্ট না হতো আরেকটা মাসে হয়তো বিএনপি আন্দোলন করে সরকারকে ফেলে দিত।’

২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে বিএনপি ঘোষণা দিতে পারলে সেদিনই সরকারের পতন হয়ে যেত উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সরকারের পতন হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। চক্রান্তের কারণে সেদিন সেটা হয়নি। সেই দিন যে জনসমাবেশ হয়েছিল, ওই সমাবেশ থেকে যদি ঘোষণা দেওয়া সম্ভব হতো, তাহলে এই সরকার থাকে না।’ তবে পুলিশের গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের কারণে সেটি সম্ভব হয়নি বলে দাবি করেন বিএনপির এই নেতা।

জুলাই সনদসহ অনেক কিছুতে বিএনপি ছাড় দিয়েছে উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘কালকে একজন বলছেন যে যদি এইটা না হয়, যদি ওইটা না হয়, তাহলে নির্বাচন হবে না, নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। এক ফ্যাসিবাদকে তাড়িয়ে আরেক ফ্যাসিবাদকে আনব না। আমরা তো তাই বলছি। এক ফ্যাসিবাদকে তাড়িয়ে আরেক ফ্যাসিবাদ আমরাও আনতে চাই না। আমরাও প্রতিরোধ করব।’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমি আসার সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখছিলাম যে বিএনপিকে এবং আমাদের নেতা তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে বলছে হাসিনা গিয়েছে যেই পথে, তারেক যাবে সেই পথে। এটা কোনো রাজনৈতিক স্লোগান নয়। দেশকে সুসংগঠিত রাখার স্লোগান নয়। এটা গণতান্ত্রিক ঐক্যকে বজায় রাখার স্লোগান নয়।'

জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) ইঙ্গিত করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আপনারা যে কথাবার্তা আজকে বলছেন আমার মনে হয়, সরকারের মুখপাত্র হয়ে আপনার কথাগুলো বলছেন। আপনাদের বয়স, আপনাদের যে মেধা, আপনাদের অভিজ্ঞতা তাতে আমার মনে হয় না এই সমস্ত কথাগুলো আপনাদের মুখ দিয়ে আসছে কিংবা আপনাদের মাথা থেকে আসছে। এটা অন্যজনের প্ররোচিত কথাবার্তা আপনারা বলছেন, এতে কোনো লাভ হবে না।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

যুবদল সভাপতি আব্দুল মোনায়েমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট সাইয়্যেদ আব্দুল্লাহ, যুবদলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্যসচিব রবিউল ইসলাম নয়ন প্রমুখ।

এ ছাড়া জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ যুবদলের নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে চারজন, ২০১৫ সালে গুমের শিকার একজন আইনজীবী এবং যুবদলের রাজনীতি করেন এমন একজন চিকিৎসক বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, দলের চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী ও আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিনসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন যুবদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা।

এর আগে বেলা সাড়ে তিনটায় যুবদল সভাপতির সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সেখানে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত যুবদলের নেতা-কর্মীদের তথ্য তুলে ধরা হয়। পরে একটি থিম সং পরিবেশনের পাশাপাশি যুবদলের আয়োজনে সম্প্রতি ঢাকার ছয়টি স্থানে অঙ্কিত গ্রাফিতির ভিজ্যুয়াল প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানে দাবি করা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যুবদলের ৭৮ জন নেতা, কর্মী ও সমর্থক শহীদ হয়েছেন। আজ তাঁদের পরিবারের সদস্যদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও আর্থিক অনুদান তুলে দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতারয় বিজয়ীদেরও হাতেও পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ট্রুডো ও সোফি: জীবন থেমে থাকে না, হৃদয় আবার ডাকে
  • নাটকীয়তা আর রহস্যে মোড়ানো ফ্রেন সিলাকের জীবন
  • ভুল রেলস্টেশনে নামা তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় একজন গ্রেপ্তার
  • পাবনায় মসজিদের নির্মাণকাজ নিয়ে সংঘর্ষে আহত আরও একজনের মৃত্যু
  • গয়নার দোকান থেকে গুজবের বাজার—তামান্না অবশেষে মুখ খুললেন রাজ্জাক প্রসঙ্গে
  • আবুল হাসানকে নিয়ে নতুন গল্পগাছা ও পূর্বাপর
  • সরকারের কাছ থেকে ভোট আদায় করেই ছাড়ব: মির্জা আব্বাস
  • আনন্দ মোহনের অধ্যক্ষকে ওএসডি, অভিযোগ—তিনি আওয়ামী লীগের ‘দোসর’
  • আনন্দমোহন কলেজের অধ্যক্ষ আমান উল্লাহ ওএসডি