কুবিতে শহীদ আব্দুল কাইয়ূমের শাহাদাত বার্ষিকী পালন
Published: 6th, August 2025 GMT
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ শিক্ষার্থী আব্দুল কাইয়ূমের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হলে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ ও ইংরেজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো.
আরো পড়ুন:
ইবি শিক্ষার্থী সাজিদ হত্যা: তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি
জবি প্রশাসনের ‘দায়সারা’ জবাবের প্রতিবাদ শিক্ষার্থীদের
এ সময় শিক্ষার্থীরা শহীদ আব্দুল কাইয়ূমের সঙ্গে কাটানো সময়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
দোয়া মাহফিলে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী এমরান হোসেন বলেন, “কাইয়ূম ভাই আমার পাশের রুমেই থাকতেন। তার সঙ্গে যখন দেখা হত, তখন তিনি সবাইকে আপনি করে সম্বোধন করতেন। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন এবং সবাইকে নামাজ পড়ার জন্য আহ্বান করতেন। তিনি বেশিরভাগ সময় নিজের বাসায় থাকতেন এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করতেন। আমরা চাই পরবর্তীতে যেই প্রশাসন আসুক, এই দিনটি যেন পালন করা হয়।”
কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ মো. হারুন বলেন, “যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় তার (আব্দুল কাইয়ূম) ছবি দেখতে পাই, তখন মনে হয়েছিল ছেলেটি অসম্ভব ভালো ছেলে। পরবর্তীতে বিভিন্ন আলোচনা অনুষ্ঠানে মাধ্যমে তার সম্পর্কে জানতে পারি, আমার ধারণা ঠিক ছিল। আজকে যখন তার বাবার সঙ্গে দেখা হয়, তখন একজন পিতা হিসেবে তাকে স্বান্তনা দিতে পারিনি। জানি না তিনি কীভাবে সহ্য করছে একজন সন্তান হারানোর কষ্ট।”
তিনি বলেন, “আমরাও কারো না কারো সন্তান। তাই কোনো কিছু করার আগে আমাদের চিন্তা করা উচিত আমাদের পিতা-মাতার কথা। আমরা এখানে একটি পরিবার হিসেবে আছি। তাই সবাই সবার বিপদে এগিয়ে যাব ও সহোযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব।”
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আব্দুল কাইয়ূম কুবির কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন।
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ল ই গণঅভ য ত থ ন অন ষ ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
রোমান সম্রাজ্ঞী মেসালিনাকে যেকারণে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিলো
রোমান সম্রাজ্ঞী ভ্যালেরিয়া মেসালিনা ছিলেন ‘ভয়ংকর সুন্দরী’। তার সময়ে সময়ে রাজনীতিতে একজন নারীর হস্তক্ষেপ ভালোভাবে দেখা হতো না। কেউ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করলে তাকে নিয়ে নানা সরল ব্যাখ্যা তৈরি হয়ে যেতো।
ইতিহাসবিদ রবার্ট গ্রেভস বলেছেন, ভ্যালেরিয়া মেসালিনার উচ্চ রাজনৈতিক জ্ঞান ছিলো এবং তিনি ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষাকে প্রাধান্য দিতেন। অথচ তিনি ইতিহাসে একজন কুখ্যাত রোমান সম্রাজ্ঞী। ভ্যালোরিয়া মেসালিনা ছিলেন রোমান সম্রাট ক্লডিয়াসের তৃতীয় স্ত্রী। বলা হয়ে থাকে তিনি আলোচনায় রয়েছেন তার ক্ষমতা লিপ্সা, নৃশংসতা এবং চরম যৌন স্বেচ্ছাচারিতার জন্য।
আরো পড়ুন:
সকালে গোসল করার উপকারিতা
ময়ূর সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানেন?
ভ্যালেরিয়া মেসালিনা সম্রাট নিরোর চাচাতো বোন, সম্রাট ক্যালিগুলার দ্বিতীয় চাচাতো বোন এবং সম্রাট অগাস্টাসের প্রপৌত্রী ছিলেন। ৩৮ বা ৩৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি ক্লডিয়াসকে বিয়ে করেন। ৪১ খ্রিস্টাব্দে ক্যালিগুলা নিহত হলে ক্লডিয়াস সম্রাট হন এবং মেসালিনা সম্রাজ্ঞী হিসেবে ক্ষমতা লাভ করেন।
ভ্যালেরিয়া মেসালিনা প্রায় এক দশক ধরে রোমের অন্যতম প্রভাবশালী নারী ছিলেন এবং রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতেন। নিজের অবস্থান ধরে রাখতে তিনি রাজনৈতিক বিরোধীদের নির্বাসন এবং মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন।
তার সম্পর্কে প্রচলিত গল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে যে, তিনি রাতের বেলা গোপনে পতিতালয়ে যেতেন এবং সেখানে সেচ্ছাচারিতা করতেন। এমনকি তিনি নামকরা পতিতাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা শুরু করতেন। এক রাতে তিনি ২৫ জন পুরুষের শয্যাসঙ্গিনী হয়েছিলেন!
৪৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি সম্রাট ক্লডিয়াসের অনুপস্থিতিতে তার প্রেমিক গাইয়াস সিলিয়াসের সাথে প্রকাশ্যেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, যা ছিল রাষ্ট্রদ্রোহমূলক কাজ। পরে ক্লডিয়াস তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন এবং তার নাম ও মূর্তি মুছে ফেলার জন্য ‘ড্যামনেশিও মেমোরি’ ঘোষণা করা হয়। রাজনীতিতে সরাসরি এক দশক প্রভাব রাখা সম্রাজ্ঞী ইতিহাসে একজন কলঙ্কিত নারীর তকমা পেয়ে যান।
তথ্যসূত্র: এনসিয়েন্ট ওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিন
ঢাকা/লিপি