গাজীপুর নগরের সাহাপাড়া এলাকায় সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সাহাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. ফরিদ (৩৭)। তিনি সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। ভুক্তভোগী সাংবাদিকের নাম আনোয়ার হোসেন (৩৫)। তিনি দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত।

গত বুধবার বিকেলে সাহাপাড়া এলাকায় চাঁদাবাজির সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে তিনি হামলার শিকার হন। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে আহত সাংবাদিকের মা বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত এজাহার দেন। পরে সেটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়।

পুলিশ ও মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নগরের সাহাপাড়া এলাকার মো.

ফরিদসহ তাঁর সহযোগীরা এলাকায় প্রতিটি অটোরিকশা থেকে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ টাকা চাঁদা তোলেন। এ ঘটনায় আনোয়ার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে আসামিরা টের পেয়ে যান। পরে স্থানীয় চাঁদাবাজদের সহযোগিতায় ১৫ থেকে ১৬ জন তাঁর ওপর হামলা করেন। এরপর হত্যার উদ্দেশ্যে একটি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেন। এ সময় তাঁরা দুটি মুঠোফোন ও ২৬ হাজার ২৫০ টাকা ছিনিয়ে নেন। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আরও পড়ুনগাজীপুরে পুলিশের সামনে চাঁদাবাজদের সাংবাদিককে পেটানোর ভিডিও ভাইরাল০৭ আগস্ট ২০২৫

গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদী হাসান বলেন, সাংবাদিককে মারধর করার ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর এল ক য় ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়

ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।

পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।

ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব  প্রায় ১০০ কিলোমিটার।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি  এখন সারানো  হয়েছে।

ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।  

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।

ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।  পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’

ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’

ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।

আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ